যুক্তরাষ্ট্রে গুরুদুয়ারায় হামলা ছয় পুণ্যার্থীসহ নিহত ৭
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে শিখ সম্প্রদায়ের উপাসনালয় গুরুদুয়ারায় হামলার ঘটনায় ছয় পুণ্যার্থী মারা গেছে। গত রবিবার ওই অঙ্গরাজ্যের মিওয়াকি কাউন্টিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও মারা যায়। গুলিতে এক পুলিশ সদস্যসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়।
হামলার মূল উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি। তবে শিখ নেতারা ধারণা করছেন, শিখদের বেশভূষা দেখে তাদের মুসলিম মনে করে এই হামলা চালিয়েছে অস্ত্রধারী। স্থানীয় পুলিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) এ ব্যাপারে তদন্ত করছে।
গত রবিবার সকালের দিকে গুরুদুয়ারায় ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে ওই হামলাকারী। সাপ্তাহিক প্রার্থনার দিন হওয়ায় অনেক পুণ্যার্থী সেখানে জমায়েত হয়েছিল।
জাপাল সিং নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, 'গুরুদুয়ারার গাড়ি রাখার জায়গায় দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে অস্ত্রধারী। তারপর ভেতরের দিকে ছুটে যায় সে। যে ঘরে শিখদের ধর্মগ্রস্থ গ্রন্থসাহিব রাখা আছে, সেখানে গিয়ে আবারও গুলি করতে শুরু করে সে।' গুলিতে গুরুদুয়ারার ভেতর ও আশপাশ মিলিয়ে ছয়জন মারা যায়। এর মধ্যে পাঁচ পুণ্যার্থী ছাড়াও গুরুদুয়ার এক ধর্মযাজক বা গ্রন্থী রয়েছেন। পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়। পুলিশ হামলাকারীর পরিচয় নিশ্চিত করেনি। তবে প্রত্যক্ষদর্র্শীরা তাকে স্থানীয় একজন শ্বেতাঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গুরুদুয়ারার কাছের শহর ওক ক্রিক পুলিশের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টেরেসা ক্যারিসন এক বিবৃতিতে বলেন, 'ঘটনাটি অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস ছিল কি না, সে ব্যাপারে এফবিআই তদন্ত চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি।'
হামলার পর সতর্কতা হিসেবে গুরুদুয়ারা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে কাডেহি এলাকায় হামলাকারীর বাড়ির আশপাশ খালি করে দেয় পুলিশ। স্থানীয় অধিবাসীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় পাঁচ থেকে সাত লাখ শিখ ধর্মাবলম্বী রয়েছে। তাদের অধিকাংশই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। গুরুদুয়ারায় হামলার ঘটনায় তারা মর্মাহত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। নিউ ইয়র্কে ৯/১১-এর হামলার পর থেকেই এ রকম ঘটনার আশঙ্কা ছিল বলে জানিয়েছে তাদের কেউ কেউ।
ওয়াশিংটনভিত্তিক শিখ কাউন্সিল অন রিলিজিওন অ্যান্ড অ্যাডুকেশনের চেয়ারম্যান রাজওয়ান্ত সিং বলেন, '৯/১১-এর হামলার পর থেকেই এরকম হামলার আশঙ্কা করছিলাম আমরা। শিখদের ব্যাপারে অজ্ঞতা ও বিভ্রান্তি কাজ করে। অনেকে তাদের তালেবান বা ওসামা বিন লাদেনের অনুসারি হিসেবে ধরে নেয়। কিন্তু আমাদের সম্প্রদায়ের ওপর এমন হামলা হতে পারে, তা ভাবিনি। আমরা তো কারো কোনো ক্ষতি করিনি।'
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং গুরুদুয়ারায় হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
ওবামা বলেন, 'একটি উপাসনালয়ে হামলার এ ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের দেশ শিখদের দ্বারা সমৃদ্ধ হয়েছে এবং তারা আমেরিকার অংশে পরিণত হয়েছে।' মনমোহন সিং বলেন, 'ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিবেচনাহীন হামলার এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আশা করব, কাপুরুষোচিত এ হামলার পেছনে কারা আছে, আমেরিকান কর্তৃপক্ষ তা খুঁজে বের করবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিহত করবে।'
এর আগে গত ২০ জুলাই কলোরাডোর একটি সিনেমা হলে এক অস্ত্রধারীর গুলিতে ১২ জন মারা যায়। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
গত রবিবার সকালের দিকে গুরুদুয়ারায় ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে ওই হামলাকারী। সাপ্তাহিক প্রার্থনার দিন হওয়ায় অনেক পুণ্যার্থী সেখানে জমায়েত হয়েছিল।
জাপাল সিং নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, 'গুরুদুয়ারার গাড়ি রাখার জায়গায় দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে অস্ত্রধারী। তারপর ভেতরের দিকে ছুটে যায় সে। যে ঘরে শিখদের ধর্মগ্রস্থ গ্রন্থসাহিব রাখা আছে, সেখানে গিয়ে আবারও গুলি করতে শুরু করে সে।' গুলিতে গুরুদুয়ারার ভেতর ও আশপাশ মিলিয়ে ছয়জন মারা যায়। এর মধ্যে পাঁচ পুণ্যার্থী ছাড়াও গুরুদুয়ার এক ধর্মযাজক বা গ্রন্থী রয়েছেন। পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়। পুলিশ হামলাকারীর পরিচয় নিশ্চিত করেনি। তবে প্রত্যক্ষদর্র্শীরা তাকে স্থানীয় একজন শ্বেতাঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গুরুদুয়ারার কাছের শহর ওক ক্রিক পুলিশের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টেরেসা ক্যারিসন এক বিবৃতিতে বলেন, 'ঘটনাটি অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস ছিল কি না, সে ব্যাপারে এফবিআই তদন্ত চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি।'
হামলার পর সতর্কতা হিসেবে গুরুদুয়ারা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে কাডেহি এলাকায় হামলাকারীর বাড়ির আশপাশ খালি করে দেয় পুলিশ। স্থানীয় অধিবাসীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় পাঁচ থেকে সাত লাখ শিখ ধর্মাবলম্বী রয়েছে। তাদের অধিকাংশই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। গুরুদুয়ারায় হামলার ঘটনায় তারা মর্মাহত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। নিউ ইয়র্কে ৯/১১-এর হামলার পর থেকেই এ রকম ঘটনার আশঙ্কা ছিল বলে জানিয়েছে তাদের কেউ কেউ।
ওয়াশিংটনভিত্তিক শিখ কাউন্সিল অন রিলিজিওন অ্যান্ড অ্যাডুকেশনের চেয়ারম্যান রাজওয়ান্ত সিং বলেন, '৯/১১-এর হামলার পর থেকেই এরকম হামলার আশঙ্কা করছিলাম আমরা। শিখদের ব্যাপারে অজ্ঞতা ও বিভ্রান্তি কাজ করে। অনেকে তাদের তালেবান বা ওসামা বিন লাদেনের অনুসারি হিসেবে ধরে নেয়। কিন্তু আমাদের সম্প্রদায়ের ওপর এমন হামলা হতে পারে, তা ভাবিনি। আমরা তো কারো কোনো ক্ষতি করিনি।'
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং গুরুদুয়ারায় হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
ওবামা বলেন, 'একটি উপাসনালয়ে হামলার এ ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের দেশ শিখদের দ্বারা সমৃদ্ধ হয়েছে এবং তারা আমেরিকার অংশে পরিণত হয়েছে।' মনমোহন সিং বলেন, 'ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিবেচনাহীন হামলার এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আশা করব, কাপুরুষোচিত এ হামলার পেছনে কারা আছে, আমেরিকান কর্তৃপক্ষ তা খুঁজে বের করবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিহত করবে।'
এর আগে গত ২০ জুলাই কলোরাডোর একটি সিনেমা হলে এক অস্ত্রধারীর গুলিতে ১২ জন মারা যায়। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments