পরিবহন সঙ্কট ও বিআরটিসি by জাহাঙ্গীর হোসেন
ঢাকা শহরে নাকি বর্তমানে কোটিরও বেশি মানুষের বাস। এটি সত্য যে, মানুষে মানুষে এখন ঢাকা শহর গিজ গিজ করছে, কোথাও যেন ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই। হোক তা ফার্মগেট, গুলিস্তান কিংবা ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতাল। কেবল গার্মেন্টস শ্রমিকই নাকি ৫০ লাখের বেশি, যাদের অধিকাংশই আবার পরিযায়ী মহিলা কর্মজীবী।
এই বিশাল কর্মজীবী মানুষের প্রধান একটি সমস্যা হচ্ছে কর্মস্থলে সময়মতো পৌঁছা তথা পরিবহন সঙ্কট। প্রায় রাস্তায়ই এখন সর্বক্ষণিক চোখে পড়ে যে শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে বাস বা সিএনজির অপেক্ষায়। সিএনজি আর ট্যাক্সিক্যাবের স্বৈরাচারের কথা এখানে আর না-ইবা বললাম, কেবল নিম্নবিত্ত ও গরিব কর্মজীবী, যাদের প্রত্যহ বাসে করে যেতে আসতে হয় কর্মস্থল ও বাসস্থানে, তাদের সমস্যাটি যে কি প্রকট এবং সরকার তথা বিআরটিসি কিভাবে সমস্যাটিকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে তার চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো।
বাংলাদেশের সড়ক পরিবহনের অন্যতম সরকারী সংস্থা হচ্ছে বিআরটিসি। এর প্রধান কাজ সড়ক পথের সাধারণ যাত্রী পরিবহনে এগিয়ে আসা, বিশেষ করে ঢাকা শহরে। প্রায়ই শোনা যায়, বিআরটিসি ‘অমুক’ দেশ থেকে ‘এতটি’ ডবল ডেকার কিংবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস আমদানি করছে, যাতে সাধারণযাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে। কিন্তু দুর্ভোগ কমছে কই? যে হারে বিআরটিসি সরকারী অর্থে বাস আমদানি করছে, সে হারে কি তারা বাস চালাচ্ছে? কোটি টাকার ‘ভলবো’ বাসগুলো এখন দেখাই যায় না, যদিও দক্ষ ব্যক্তি মালিকানায় বিশ্বমানের এই ‘ভলবো’ বাসগুলো কমপক্ষে ২০-২৫ বছর ঢাকার রাস্তায় চলতে পারত। কিন্তু হায় আমাদের সরকারী মালিকানা। এখন দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থায় সকাল-বিকেল দু’বেলার জন্য বিআরটিসি তাদের বাস দিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে। সুপ্রীমকোর্ট, সচিবালয় ইত্যাদি সংস্থায় বিআরটিসির অনেক বাস দিয়েছে কেবল সকালে একবার ও অফিস শেষে আরেকবার কর্মচারীদের বাড়ি পৌঁছে দেয়ার জন্য। অন্য সময় সারাদিন-রাত বাসগুলো বেকার দাঁড়িয়ে থাকে সুপ্রীমকোর্ট প্রাঙ্গণে কিংবা সচিবালয় গেটে। আর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রহর গুনছে কখন বাস আসবে? এই বাসগুলো কি কেবল দু’বার আসা-যাওয়ার জন্য আমদানি করা হয়েছে? আবার অনেক প্রয়োজনীয় রুটে বিআরটিসি কোন বাস চালু না করে কেবল পুরনো কয়েকটি রুটেই চালাচ্ছে। সত্যতা প্রমাণ করা কষ্টকর হলেও নিন্দুকরা বলে থাকেন, যে সব রুটে প্রাইভেট বাসমালিকদের সঙ্গে বিআরটিসির রুট না চালানোর ‘আঁতাত’ আছে, সেখানে হাজারো যাত্রী কষ্ট পেলেও বিআরটিসি বাস নামাচ্ছে না, আর যেখানে ‘বন্দোবস্ত’ হয়নি, সেখানে নতুন বাস চালু করে আবার ‘বন্দোবস্ত’ হলেই আবার তা বন্ধ করে দিচ্ছে বিআরটিসি। উদাহরণ নতুন বাজার থেকে গাবতলীর রুট চালু করে, এখন নতুন বাজার থেকে বন্ধ করা হয়েছে নাকি ‘বৈশাখী’ বাসের ‘চাপে’ কিংবা এয়ারপোর্ট বা আবদুল্লাহপুর থেকে প্রগতি সরণি হয়ে কোন বাস-ই মতিঝিল যাচ্ছে না ‘সুপ্রভাত’ বাসের সঙ্গে ‘আঁতাতের’ কারণে। যদিও প্রগতি সরণির ১০টি স্টপেজে হাজার হাজার যাত্রী চাইছে এই রুটে বিআরটিসির বাস চলুক। কিন্তু যাত্রীদের চাওয়া কি বিআরটিসির চাওয়া হবে?
