জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ৬, মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৮ শতাংশের পূর্বাভাস-এশিয়ার ৪৪ দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে এডিবির আউটলুক প্রকাশ by মিজান চৌধুরী
চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। একই সঙ্গে গড় মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে আভাস দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা বড় কঠিন হবে।
শুক্রবার প্রকাশিত বিশ্ব মন্থর অর্থনীতির ও এশিয়ার প্রবৃদ্ধি নিয়ে এডিবির আউটলুকে বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
যদিও চলতি বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২ শতাংশ ও মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ৪৪টি দেশের উপর তাদের রিপোর্টে এই পূর্বাভাস দিয়েছে। মূলত ইউরোজোনের সঙ্কট আগামীতে এশিয়ার দেশগুলোর উপর পড়তে পারে এবং প্রবৃদ্ধি অর্জন শ্লথ হবে এমন আভাস দেয়া হয়েছে গোটা এশিয়ার ব্যাপারে। ওই পূর্বাভাসে কৃষি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বৃদ্ধি, রফতানি আয় হ্রাস, শিল্প প্রবৃদ্ধি হ্রাস ও সেবাখাতে হ্রাস পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
(১৯ পৃষ্ঠা ৬ কঃ দেখুন) জিডিপি প্রবৃদ্ধি
(২০-এর পৃষ্ঠার পর)
এডিবির প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার আগামীতে জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্য আবারও বৃদ্ধি করে, বাজেট ঘাটতির জন্য বিদেশী অর্থায়নের ব্যবহার বাড়াতে পারলে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসবে। যা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করবে। তবে এসব সাফল্যের জন্য দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিক পরিবেশ। প্রবৃদ্ধি নিয়ে আউটলুকে বলা হয়, বিদায়ী অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কমিয়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ করা হয়েছে। মূলত ইউরোজোনের সঙ্কটে রফতানি আয়ও কিছুটা কমেছে। বিদায়ী অর্থবছরে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি আরও কমে ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। রফতানি আয়ও কমতে পারে।
ওই চ্যাপ্টার বাংলাদেশের কৃষি খাত, শিল্প খাত, সেবা খাত, আমদানি, রফতানি, ব্যালেন্স অব পেমেন্টসহ সার্বিক অর্থনীতির উপর পূর্বাভাস দেয়া হয়। কৃষির ব্যাপারে বলা হয়, জ্বালানি ও সারের উচ্চ মূল্যের দরুণ কৃষকের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির পরও কৃষি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। তবে এটি বিগত বছরের তুলনায় ভাল। যদি সরকার পলিসি সাপোর্ট দিতে পারে এবং সঠিকভাবে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে তাহলে চলতি অর্থবছরের কৃষি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে উঠবে।
চলতি অর্থবছরে শিল্পের প্রবৃদ্ধি কিছুটা হ্রাস পাবে। বিদায়ী অর্থবছরে শিল্পের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি হ্রাসের মূল কারণ হচ্ছে চাহিদার তুলনায় রফতানি হ্রাস, উচ্চ সুদের হার এবং শ্রম মজুরি, বিদ্যুত ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি। এতে মুনাফা কিছুটা সমন্বয় হয়েছে। উচ্চ সুদের হারের কারণে শিল্পে অবকাঠামো নির্মাণ ও বিনিয়োগ কম আসার আশঙ্কা করা হয়েছে। এরপরও চলতি অর্থবছরে শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এটি নির্ভর করবে অভ্যন্তরীণ ও বাণিজ্যিক চাহিদার উপর এবং অর্থনীতির ভারসাম্যের উপর।
সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি হবে শ্লথ গতিতে। সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হবে। এক্ষেত্রে শিল্প ও কৃষি খাতের সেবা প্রবৃদ্ধি কম হবে। প্রতিবেদনে বলা হয় চলতি অর্থবছরে কিছুটা মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেতে পারে। চলতি অর্থবছরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশের উপর। স্বাভাবিকভাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি উচ্চ পর্যায়ে থাকবে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে মুদ্রাস্ফীতি দেয়া হয় অনেকটা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। তবে ঋণের উপর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্যাপ তুলে নেয়ায় এটি বেসরকারী খাতকে মারাক্তকভাবে আঘাত করে।
চলতি অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধির হার হবে ১০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এই আয় কিছুটা কম হতে পারে। এই রফতানি আয় হ্রাস পাবে মূলত ইউরোজোন সঙ্কট ও আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে। চলতি অর্থবছরে আমদানি প্রবৃদ্ধি হবে ১৫ শতাংশ। গত অর্থবছরে আমদানি বৃদ্ধির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশ। মূলত রেন্টাল বিদ্যুতের জন্য জ্বালানির আমদানি বেড়ে যাওয়ায় মোট আমদানির উপর চাপ পড়ে।
চলতি হিসেবের ঘাটতি হবে জিডিপির ৫ শতাংশ। এ সময় ব্যালেন্স অব পেমেন্টের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। একদিকে আমদানি বাড়বে অপরদিকে রফতানি ও রেমিটেন্স কম আসবে। যদিও সরকার ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চাপ মুক্ত রাখতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে (আইএমএফ) তিন বছরের ঋণ নেয়া কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। ওই কর্মসূচীর মাধ্যমে ১শ’ কোটি ডলার ঋণ নিবে। প্রথম কিস্তি হিসেবে ইতোমধ্যে ১০ কোটি ২৪ লাখ ডলার নিয়েছে।
ভর্তুকি বাজেটের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। যদিও সরকার ভর্তুকি কমাকে বিদ্যুত ও জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করছে। তবে এই সমন্বয় খুব সামান্য সরকারের খরচ বেড়ে যাওয়ার তুলনায়। চলতি অর্থবছরে ভুর্তকির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। ভর্তুকি বেড়ে দাঁড়াবে জিডিপির ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ২ দশমিক ২ শতাংশ। এদিকে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন জ্বালানি আমদানির ব্যয় মেটাতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই সংস্থা ইতোমধ্যে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে ৫২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছে। প্রতিবেদনে ভর্তুকি হ্রাস, বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য ঠিক এবং ঘাটতি কমানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
যদিও চলতি বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২ শতাংশ ও মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ৪৪টি দেশের উপর তাদের রিপোর্টে এই পূর্বাভাস দিয়েছে। মূলত ইউরোজোনের সঙ্কট আগামীতে এশিয়ার দেশগুলোর উপর পড়তে পারে এবং প্রবৃদ্ধি অর্জন শ্লথ হবে এমন আভাস দেয়া হয়েছে গোটা এশিয়ার ব্যাপারে। ওই পূর্বাভাসে কৃষি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বৃদ্ধি, রফতানি আয় হ্রাস, শিল্প প্রবৃদ্ধি হ্রাস ও সেবাখাতে হ্রাস পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
(১৯ পৃষ্ঠা ৬ কঃ দেখুন) জিডিপি প্রবৃদ্ধি
(২০-এর পৃষ্ঠার পর)
এডিবির প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার আগামীতে জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্য আবারও বৃদ্ধি করে, বাজেট ঘাটতির জন্য বিদেশী অর্থায়নের ব্যবহার বাড়াতে পারলে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসবে। যা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করবে। তবে এসব সাফল্যের জন্য দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিক পরিবেশ। প্রবৃদ্ধি নিয়ে আউটলুকে বলা হয়, বিদায়ী অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কমিয়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ করা হয়েছে। মূলত ইউরোজোনের সঙ্কটে রফতানি আয়ও কিছুটা কমেছে। বিদায়ী অর্থবছরে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি আরও কমে ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। রফতানি আয়ও কমতে পারে।
