থাই সরকারের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খারিজ
থাইল্যান্ডের ক্ষমতাসীন পুয়ে থাই পার্টির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গতকাল শুক্রবার সাংবিধানিক আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি আদালতে অভিযোগ করেছিল, রাজতন্ত্রের অবসান ঘটানোর জন্য সরকার সংবিধান সংশোধনের পরিকল্পনা করছে।
অভিযোগের সপক্ষে যথাযথ প্রমাণ হাজির করতে না পারায় আবেদন বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালত।
আট বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেলের অন্যতম বিচারক নুরাক মারপ্রানেত বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আনা রাজতন্ত্র উচ্ছেদের অভিযোগের পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আদালত এ-সংক্রান্ত আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান সংশোধনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানান। সম্ভাব্য বিক্ষোভের আশঙ্কায় রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সেখানে কয়েক শ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির অভিযোগ, রাজতন্ত্রের অবসানের জন্য ক্ষমতাসীনরা সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের এ উদ্যোগ রাজতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে নির্বাচনের পুয়ে থাই পার্টির কাছে পরাজিত হয় ডেমোক্রেটিক পার্টি।
ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতাদের মতে, ২০০৬ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় আসে। এর পরই এই সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। তাই এটি অগণতান্ত্রিক। এ কারণেই তারা সংবিধান সংশোধনীর পক্ষে। পুয়ে থাই পার্টির মুখপাত্র প্রমপং নপ্পারিত বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, 'এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য আগামী সপ্তাহে আমরা বৈঠক করব। তবে সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নতুন সংবিধান পাওয়ার আশাতেই জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে। এ কাজ করা আমাদের দায়িত্ব।' এ প্রসঙ্গে আদালত বলেন, সরকার ধাপে ধাপে সংবিধান পুনর্লিখনের কাজ করতে পারবে। তবে এ কাজ করতে চাইলে আগে অবশ্যই গণভোটের আয়োজন করতে হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে আদালতের বেশ প্রভাব ছিল। আদালতের রায়ে ২০০৮ সালে থাকসিনপন্থী দুই প্রধানমন্ত্রীকে জোরপূর্বক তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আদালতের এ রায়ের মাধ্যমে ডেমোক্রেটিক পার্টির দেশটির ক্ষমতায় আসার পথ সুগম হয়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
আট বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেলের অন্যতম বিচারক নুরাক মারপ্রানেত বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আনা রাজতন্ত্র উচ্ছেদের অভিযোগের পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আদালত এ-সংক্রান্ত আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান সংশোধনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানান। সম্ভাব্য বিক্ষোভের আশঙ্কায় রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সেখানে কয়েক শ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির অভিযোগ, রাজতন্ত্রের অবসানের জন্য ক্ষমতাসীনরা সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের এ উদ্যোগ রাজতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে নির্বাচনের পুয়ে থাই পার্টির কাছে পরাজিত হয় ডেমোক্রেটিক পার্টি।
ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতাদের মতে, ২০০৬ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় আসে। এর পরই এই সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। তাই এটি অগণতান্ত্রিক। এ কারণেই তারা সংবিধান সংশোধনীর পক্ষে। পুয়ে থাই পার্টির মুখপাত্র প্রমপং নপ্পারিত বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, 'এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য আগামী সপ্তাহে আমরা বৈঠক করব। তবে সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নতুন সংবিধান পাওয়ার আশাতেই জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে। এ কাজ করা আমাদের দায়িত্ব।' এ প্রসঙ্গে আদালত বলেন, সরকার ধাপে ধাপে সংবিধান পুনর্লিখনের কাজ করতে পারবে। তবে এ কাজ করতে চাইলে আগে অবশ্যই গণভোটের আয়োজন করতে হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে আদালতের বেশ প্রভাব ছিল। আদালতের রায়ে ২০০৮ সালে থাকসিনপন্থী দুই প্রধানমন্ত্রীকে জোরপূর্বক তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আদালতের এ রায়ের মাধ্যমে ডেমোক্রেটিক পার্টির দেশটির ক্ষমতায় আসার পথ সুগম হয়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments