ভোগান্তির নাম সড়ক-ঈদে স্বচ্ছন্দে বাড়ি ফেরা নিয়ে সংশয়
ভোগান্তি ও আতঙ্কের আরেক নাম সড়ক-মহাসড়ক। রাস্তাঘাটের অবস্থা নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদন দেখে পথে নামতেই এখন ভয় হয়। প্রায় প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় মূল্যবান প্রাণ যাচ্ছে সড়ক-মহাসড়কে। দুর্ঘটনার নামে যে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, তাতে টনক নড়ছে না কারো।
এমন অবস্থার মধ্যেই সামনে আসছে ঈদ। ঈদে ঘরে ফিরবে মানুষ। প্রিয়জনদের সানি্নধ্যে ভাগাভাগি করে নেবে ঈদের আনন্দ। ঈদে ঘরে ফেরার প্রধান বিড়ম্বনা টিকিটপ্রাপ্তি। বাস ও ট্রেনের টিকিট প্রথম দিনেই হাওয়া। অনেক ভোগান্তি সয়ে টিকিটপ্রাপ্তির পর এবারের ঈদে মানুষের ঘরে ফেরা নিরাপদ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্নটিই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
গত বছর ঈদের আগে সড়ক-মহাসড়কের দুর্গতি নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে সংবাদপত্রে। রাস্তাঘাটের করুণ চিত্র তুলে ধরা হয়। ঈদের আগে কোনোরকমে রাস্তা মেরামত করা হলেও এক বছর যেতে না যেতেই আবার সেই আগের দশা। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, হাঁক-ডাক যথেষ্ট হলেও গত এক বছরে দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোর সংস্কার বা মেরামতের কাজে বড় ধরনের উন্নতি ঘটেনি। আর তাই এবারও ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি ঘটার বাস্তব আশঙ্কা রয়েছে। ঈদ সামনে রেখে কোথাও কোথাও রাস্তাঘাট মেরামতের সাময়িক তোড়জোড় দেখা গেলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পক্ষে তা পর্যাপ্ত নয় বলেই মনে করছেন অনেকে। সড়ক-মহাসড়কের এই দুর্গতি দেখে ধারণা করা যেতে পারে, মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখতে কোনো সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। প্রতিবছরই ঈদের কয়েক দিন আগে একটি বৈঠক করে তড়িঘড়ি কিছু রুটিন নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসব নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন কতটুকু হয়, তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে। এসবের পাশাপাশি রয়েছে অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি। মহাড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল ঈদের সময় বেড়ে যায়। ঈদ মৌসুমে মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অত্যধিক বেড়ে যায়। এ সুযোগে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের জন্য ফিটনেসবিহীন গাড়ি নামানো হয় রাস্তায়। এসব গাড়িও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
দেশের সড়ক-মহাসড়ক নিয়মিত সংস্কারের দাবি রাখে। সারা দেশের সড়ক-মহাসড়ক সরেজমিনে পরিদর্শন করলে দেখা যাবে, অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা নাজুক। অনেক সড়ক-মহাসড়কই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নিয়মিত সংস্কার না হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মহাসড়কের কয়েক শ কিলোমিটার অংশ এখন যান চলাচলের অনুপযোগী। খানাখন্দে ভরা এসব সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে বলে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব সড়কে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কোনো কোনো মহাসড়কে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট।
ঈদে ঘরমুখী মানুষের দুশ্চিন্তার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়ক-মহাসড়কের এই বেহাল দশা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত, যত দ্রুত সম্ভব দেশের বেহাল সড়ক-মহাসড়কগুলোকে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলা। অন্তত বেহাল সড়কের কারণে যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে। বেহাল সড়ক-মহাসড়ক যেন ঈদের আনন্দ কেড়ে না নেয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক হতে হবে।
গত বছর ঈদের আগে সড়ক-মহাসড়কের দুর্গতি নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে সংবাদপত্রে। রাস্তাঘাটের করুণ চিত্র তুলে ধরা হয়। ঈদের আগে কোনোরকমে রাস্তা মেরামত করা হলেও এক বছর যেতে না যেতেই আবার সেই আগের দশা। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, হাঁক-ডাক যথেষ্ট হলেও গত এক বছরে দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোর সংস্কার বা মেরামতের কাজে বড় ধরনের উন্নতি ঘটেনি। আর তাই এবারও ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি ঘটার বাস্তব আশঙ্কা রয়েছে। ঈদ সামনে রেখে কোথাও কোথাও রাস্তাঘাট মেরামতের সাময়িক তোড়জোড় দেখা গেলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পক্ষে তা পর্যাপ্ত নয় বলেই মনে করছেন অনেকে। সড়ক-মহাসড়কের এই দুর্গতি দেখে ধারণা করা যেতে পারে, মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখতে কোনো সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। প্রতিবছরই ঈদের কয়েক দিন আগে একটি বৈঠক করে তড়িঘড়ি কিছু রুটিন নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসব নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন কতটুকু হয়, তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে। এসবের পাশাপাশি রয়েছে অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি। মহাড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল ঈদের সময় বেড়ে যায়। ঈদ মৌসুমে মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অত্যধিক বেড়ে যায়। এ সুযোগে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের জন্য ফিটনেসবিহীন গাড়ি নামানো হয় রাস্তায়। এসব গাড়িও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
দেশের সড়ক-মহাসড়ক নিয়মিত সংস্কারের দাবি রাখে। সারা দেশের সড়ক-মহাসড়ক সরেজমিনে পরিদর্শন করলে দেখা যাবে, অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা নাজুক। অনেক সড়ক-মহাসড়কই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নিয়মিত সংস্কার না হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মহাসড়কের কয়েক শ কিলোমিটার অংশ এখন যান চলাচলের অনুপযোগী। খানাখন্দে ভরা এসব সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে বলে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব সড়কে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কোনো কোনো মহাসড়কে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট।
ঈদে ঘরমুখী মানুষের দুশ্চিন্তার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়ক-মহাসড়কের এই বেহাল দশা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত, যত দ্রুত সম্ভব দেশের বেহাল সড়ক-মহাসড়কগুলোকে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলা। অন্তত বেহাল সড়কের কারণে যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে। বেহাল সড়ক-মহাসড়ক যেন ঈদের আনন্দ কেড়ে না নেয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক হতে হবে।
No comments