একটি যোগাযোগ বিপ্লবের ৫০ বছর
আজ থেকে ৫০ বছর আগে বিচ বলের সমান একটি স্যাটেলাইট প্রথমবারের মতো সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু করে। ইন্টারনেট আসার আগে বৈশ্বিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে যা ছিল নতুন এক বিপ্লব। বেল টেলিফোন ল্যাবরেটরিজের তৈরি টেলস্টার স্যাটেলাইটটি ছিল বেসরকারিভাবে প্রথম মহাকাশ নিয়ে গবেষণাও।
এটিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মহাকাশ যুদ্ধের অংশ হিসেবেও দেখা হয়।
১৯৬২ সালের ১০ জুলাই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এর দুই দিন পর এটি টেলিভিশন স্যাটেলাইট সংকেত পাঠায়। এতে ছিল স্ট্যাচু অব লিবার্টি ও আইফেল টাওয়ারের ছবি, যা যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্যের অ্যান্ডোভার ও ফ্রান্সের ব্রিটেনি অঞ্চলের প্লেমু-বদু থেকে ধারণ করা হয়।
১৭০ পাউন্ড (৭৭ কেজি) ওজনের স্যাটেলাইটটি কক্ষপথের নিচু এলাকা থেকে পরিভ্রমণকালে এটি মাত্র ২০ মিনিট পর্যন্ত সংকেত ধারণ করতে পারত।
একই বছরের ২৩ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। সেটিও সম্প্রচার করেছিল ওই স্যাটেলাইট। সংবাদ সম্মেলনে কেনেডি বলেছিলেন, ‘আমরা যে অসাধারণ পৃথিবীতে বসবাস করছি, এটি তারই আরেকটি নিদর্শন।’
পাঁচ দশক পর ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ফ্রাঁসোয়া দেলাত্রিও কেনেডির মতো প্রতিধ্বনি করলেন। ফ্রাঁসোয়া দেলাত্রি বলেছেন, টেলস্টার স্যাটেলাইট এমন প্রযুক্তি প্রবর্তন করেছে, যা পৃথিবীর যেকোনো মানুষকে যেকোনো স্থানের অন্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। টেলস্টারের ৫০ বছর উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স আয়োজিত এক যৌথ অনুষ্ঠানে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ফরাসি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এ স্যাটেলাইট মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলের জন্য নিযুক্ত মার্কিন কনসুলার রবার্ট টেইট বলেন, ‘সম্ভাবনাময় ও শান্তিপূর্ণ একটি ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আমরা যখন প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জনের চেষ্টা করছি, তখন যোগাযোগব্যবস্থা উন্মুক্ত ও নিরাপদ রাখা এবং সব জায়গায় বাক্স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন ধরে রাখাটাই হবে গুরুত্বপূর্ণ।’
স্যাটেলাইটটি অভিযান শেষ করার আগপর্যন্ত চার শতাধিক টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, ফ্যাকসিমাইল ও টেলিভিশন বার্তা পাঠিয়েছিল। এএফপি।
১৯৬২ সালের ১০ জুলাই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এর দুই দিন পর এটি টেলিভিশন স্যাটেলাইট সংকেত পাঠায়। এতে ছিল স্ট্যাচু অব লিবার্টি ও আইফেল টাওয়ারের ছবি, যা যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্যের অ্যান্ডোভার ও ফ্রান্সের ব্রিটেনি অঞ্চলের প্লেমু-বদু থেকে ধারণ করা হয়।
১৭০ পাউন্ড (৭৭ কেজি) ওজনের স্যাটেলাইটটি কক্ষপথের নিচু এলাকা থেকে পরিভ্রমণকালে এটি মাত্র ২০ মিনিট পর্যন্ত সংকেত ধারণ করতে পারত।
একই বছরের ২৩ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। সেটিও সম্প্রচার করেছিল ওই স্যাটেলাইট। সংবাদ সম্মেলনে কেনেডি বলেছিলেন, ‘আমরা যে অসাধারণ পৃথিবীতে বসবাস করছি, এটি তারই আরেকটি নিদর্শন।’
পাঁচ দশক পর ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ফ্রাঁসোয়া দেলাত্রিও কেনেডির মতো প্রতিধ্বনি করলেন। ফ্রাঁসোয়া দেলাত্রি বলেছেন, টেলস্টার স্যাটেলাইট এমন প্রযুক্তি প্রবর্তন করেছে, যা পৃথিবীর যেকোনো মানুষকে যেকোনো স্থানের অন্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। টেলস্টারের ৫০ বছর উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স আয়োজিত এক যৌথ অনুষ্ঠানে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ফরাসি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এ স্যাটেলাইট মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলের জন্য নিযুক্ত মার্কিন কনসুলার রবার্ট টেইট বলেন, ‘সম্ভাবনাময় ও শান্তিপূর্ণ একটি ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আমরা যখন প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জনের চেষ্টা করছি, তখন যোগাযোগব্যবস্থা উন্মুক্ত ও নিরাপদ রাখা এবং সব জায়গায় বাক্স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন ধরে রাখাটাই হবে গুরুত্বপূর্ণ।’
স্যাটেলাইটটি অভিযান শেষ করার আগপর্যন্ত চার শতাধিক টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, ফ্যাকসিমাইল ও টেলিভিশন বার্তা পাঠিয়েছিল। এএফপি।
No comments