ওই চ্যাপ্টার বাংলাদেশের কৃষি খাত, শিল্প খাত, সেবা খাত, আমদানি, রফতানি, ব্যালেন্স অব পেমেন্টসহ সার্বিক অর্থনীতির উপর পূর্বাভাস দেয়া হয়। কৃষির ব্যাপারে বলা হয়, জ্বালানি ও সারের উচ্চ মূল্যের দরুণ কৃষকের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির পরও কৃষি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। তবে এটি বিগত বছরের তুলনায় ভাল। যদি সরকার পলিসি সাপোর্ট দিতে পারে এবং সঠিকভাবে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে তাহলে চলতি অর্থবছরের কৃষি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে উঠবে।
চলতি অর্থবছরে শিল্পের প্রবৃদ্ধি কিছুটা হ্রাস পাবে। বিদায়ী অর্থবছরে শিল্পের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি হ্রাসের মূল কারণ হচ্ছে চাহিদার তুলনায় রফতানি হ্রাস, উচ্চ সুদের হার এবং শ্রম মজুরি, বিদ্যুত ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি। এতে মুনাফা কিছুটা সমন্বয় হয়েছে। উচ্চ সুদের হারের কারণে শিল্পে অবকাঠামো নির্মাণ ও বিনিয়োগ কম আসার আশঙ্কা করা হয়েছে। এরপরও চলতি অর্থবছরে শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এটি নির্ভর করবে অভ্যন্তরীণ ও বাণিজ্যিক চাহিদার উপর এবং অর্থনীতির ভারসাম্যের উপর।
সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি হবে শ্লথ গতিতে। সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হবে। এক্ষেত্রে শিল্প ও কৃষি খাতের সেবা প্রবৃদ্ধি কম হবে। প্রতিবেদনে বলা হয় চলতি অর্থবছরে কিছুটা মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেতে পারে। চলতি অর্থবছরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশের উপর। স্বাভাবিকভাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি উচ্চ পর্যায়ে থাকবে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে মুদ্রাস্ফীতি দেয়া হয় অনেকটা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। তবে ঋণের উপর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্যাপ তুলে নেয়ায় এটি বেসরকারী খাতকে মারাক্তকভাবে আঘাত করে।
চলতি অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধির হার হবে ১০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এই আয় কিছুটা কম হতে পারে। এই রফতানি আয় হ্রাস পাবে মূলত ইউরোজোন সঙ্কট ও আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে। চলতি অর্থবছরে আমদানি প্রবৃদ্ধি হবে ১৫ শতাংশ। গত অর্থবছরে আমদানি বৃদ্ধির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশ। মূলত রেন্টাল বিদ্যুতের জন্য জ্বালানির আমদানি বেড়ে যাওয়ায় মোট আমদানির উপর চাপ পড়ে।
চলতি হিসেবের ঘাটতি হবে জিডিপির ৫ শতাংশ। এ সময় ব্যালেন্স অব পেমেন্টের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। একদিকে আমদানি বাড়বে অপরদিকে রফতানি ও রেমিটেন্স কম আসবে। যদিও সরকার ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চাপ মুক্ত রাখতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে (আইএমএফ) তিন বছরের ঋণ নেয়া কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। ওই কর্মসূচীর মাধ্যমে ১শ’ কোটি ডলার ঋণ নিবে। প্রথম কিস্তি হিসেবে ইতোমধ্যে ১০ কোটি ২৪ লাখ ডলার নিয়েছে।
ভর্তুকি বাজেটের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। যদিও সরকার ভর্তুকি কমাকে বিদ্যুত ও জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করছে। তবে এই সমন্বয় খুব সামান্য সরকারের খরচ বেড়ে যাওয়ার তুলনায়। চলতি অর্থবছরে ভুর্তকির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। ভর্তুকি বেড়ে দাঁড়াবে জিডিপির ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ২ দশমিক ২ শতাংশ। এদিকে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন জ্বালানি আমদানির ব্যয় মেটাতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই সংস্থা ইতোমধ্যে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে ৫২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছে। প্রতিবেদনে ভর্তুকি হ্রাস, বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য ঠিক এবং ঘাটতি কমানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
No comments