জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র অনিয়ম-তদারকি প্রতিষ্ঠানটির তদারক করবে কে?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হতে চলেছে। উচ্চশিক্ষার সুযোগ বিস্তৃত করা এবং অল্প ব্যয়ে উচ্চশিক্ষিত মানবসম্পদ সৃষ্টি করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। কিন্তু সেই সুযোগ পরিণত হয়েছে অভিশাপে আর মানবসম্পদ বোঝায় পরিণত হচ্ছে।
অন্তহীন সেশনজট, প্রশ্নপত্র ফাঁস, ভর্তি ও নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতিসহ হেন অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা নেই যে এখানে হয় না। সুকীর্তির জন্য নয়, ‘জাতীয়’ পরিচয়ে অপকীর্তিরই অপর নাম এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এর কারণে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভোগান্তি দূর করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি কিছুই করবে না?
দেশের উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সারা দেশের কলেজগুলো এর অধীন, অর্থাৎ অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের চাবিকাঠি এর হাতে। কিন্তু এহেন প্রতিষ্ঠানের এমন ব্যর্থতা জাতীয় শিক্ষাবিপর্যয় বৈকি! বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোয় যোগ্য ও প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষক, অবকাঠামো ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধার সীমাবদ্ধতা বিপুল। শিক্ষার বিস্তার নিয়ে খুশি থাকলেও গুণগত মান নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। সাধারণত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষা নেন তুলনামূলক দরিদ্র ও কম মেধাবী শিক্ষার্থীরা। অথচ এই শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি অবহেলা আর অনিয়মের শিকার।
ফেসবুকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি পাতা বানিয়েছেন। এর শিরোনাম, ‘আমরা বুড়া নই, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ই আমাদের বুড়া বানিয়েছে’। ‘বুড়ি হইলাম তোর কারণে’ বলে কাঙালিনী সুফিয়ার একটি গান দারুণ জনপ্রিয়। সেশনজটের কারণে সময়মতো পরীক্ষা না নেওয়া এবং ফল প্রকাশে অবিশ্বাস্য দীর্ঘসূত্রতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাষাও অনুরূপ। ফল প্রকাশে দেরির জন্য তাঁরা সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স হারান। ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে একরকম অনিশ্চয়তায় তাঁরা ও তাঁদের পরিবার গভীর হতাশায় নিমজ্জিত হন।
এই শিক্ষার্থীরা গত ৫ জুন সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজট নিরসন, তিন মাসে ফল প্রকাশ, আগস্টেই অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার দাবিতে ২৫ দিনের আলটিমেটাম দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাড়া না আসায় তাঁরা কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা আশা করব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমস্যার সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ নেবে।
দেশের উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সারা দেশের কলেজগুলো এর অধীন, অর্থাৎ অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের চাবিকাঠি এর হাতে। কিন্তু এহেন প্রতিষ্ঠানের এমন ব্যর্থতা জাতীয় শিক্ষাবিপর্যয় বৈকি! বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোয় যোগ্য ও প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষক, অবকাঠামো ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধার সীমাবদ্ধতা বিপুল। শিক্ষার বিস্তার নিয়ে খুশি থাকলেও গুণগত মান নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। সাধারণত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষা নেন তুলনামূলক দরিদ্র ও কম মেধাবী শিক্ষার্থীরা। অথচ এই শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি অবহেলা আর অনিয়মের শিকার।
ফেসবুকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি পাতা বানিয়েছেন। এর শিরোনাম, ‘আমরা বুড়া নই, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ই আমাদের বুড়া বানিয়েছে’। ‘বুড়ি হইলাম তোর কারণে’ বলে কাঙালিনী সুফিয়ার একটি গান দারুণ জনপ্রিয়। সেশনজটের কারণে সময়মতো পরীক্ষা না নেওয়া এবং ফল প্রকাশে অবিশ্বাস্য দীর্ঘসূত্রতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাষাও অনুরূপ। ফল প্রকাশে দেরির জন্য তাঁরা সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স হারান। ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে একরকম অনিশ্চয়তায় তাঁরা ও তাঁদের পরিবার গভীর হতাশায় নিমজ্জিত হন।
এই শিক্ষার্থীরা গত ৫ জুন সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজট নিরসন, তিন মাসে ফল প্রকাশ, আগস্টেই অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার দাবিতে ২৫ দিনের আলটিমেটাম দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাড়া না আসায় তাঁরা কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা আশা করব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমস্যার সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ নেবে।
No comments