বাগমারার এমজি মহিলা কলেজ-কলেজে চাকরি দেওয়ার নামে অধ্যক্ষ-সভাপতির প্রতারণা

রাজশাহীর বাগমারায় একটি কলেজে চাকরি দেওয়ার নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিন শতক জমি ও এক লাখ টাকা নিয়েছিলেন অধ্যক্ষ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি। জমি ও টাকা নেওয়ার পরও ওই ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


এ ঘটনায় ওই ব্যক্তি কলেজের অধ্যক্ষ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে ৮ জুলাই আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তা তালিকাভুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাগমারা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার মজোপাড়া হাটগাঙ্গোপাড়া (এমজি) মহিলা কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ মেছের আলী ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনের সময় হাটগাঙ্গোপাড়া গ্রামের নূর আমীনকে এমএলএসএস পদে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এ জন্য তাঁরা নূর আমীনের কাছে এক লাখ টাকা ও তিন শতক জমি দাবি করেন। নূর আমীন চাকরির আশায় প্রতিষ্ঠানের নামে তিন শতক জমি নিবন্ধন করে দেন এবং নগদ এক লাখ টাকা সভাপতির মাধ্যমে অধ্যক্ষকে দেন। তাঁরা ২০০৩ সালের ১১ আগস্ট নূর আমীনকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেন। সে অনুযায়ী তিনি চাকরিতে যোগ দিয়ে নিয়মিত হাজিরা খাতায় সইও দিতে থাকেন। কিছুদিন যাওয়ার পর তিনি বেতনের জন্য আবেদন করলে নিয়োগপত্রটি ভুয়া বলে জানতে পারেন।
খোঁজ নিয়ে নূর আমীন আরও জানতে পারেন, তাঁর পদে অন্য একজনকে নিয়োগ দিয়ে বেতনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। পরে তিনি তৎকালীন সভাপতি ও বর্তমান অধ্যক্ষের কাছে টাকা ও জমি ফেরত চাইলে তাঁরা টালাবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে সালিস বৈঠক করে তাঁরা নূর আমীনকে দুই লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তা-ও দেননি।
নূর আমীন বলেন, তিনি চাকরি পাওয়ার আশায় প্রতিষ্ঠানের নামে জমি লিখে দিয়েছিলেন, টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি পাননি।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন এজাহারটি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অধ্যক্ষ মেছের আলী ও সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চাকরি দেওয়ার নামে নূর আমীনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা আরও জানান, নূর আমীন স্বেচ্ছায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে জমি লিখে দিয়েছেন। চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে জমি নেওয়া হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.