ঢাকায় বসবাসরত কোটি সাধারণের পক্ষে বলতে চাই, অবিলম্বে বিআরটিসি বর্ণিত বিভিন্ন সংস্থায় প্রদত্ত বাসগুলো কেবল সকাল-বিকেল দু’বেলা সংস্থার যাত্রী পরিবহনের কাজ শেষে সাধারণের জন্য রাস্তায় চলে আসুক। এই সময় ঢাকার রাস্তায় অপেক্ষমাণ লাখ লাখ মানুষকে পরিবহন করুক (সরকার ইচ্ছা করলে এই সময় সরকারী ও আধাসরকারী সংস্থার নিজস্ব বাস দিয়েও যাত্রী পরিবহন করে মানুষের কষ্ট লাঘব করতে পারে, যেগুলো কেবল দু’বেলা সরকারী প্রতিষ্ঠানের জনবলকে পরিবহন করে বাকি সময় বসে থাকে), আর প্রগতি সরণিসহ সকল রুটে প্রাইভেট বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বিআরটিসি বাস চালাক, যাতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উভয় সেক্টরের উন্নতি ঘটে ও বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশের মানুষ অন্তত সময়মতো নির্বিঘেœ তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারে।
লধযধহমরৎযড়ংংধরহফযধশধ@মসধরষ.পড়স
বাংলাদেশের সড়ক পরিবহনের অন্যতম সরকারী সংস্থা হচ্ছে বিআরটিসি। এর প্রধান কাজ সড়ক পথের সাধারণ যাত্রী পরিবহনে এগিয়ে আসা, বিশেষ করে ঢাকা শহরে। প্রায়ই শোনা যায়, বিআরটিসি ‘অমুক’ দেশ থেকে ‘এতটি’ ডবল ডেকার কিংবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস আমদানি করছে, যাতে সাধারণযাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে। কিন্তু দুর্ভোগ কমছে কই? যে হারে বিআরটিসি সরকারী অর্থে বাস আমদানি করছে, সে হারে কি তারা বাস চালাচ্ছে? কোটি টাকার ‘ভলবো’ বাসগুলো এখন দেখাই যায় না, যদিও দক্ষ ব্যক্তি মালিকানায় বিশ্বমানের এই ‘ভলবো’ বাসগুলো কমপক্ষে ২০-২৫ বছর ঢাকার রাস্তায় চলতে পারত। কিন্তু হায় আমাদের সরকারী মালিকানা। এখন দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থায় সকাল-বিকেল দু’বেলার জন্য বিআরটিসি তাদের বাস দিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে। সুপ্রীমকোর্ট, সচিবালয় ইত্যাদি সংস্থায় বিআরটিসির অনেক বাস দিয়েছে কেবল সকালে একবার ও অফিস শেষে আরেকবার কর্মচারীদের বাড়ি পৌঁছে দেয়ার জন্য। অন্য সময় সারাদিন-রাত বাসগুলো বেকার দাঁড়িয়ে থাকে সুপ্রীমকোর্ট প্রাঙ্গণে কিংবা সচিবালয় গেটে। আর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রহর গুনছে কখন বাস আসবে? এই বাসগুলো কি কেবল দু’বার আসা-যাওয়ার জন্য আমদানি করা হয়েছে? আবার অনেক প্রয়োজনীয় রুটে বিআরটিসি কোন বাস চালু না করে কেবল পুরনো কয়েকটি রুটেই চালাচ্ছে। সত্যতা প্রমাণ করা কষ্টকর হলেও নিন্দুকরা বলে থাকেন, যে সব রুটে প্রাইভেট বাসমালিকদের সঙ্গে বিআরটিসির রুট না চালানোর ‘আঁতাত’ আছে, সেখানে হাজারো যাত্রী কষ্ট পেলেও বিআরটিসি বাস নামাচ্ছে না, আর যেখানে ‘বন্দোবস্ত’ হয়নি, সেখানে নতুন বাস চালু করে আবার ‘বন্দোবস্ত’ হলেই আবার তা বন্ধ করে দিচ্ছে বিআরটিসি। উদাহরণ নতুন বাজার থেকে গাবতলীর রুট চালু করে, এখন নতুন বাজার থেকে বন্ধ করা হয়েছে নাকি ‘বৈশাখী’ বাসের ‘চাপে’ কিংবা এয়ারপোর্ট বা আবদুল্লাহপুর থেকে প্রগতি সরণি হয়ে কোন বাস-ই মতিঝিল যাচ্ছে না ‘সুপ্রভাত’ বাসের সঙ্গে ‘আঁতাতের’ কারণে। যদিও প্রগতি সরণির ১০টি স্টপেজে হাজার হাজার যাত্রী চাইছে এই রুটে বিআরটিসির বাস চলুক। কিন্তু যাত্রীদের চাওয়া কি বিআরটিসির চাওয়া হবে?
ঢাকায় বসবাসরত কোটি সাধারণের পক্ষে বলতে চাই, অবিলম্বে বিআরটিসি বর্ণিত বিভিন্ন সংস্থায় প্রদত্ত বাসগুলো কেবল সকাল-বিকেল দু’বেলা সংস্থার যাত্রী পরিবহনের কাজ শেষে সাধারণের জন্য রাস্তায় চলে আসুক। এই সময় ঢাকার রাস্তায় অপেক্ষমাণ লাখ লাখ মানুষকে পরিবহন করুক (সরকার ইচ্ছা করলে এই সময় সরকারী ও আধাসরকারী সংস্থার নিজস্ব বাস দিয়েও যাত্রী পরিবহন করে মানুষের কষ্ট লাঘব করতে পারে, যেগুলো কেবল দু’বেলা সরকারী প্রতিষ্ঠানের জনবলকে পরিবহন করে বাকি সময় বসে থাকে), আর প্রগতি সরণিসহ সকল রুটে প্রাইভেট বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বিআরটিসি বাস চালাক, যাতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উভয় সেক্টরের উন্নতি ঘটে ও বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশের মানুষ অন্তত সময়মতো নির্বিঘেœ তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারে।
লধযধহমরৎযড়ংংধরহফযধশধ@মসধরষ.পড়স
No comments