নির্দলীয় সরকার নিয়ে রূপরেখা দেবে না বিএনপি
নির্দলীয় সরকারের কাঠামো নিয়ে নতুন করে কোনো রূপরেখা দেবে না বিএনপি। বাতিল হওয়া ত্রয়োদশ সংশোধনীর আলোকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে বিএনপির আগের দাবিই চূড়ান্ত। গত রোববার রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা এ তথ্য জানান।
বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন, শুধু তা নিয়ে বিএনপি আলোচনা বা সংলাপে বসতে অথবা সরকার চাইলে এ ব্যাপারে দলটি প্রস্তাব দেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। নির্দলীয় সরকারের সর্বশেষ যে কাঠামো ছিল, তাতে কোনো পরিবর্তন এনে রূপরেখা দাঁড় না করাতে বৈঠক থেকে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈঠকে বলা হয়, বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা সফল হবে না। এ বিষয়ে বিচলিত না হতে সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের জানানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। স্থায়ী কমিটির বেশির ভাগ সদস্য এতে উপস্থিত ছিলেন। সূত্রমতে, খালেদা জিয়া গতকাল রাতে ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করেন।
রোববারের বৈঠকে বলা হয়, নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য সঠিক। এ ক্ষেত্রে স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের বক্তব্য সঠিক নয়। বৈঠকে দলীয় চেয়ারপারসন মন্তব্য করেন, নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এ নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন ধরনের মত সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। এ ধরনের স্ববিরোধী বক্তব্য দেওয়া ঠিক নয়।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে নির্দলীয় সরকার হতে হবে। এ ব্যাপারে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা একমত। নতুন রূপরেখার প্রয়োজন নেই। শুধু প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আপাতত কঠোর আন্দোলন নয়: স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আপাতত কঠোর আন্দোলনে না যাওয়ার ব্যাপারে মতৈক্য হয়েছে। জনমত গঠন ও জনসংযোগের ওপর গুরুত্ব দিতে কর্মসূচি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। আজ ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কর্মসূচি চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপির এক নেতা বলেন, খালেদা জিয়া, তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের নানা অপপ্রচার চলছে। বঙ্গবন্ধু পরিবারের দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করে এর পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। স্থায়ী কমিটির বেশির ভাগ সদস্য এতে উপস্থিত ছিলেন। সূত্রমতে, খালেদা জিয়া গতকাল রাতে ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করেন।
রোববারের বৈঠকে বলা হয়, নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য সঠিক। এ ক্ষেত্রে স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের বক্তব্য সঠিক নয়। বৈঠকে দলীয় চেয়ারপারসন মন্তব্য করেন, নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এ নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন ধরনের মত সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। এ ধরনের স্ববিরোধী বক্তব্য দেওয়া ঠিক নয়।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে নির্দলীয় সরকার হতে হবে। এ ব্যাপারে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা একমত। নতুন রূপরেখার প্রয়োজন নেই। শুধু প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আপাতত কঠোর আন্দোলন নয়: স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আপাতত কঠোর আন্দোলনে না যাওয়ার ব্যাপারে মতৈক্য হয়েছে। জনমত গঠন ও জনসংযোগের ওপর গুরুত্ব দিতে কর্মসূচি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। আজ ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কর্মসূচি চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপির এক নেতা বলেন, খালেদা জিয়া, তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের নানা অপপ্রচার চলছে। বঙ্গবন্ধু পরিবারের দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করে এর পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।
No comments