ক্ষমতা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ও সশস্ত্র বাহিনীর দ্বন্দ্ব-খাদের কিনারে মিসরের অর্থনীতি!
মিসরের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিয়ে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ও সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশটির জনগণের আশা, এই সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট মুরসি ও সামরিক কর্মকর্তারা ঐক্যবদ্ধ হবেন।
ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত মিসরের নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি দুই সপ্তাহ আগে দায়িত্ব নিয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি দেশটির ক্ষমতাধর সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ পরিষদের (এসসিএএফ) প্রকাশ্য বিরোধিতা করে পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে সামরিক পরিষদ ওই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছিল। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে মিসরে পর্যটকদের আনাগোনা কমে যায় এবং বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ দেখা দেয়। এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনক পরিমাণে হ্রাস পায়।
ব্রুকিংস দোহা সেন্টারের গবেষক শাদি হামিদ বলেন, এসসিএএফ ও মুসলিম ব্রাদারহুড প্রায় সমান ক্ষমতার অধিকারী। তাই বর্তমান সংকট নিরসনে তাদের মধ্যে আপসের বিকল্প নেই।
মিসরের সামরিক বাহিনী গত ছয় দশক ধরে বিশেষ ক্ষমতা ভোগ করছে। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নতুন বেসামরিক প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত করে রেখেছে। এসসিএএফ দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত করে একটি বিশেষ আদেশ জারি করেছিল। মুরসি ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই ওই আদেশ বাতিল করে পার্লামেন্টের কার্যকারিতা ফিরিয়ে এনেছেন। তবে এসসিএএফের মিত্র বলে পরিচিত বিচারপতিরা মুরসির ওই আদেশের সমালোচনা করেন।
অর্থনীতিবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের বিশেষজ্ঞ সাইদ হিরশ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই দ্বন্দ্বমুখর পরিবেশে মিসরের অর্থনীতি টেকসই হবে না।
হোসনি মোবারকের পতনের পর মিসরের সামরিক পরিষদ ক্ষমতায় থাকাকালে নির্যাতিত মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মুরসি বর্তমানে এসসিএএফের ক্ষমতা ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ সীমিত করতে চান। তবে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁকে মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ অবস্থায় এসসিএএফের বিরোধিতা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি একসঙ্গে চলতে পারে না বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। চলমান রাজনৈতিক সংকট দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মুরসির জন্য এরই মধ্যে একটি বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে। দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের পরিমাণ গত দেড় বছরে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
সব মিলিয়ে মুরসির জন্য সামনে কঠিন পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। আইএমএফ থেকে ঋণসহায়তা নিতে হলে মুরসিকে ব্যয় সংকোচন নীতি বাস্তবায়নের জন্য দেশের সরকারের ওপর প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ ও জনসমর্থন লাভের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে তিনি সৌদি আরবে যান। সম্পদশালী ওই দেশটি মিসরকে সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপনকারী প্রথম আরব দেশ হিসেবে মিসর যুক্তরাষ্ট্রের অনুগ্রহ পাবে। তবে বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য মিসরের প্রয়োজন সার্বিক সংস্কার, ব্যক্তিমালিকানাধীন অর্থের ব্যবহার এবং বিভিন্ন দেশ থেকে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ। রয়টার্স।
ব্রুকিংস দোহা সেন্টারের গবেষক শাদি হামিদ বলেন, এসসিএএফ ও মুসলিম ব্রাদারহুড প্রায় সমান ক্ষমতার অধিকারী। তাই বর্তমান সংকট নিরসনে তাদের মধ্যে আপসের বিকল্প নেই।
মিসরের সামরিক বাহিনী গত ছয় দশক ধরে বিশেষ ক্ষমতা ভোগ করছে। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নতুন বেসামরিক প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত করে রেখেছে। এসসিএএফ দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত করে একটি বিশেষ আদেশ জারি করেছিল। মুরসি ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই ওই আদেশ বাতিল করে পার্লামেন্টের কার্যকারিতা ফিরিয়ে এনেছেন। তবে এসসিএএফের মিত্র বলে পরিচিত বিচারপতিরা মুরসির ওই আদেশের সমালোচনা করেন।
অর্থনীতিবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের বিশেষজ্ঞ সাইদ হিরশ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই দ্বন্দ্বমুখর পরিবেশে মিসরের অর্থনীতি টেকসই হবে না।
হোসনি মোবারকের পতনের পর মিসরের সামরিক পরিষদ ক্ষমতায় থাকাকালে নির্যাতিত মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মুরসি বর্তমানে এসসিএএফের ক্ষমতা ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ সীমিত করতে চান। তবে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁকে মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ অবস্থায় এসসিএএফের বিরোধিতা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি একসঙ্গে চলতে পারে না বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। চলমান রাজনৈতিক সংকট দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মুরসির জন্য এরই মধ্যে একটি বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে। দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের পরিমাণ গত দেড় বছরে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
সব মিলিয়ে মুরসির জন্য সামনে কঠিন পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। আইএমএফ থেকে ঋণসহায়তা নিতে হলে মুরসিকে ব্যয় সংকোচন নীতি বাস্তবায়নের জন্য দেশের সরকারের ওপর প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ ও জনসমর্থন লাভের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে তিনি সৌদি আরবে যান। সম্পদশালী ওই দেশটি মিসরকে সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপনকারী প্রথম আরব দেশ হিসেবে মিসর যুক্তরাষ্ট্রের অনুগ্রহ পাবে। তবে বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য মিসরের প্রয়োজন সার্বিক সংস্কার, ব্যক্তিমালিকানাধীন অর্থের ব্যবহার এবং বিভিন্ন দেশ থেকে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ। রয়টার্স।
No comments