আসাদবিরোধীদের দাবি-হামায় হামলায় ২০০ জনের বেশি সিরীয়র মৃত্যু
সিরিয়ার হামা প্রদেশের একটি গ্রামে সরকারি বাহিনীর হামলায় ২০০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি সত্য হলে গত দেড় বছরের অস্থিরতার মধ্যে এটি হবে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা।
যদিও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ত্রেইমসে গণহত্যার জন্য 'সশস্ত্র সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে' দায়ী করা হয়েছে। তবে কোনো পক্ষের দাবিই নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার সুনি্ন অধ্যুষিত হামার ত্রেইমসে গ্রামে ওই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে 'দ্য রেভ্যুলিউশন লিডারশিপ কাউন্সিল অব হামা'। তাদের ভাষ্যমতে, হেলিকপ্টার গানশিপ দিয়ে বোমাবর্ষণের মাধ্যমে হামলা শুরু করা হয়। তারপর ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়। এরপর সরকার সমর্থিত আলাউয়িতি মিলিশিয়ারা গ্রামে ঢুকে তখনো বেঁচে থাকা লোকজনদের ধরে নির্বিচারে হত্যা করে। রেভ্যুলিউশনারি কাউন্সিল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'ত্রেইমসে আজ (বৃহস্পতিবার) ২২০ জনের বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছে। হেলিকপ্টারের বোমাবর্ষণে, ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণে ও অন্যদের সামনাসামনি হত্যা করা হয়।'
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ত্রেইমসে গণহত্যার জন্য সশস্ত্র সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়েছে। লড়াইয়ে তিন সেনাসদস্যও নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ড শুরুর আগেই ফাদি সামেহ নামে ত্রেইমসের সরকারবিরোধী এক আন্দোলনকারী নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। এলাকার সঙ্গে এখনো যোগাযোগ আছে- এমন দাবি করে তিনি বলেন, 'বিদ্রোহী প্রতিরোধকারীরা ত্রেইমসে ছেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আশপাশের গ্রাম থেকে আসা আলাউয়িতি মিলিশিয়ারা গ্রামটি দখল করে নেয়। তারপর একজন একজন করে হত্যা করতে শুরু করে। এর আগে বোমা এবং গোলায় গ্রামের প্রায় সব বাড়ি ধ্বংস হয় ও আগুনে পুড়ে যায়।' আন্দোলনকারীরা দাবি করছে, ত্রেইমসে গ্রামের প্রত্যেক পরিবারের অন্তত একজন করে সদস্য নিহত হয়েছে। অসংখ্য পরিবারের নিহত পুরুষ, নারী ও শিশুদের নাম আছে তাদের কাছে। বেশির ভাগ লাশ স্থানীয় একটি মসজিদে রাখা হয়েছে।
তবে হত্যাকাণ্ডের জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করে দেওয়া বিদ্রোহী ও সরকারের দাবিগুলো নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ওপর কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার খবর তারা জানতে পেরেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তারা ৩০ জনের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পেরেছে এবং তাদের পরিচয় জানতে পেরেছে। সুনি্ন সংখ্যাগরিষ্ঠ সিরিয়ার শিয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ১৬ মাস ধরে আন্দোলন করছে বিরোধী পক্ষগুলো। প্রথমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-সমাবেশের মাধ্যমে আন্দোলন শুরু হলেও সরকারের দমন-পীড়নে একসময় তা বিদ্রোহে রূপ নেয়।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, ১৬ মাস ধরে চলা সহিংসতায় সিরিয়ায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।
গত বৃহস্পতিবার সুনি্ন অধ্যুষিত হামার ত্রেইমসে গ্রামে ওই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে 'দ্য রেভ্যুলিউশন লিডারশিপ কাউন্সিল অব হামা'। তাদের ভাষ্যমতে, হেলিকপ্টার গানশিপ দিয়ে বোমাবর্ষণের মাধ্যমে হামলা শুরু করা হয়। তারপর ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়। এরপর সরকার সমর্থিত আলাউয়িতি মিলিশিয়ারা গ্রামে ঢুকে তখনো বেঁচে থাকা লোকজনদের ধরে নির্বিচারে হত্যা করে। রেভ্যুলিউশনারি কাউন্সিল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'ত্রেইমসে আজ (বৃহস্পতিবার) ২২০ জনের বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছে। হেলিকপ্টারের বোমাবর্ষণে, ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণে ও অন্যদের সামনাসামনি হত্যা করা হয়।'
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ত্রেইমসে গণহত্যার জন্য সশস্ত্র সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়েছে। লড়াইয়ে তিন সেনাসদস্যও নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ড শুরুর আগেই ফাদি সামেহ নামে ত্রেইমসের সরকারবিরোধী এক আন্দোলনকারী নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। এলাকার সঙ্গে এখনো যোগাযোগ আছে- এমন দাবি করে তিনি বলেন, 'বিদ্রোহী প্রতিরোধকারীরা ত্রেইমসে ছেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আশপাশের গ্রাম থেকে আসা আলাউয়িতি মিলিশিয়ারা গ্রামটি দখল করে নেয়। তারপর একজন একজন করে হত্যা করতে শুরু করে। এর আগে বোমা এবং গোলায় গ্রামের প্রায় সব বাড়ি ধ্বংস হয় ও আগুনে পুড়ে যায়।' আন্দোলনকারীরা দাবি করছে, ত্রেইমসে গ্রামের প্রত্যেক পরিবারের অন্তত একজন করে সদস্য নিহত হয়েছে। অসংখ্য পরিবারের নিহত পুরুষ, নারী ও শিশুদের নাম আছে তাদের কাছে। বেশির ভাগ লাশ স্থানীয় একটি মসজিদে রাখা হয়েছে।
তবে হত্যাকাণ্ডের জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করে দেওয়া বিদ্রোহী ও সরকারের দাবিগুলো নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ওপর কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার খবর তারা জানতে পেরেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তারা ৩০ জনের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পেরেছে এবং তাদের পরিচয় জানতে পেরেছে। সুনি্ন সংখ্যাগরিষ্ঠ সিরিয়ার শিয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ১৬ মাস ধরে আন্দোলন করছে বিরোধী পক্ষগুলো। প্রথমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-সমাবেশের মাধ্যমে আন্দোলন শুরু হলেও সরকারের দমন-পীড়নে একসময় তা বিদ্রোহে রূপ নেয়।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, ১৬ মাস ধরে চলা সহিংসতায় সিরিয়ায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।
No comments