স্ত্রী দেহ ব্যবসায়, সন্তানসহ স্বামী প্রতারণায়
অভাবের তারনায় তিন বছরের শিশুকে ফেলে স্ত্রী চলে গেছেন দেহ বিক্রি করতে। স্বামী ছেলেকে নিয়ে নামলেন প্রতারণা করতে। কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো পুলিশ অফিসার, কখনো মন্ত্রীর পিএসসহ অন্য সরকারি কর্মকর্তার পরিচয়ে মোবাইল ফোনে প্রতারণা করে পরিবারের তিন সন্তানকে লালন-পালন করে আসছিলেন পিতা বাবুল ওরফে রাজু (৪০)।
এই প্রতারণার অভিযোগে ছেলে মমিন (২০) ও চাচাতো ভাই রাশেদকে (২৯) গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার বেলা ১১ টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম ও কমিউনিটি সার্ভিস সেন্টারে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয় গ্রেফতারকৃতদের।
জানা যায়, ২৮ জুন বাবুল তেজগাঁও থানার ডিউটি অফিসারকে ফোন করে নিজেকে সিএমএম কোর্টের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজু পরিচয় দিয়ে এলাকার একটি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিÿকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়ার জন্য বলেন। ডিউটি অফিসার ওই এলাকার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের মাধ্যমে রাজুর সঙ্গে তেজগাঁও সরকারি বালিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তার টেলিফোনে আলাপ করিয়ে দেন। রাজু নিজেকে বিচারক পরিচয় দিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে তার ক্যানসার আক্রান্ত আত্মীয়ের জন্য ছাত্রীদের কাছ থেকে আর্থিক সাহয্যের অনুরোধ করেন।
তিনি তাৎক্ষণিভাবে ১৪০০ টাকা তুলে রাজুকে দেন। পরবর্তী সময়ে সিএমএম আদালতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই নামে কোনো বিচারক সেখানে নেই। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি তেজগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি জানতে পেরে গাজীপুরের জয়দেবপুরের চৌরাস্তার চান্দিনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত বাবুল কেঁদে কেঁদে জানান, তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেন। প্রথম স্ত্রী ছেলে মমিনকে রেখে তাকে তালাক দিয়ে অন্যের সঙ্গে চলে যায়। এরপর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু সে স্ত্রী মারা যায়। পরে আবার বিয়ে করলে অর্থের অভাবে শিশুসন্তানকে রেখে তিন মাস আগে দেহব্যবসা করার জন্য পতিতাপল্লীতে চলে যায় তার স্ত্রী। এরপর তিনি সন্তানদের লালন-পালনের জন্য বেছে নেন প্রতারণার পথ।
No comments