বরখাস্তের পর সিরীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ ত্যাগ-অস্ত্রের জন্য বিদ্রোহীদের অর্থায়নে অনুমতি যুক্তরাষ্ট্রের
সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ হিজাব স্বপক্ষ ত্যাগ করেছেন বলে দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম তাঁকে বরখাস্ত করার কথা জানালেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি। বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি জর্দানে চলে গেছেন বলে ওই দেশের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। দুই মাস আগে হিজাবকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
তাঁকে বরখাস্তের পর উপপ্রধানমন্ত্রী ওমর গালিওয়ানজিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে। বিদ্রোহীদের দাবি সত্য হলে, এটিই হবে সিরিয়ার সর্বোচ্চ পদস্থ কোনো কর্মকর্তার স্বপক্ষ ত্যাগ।
এদিকে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র কেনার জন্য পয়সা দেওয়ার পথ পরিষ্কার করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তর ওয়াশিংটনভিত্তিক ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিরীয় সমর্থক গ্রুপকে (এসএসজি) আমেরিকানদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে। ওয়াশিংটনের এ উদ্যোগকে বিদ্রোহী গ্রুপ ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) স্বাগত জানিয়েছে। এ উদ্যোগ সংঘাতের 'গতিপথ পাল্টে দেবে' বলে মন্তব্য করে তারা।
তহবিল সংগ্রহের অনুমতির বিষয়ে অর্থদপ্তর জানায়, এসএসজি বিদ্রোহীদের আর্থিকভাবে, যোগাযোগের জন্য, কৌশলগতভাবে এবং অন্য ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারবে। তবে সিরিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় যেসব বিষয়ের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে, সেগুলো বাদ দিতে হবে। অর্থাৎ গ্রুপটি সরাসরি অস্ত্র কিনতে পারবে না। তবে তাদের দেওয়া অর্থ দিয়ে এফএসএর অস্ত্র কেনার ওপর কোনো কড়াকড়ি নেই। এসএসজির সরকারি সম্পর্কবিষয়ক পরিচালক ব্রায়ান সায়ার্জ বলেন, এ সিদ্ধান্ত সংঘাতের 'গতিপথ পাল্টে দেবে এবং একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পূর্বের অবস্থান থেকে ক্রমেই সরে যাওয়ার নিদর্শন এটি। আমরা আশাবাদী, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পাল্টে দিতে এটি বিদ্রোহীদের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।'
রাজধানী দামেস্কের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল সোমবার আবারও বোমা হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহীরা। তবে তথ্যমন্ত্রী ওমরান আল-জোয়াবি বলেন, গতকাল সকালে রাষ্ট্রীয় চালানো হামলায় কেউ নিহত হয়নি। 'বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে হামলাটি চালানো হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে।' তবে বিস্ফোরণের পরও টেলিভিশনের সম্প্রচার অব্যাহত ছিল। এদিকে হামা প্রদেশে সরকারি বাহিনীর হামলায় ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। জনগণের মধ্যে আতাঙ্ক তৈরির জন্য সরকার এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তারা দাবি করে।
এ ছাড়া বাণিজ্যিক রাজধানী আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি এলাকায় সরকারি বাহিনীর হামলায় এক বিদ্রোহী নেতাসহ আট বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শহরে তাদের অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের কাজ শেষ হয়েছে। ২০ হাজার সেনার শক্তিশালী বাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যান্য স্থানেও সেনা পাঠানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তবে বিদ্রোহীদের দাবি, শহরের অন্তত অর্ধেক এখনো তাদের দখলে। সূত্র : এএফপি, জিনিউজ, টেলিগ্রাফ।
এদিকে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র কেনার জন্য পয়সা দেওয়ার পথ পরিষ্কার করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তর ওয়াশিংটনভিত্তিক ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিরীয় সমর্থক গ্রুপকে (এসএসজি) আমেরিকানদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে। ওয়াশিংটনের এ উদ্যোগকে বিদ্রোহী গ্রুপ ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) স্বাগত জানিয়েছে। এ উদ্যোগ সংঘাতের 'গতিপথ পাল্টে দেবে' বলে মন্তব্য করে তারা।
তহবিল সংগ্রহের অনুমতির বিষয়ে অর্থদপ্তর জানায়, এসএসজি বিদ্রোহীদের আর্থিকভাবে, যোগাযোগের জন্য, কৌশলগতভাবে এবং অন্য ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারবে। তবে সিরিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় যেসব বিষয়ের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে, সেগুলো বাদ দিতে হবে। অর্থাৎ গ্রুপটি সরাসরি অস্ত্র কিনতে পারবে না। তবে তাদের দেওয়া অর্থ দিয়ে এফএসএর অস্ত্র কেনার ওপর কোনো কড়াকড়ি নেই। এসএসজির সরকারি সম্পর্কবিষয়ক পরিচালক ব্রায়ান সায়ার্জ বলেন, এ সিদ্ধান্ত সংঘাতের 'গতিপথ পাল্টে দেবে এবং একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পূর্বের অবস্থান থেকে ক্রমেই সরে যাওয়ার নিদর্শন এটি। আমরা আশাবাদী, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পাল্টে দিতে এটি বিদ্রোহীদের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।'
রাজধানী দামেস্কের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল সোমবার আবারও বোমা হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহীরা। তবে তথ্যমন্ত্রী ওমরান আল-জোয়াবি বলেন, গতকাল সকালে রাষ্ট্রীয় চালানো হামলায় কেউ নিহত হয়নি। 'বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে হামলাটি চালানো হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে।' তবে বিস্ফোরণের পরও টেলিভিশনের সম্প্রচার অব্যাহত ছিল। এদিকে হামা প্রদেশে সরকারি বাহিনীর হামলায় ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। জনগণের মধ্যে আতাঙ্ক তৈরির জন্য সরকার এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তারা দাবি করে।
এ ছাড়া বাণিজ্যিক রাজধানী আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি এলাকায় সরকারি বাহিনীর হামলায় এক বিদ্রোহী নেতাসহ আট বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শহরে তাদের অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের কাজ শেষ হয়েছে। ২০ হাজার সেনার শক্তিশালী বাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যান্য স্থানেও সেনা পাঠানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তবে বিদ্রোহীদের দাবি, শহরের অন্তত অর্ধেক এখনো তাদের দখলে। সূত্র : এএফপি, জিনিউজ, টেলিগ্রাফ।
No comments