মায়ের সূচক ১৩৬-শূন্যে নামিয়ে আনার প্রত্যাশা
আমার মা না হয়ে তুমি আর কারো মা হলে/ ভাবছ তোমায় চিনতেম না, যেতেম না ঐ কোলে?/ মজা আরো হত ভারী/ দুই জায়গায় থাকতো বাড়ী/ আমি থাকতেম এই গাঁয়েতে/ তুমি পরের গাঁয়ে... মায়ের যে একটি সর্বজনীন রূপ রয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে রবীন্দ্রনাথের কবিতায়।
প্রাকৃতিক নিয়মই হোক আর ধর্মীয় বা নৈতিক দৃষ্টিতেই হোক, মা হচ্ছেন একটি শিশুর জন্য সবচেয়ে অপরিহার্য মানুষ। শিশুর স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র বিকাশে মায়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তাই একটি জাতির সার্বিক উন্নয়নের মা হচ্ছেন প্রধান চাবিকাঠি। অপরদিকে মা নিজেও একজন নাগরিক; যার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সন্তান পালন ও মানসিক বিকাশের অধিকার সুনিশ্চিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। আধুনিক রাষ্ট্রে তাই মায়ের যত্ন, মায়ের অধিকার সংরক্ষণ অগ্রাধিকারের সঙ্গে বিবেচ্য। যে রাষ্ট্র যত সভ্য, সে রাষ্ট্রে মা তত নিরাপদ, তত নিশ্চিন্ত। সেই বিচারে বিশ্ব মাতৃপরিস্থিতি সূচকে ১৬৫টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৬-এ এসে দাঁড়িয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান এ হিসাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তাদের ধারণা, বর্তমান বাংলাদেশের মাতৃযত্নে অবস্থান এতটা খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই। সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল মূল্যায়ন করেছে শিশুকল্যাণ, নারীস্বাস্থ্য, নারীশিক্ষা, নারীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণের ওপর ভিত্তি করে।
বাংলাদেশের নারীর সার্বিক অবস্থা এক দশক আগের তুলনায় কিছুটা উন্নত হয়েছে, এটা অস্বীকার করা যাবে না, যদিও হিসাবটা এখনো মোটেই সন্তোষজনক নয়। সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে এক লাখ শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে ১৯৪ জন মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। ২০০১ সালে এ হার ছিল ৩২২ জন। এই উন্নতির পেছনে স্বাস্থ্যসেবার চেয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতাই বেশি কাজ করেছে। সেই সঙ্গে প্রসূতির জন্য ছুটি বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়নের জোরালো প্রচেষ্টাও নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছে।
আমরা চাই, এ হার বাংলাদেশে শূন্যের কোটায় নেমে আসুক। সেটা অসম্ভব বলে আমরা মনে করি না। এর জন্য খুব বেশি কসরতের দরকার হবে না। প্রথমত, স্বাস্থ্যসেবার মতো একটি অধিকার জনগণের দোরে, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের নাগালে পেঁৗছে দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, পরিবারগুলোকে আরো সচেতন করে তুলতে হবে। বিশেষ করে মাতৃত্বকালীন পরিবারগুলোকে নানা কুসংস্কার দ্বারা আক্রান্ত হতে দেখা যায়, মা ও শিশুদের ওপর চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা প্রয়োগ করতে দেখা যায়। এসব কঠিন হাতে বন্ধ করতে হবে। আজকের মায়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে অদূর ভবিষ্যতে একটি সুস্থ, সুন্দর ও বিশ্বের মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে- এ কথা আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি।
বাংলাদেশের নারীর সার্বিক অবস্থা এক দশক আগের তুলনায় কিছুটা উন্নত হয়েছে, এটা অস্বীকার করা যাবে না, যদিও হিসাবটা এখনো মোটেই সন্তোষজনক নয়। সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে এক লাখ শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে ১৯৪ জন মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। ২০০১ সালে এ হার ছিল ৩২২ জন। এই উন্নতির পেছনে স্বাস্থ্যসেবার চেয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতাই বেশি কাজ করেছে। সেই সঙ্গে প্রসূতির জন্য ছুটি বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়নের জোরালো প্রচেষ্টাও নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছে।
আমরা চাই, এ হার বাংলাদেশে শূন্যের কোটায় নেমে আসুক। সেটা অসম্ভব বলে আমরা মনে করি না। এর জন্য খুব বেশি কসরতের দরকার হবে না। প্রথমত, স্বাস্থ্যসেবার মতো একটি অধিকার জনগণের দোরে, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের নাগালে পেঁৗছে দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, পরিবারগুলোকে আরো সচেতন করে তুলতে হবে। বিশেষ করে মাতৃত্বকালীন পরিবারগুলোকে নানা কুসংস্কার দ্বারা আক্রান্ত হতে দেখা যায়, মা ও শিশুদের ওপর চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা প্রয়োগ করতে দেখা যায়। এসব কঠিন হাতে বন্ধ করতে হবে। আজকের মায়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে অদূর ভবিষ্যতে একটি সুস্থ, সুন্দর ও বিশ্বের মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে- এ কথা আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি।
No comments