পার পেয়ে যাচ্ছে শিবির ॥ এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে অগ্নিকা- জড়িয়ে পড়ছে ছাত্রলীগ by সালাম মশরুর
সিলেট অফিস ॥ সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ‘ছাত্রলীগ কর্মীরাই আগুন দিয়েছে’ একে অপরকে ঘায়েল করতে গিয়ে এখন এমন বক্তব্য প্রকাশ পাচ্ছে। গত ৮ জুলাই এমসি কলেজে অগ্নিকা- ও ছাত্রলীগের বিবদমান গ্রুপ দুটির মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে এমসি কলেজ এলাকায় এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এমসি কলেজ ও আশপাশ এলাকায় দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। প্রতিদিন এলাকায় ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এলাকার অধিবাসী ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এ ঘটনা নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কলেজ ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগকারীরা দেশের শত্রু বলে আখ্যায়িত করেছেন। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী এমসি কলেজ পরিদর্শনকালে কলেজ ছাত্রাবাসের পুড়ে যাওয়া কক্ষগুলো দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। শিক্ষামন্ত্রী ছাত্রাবাসের পুড়ে যাওয়া কক্ষ দেখে আবেগে চোখের পানি ফেলতে থাকেন। ছাত্রজীবনে তিনি এই ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে থেকে লেখাপড়া করেছেন বলে উল্লেখ করেন।
গত ৮ জুলাই ছাত্রলীগ-শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের পর এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রশিবির জড়িত রয়েছে বলে ছাত্রলীগ একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় পুলিশ ১৫ জন শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করে। এদিকে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ওইদিন রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ছাত্রলীগের বিবদমান দুই পক্ষ অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে একে অপরকে দায়ী করছে। এ সুযোগে পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছে শিবির।
ছাত্রলীগ টিলাগড় গ্রুপের সাবেক নেতা বাবলা চৌধুরী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৮ জুলাই সুযোগ বুঝে পরিকল্পিতভাবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রণজিত সরকার ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের নেতৃত্বে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আগুন দেয়া হয়। ওইদিন এ দু’নেতার মদদপুষ্ট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পংকজ পুরকায়স্থ, দেবাংশু দাস মিঠু, জাহাঙ্গীর, মাছুম, এসআর রুমেল, মিঠুন তালুকদারসহ ছাত্রলীগ নেতারা প্রথমে মুসলিম হলে আগুন দেয়। ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরুর পরই টিলাগড় পয়েন্টে রণজিত সরকার ও আজাদুর রহমান তাদের বাহিনীর সদস্যদের পেট্রোলের ব্যবস্থা করে দেন। প্রথমে মুসলিম হলের ছাদে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালানোর পর তা দ্রুত পার্শ্ববর্তী হলগুলোতে ছড়িয়ে যায়। ধ্বংস হয়ে যায় সোয়া শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রাবাস। এরপর হলের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ছাত্রলীগ নেতারা ৪১টি ল্যাপটপসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুটপাট করে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পুড়ে যাওয়া ছাত্রাবাস পরিদর্শনে গেলে সাবেক ছাত্রনেতা বাবলা চৌধুরী এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীরা জড়িত রয়েছে বলে অর্থমন্ত্রীর কাছে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পংকজ পুরকায়স্থ আগুন লাগানোর ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ‘একটি মহল নিজেদের স্বার্থে এ অপপ্রচার চালাচ্ছে। শিবিরই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার অমূল্য ভূষণ বড়–য়া বলেন, ‘তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারও জড়িত থাকার কথা চূড়ান্ত করে বলা যাবে না।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘অগ্নিসংযোগকারীরা আওয়ামী লীগের শত্রু। সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে তারা এ অপতৎপরতা চালাচ্ছে। অচিরেই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গত ৮ জুলাই ছাত্রলীগ-শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের পর এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রশিবির জড়িত রয়েছে বলে ছাত্রলীগ একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় পুলিশ ১৫ জন শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করে। এদিকে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ওইদিন রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ছাত্রলীগের বিবদমান দুই পক্ষ অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে একে অপরকে দায়ী করছে। এ সুযোগে পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছে শিবির।
ছাত্রলীগ টিলাগড় গ্রুপের সাবেক নেতা বাবলা চৌধুরী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৮ জুলাই সুযোগ বুঝে পরিকল্পিতভাবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রণজিত সরকার ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের নেতৃত্বে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আগুন দেয়া হয়। ওইদিন এ দু’নেতার মদদপুষ্ট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পংকজ পুরকায়স্থ, দেবাংশু দাস মিঠু, জাহাঙ্গীর, মাছুম, এসআর রুমেল, মিঠুন তালুকদারসহ ছাত্রলীগ নেতারা প্রথমে মুসলিম হলে আগুন দেয়। ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরুর পরই টিলাগড় পয়েন্টে রণজিত সরকার ও আজাদুর রহমান তাদের বাহিনীর সদস্যদের পেট্রোলের ব্যবস্থা করে দেন। প্রথমে মুসলিম হলের ছাদে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালানোর পর তা দ্রুত পার্শ্ববর্তী হলগুলোতে ছড়িয়ে যায়। ধ্বংস হয়ে যায় সোয়া শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রাবাস। এরপর হলের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ছাত্রলীগ নেতারা ৪১টি ল্যাপটপসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুটপাট করে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পুড়ে যাওয়া ছাত্রাবাস পরিদর্শনে গেলে সাবেক ছাত্রনেতা বাবলা চৌধুরী এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীরা জড়িত রয়েছে বলে অর্থমন্ত্রীর কাছে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পংকজ পুরকায়স্থ আগুন লাগানোর ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ‘একটি মহল নিজেদের স্বার্থে এ অপপ্রচার চালাচ্ছে। শিবিরই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার অমূল্য ভূষণ বড়–য়া বলেন, ‘তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারও জড়িত থাকার কথা চূড়ান্ত করে বলা যাবে না।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘অগ্নিসংযোগকারীরা আওয়ামী লীগের শত্রু। সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে তারা এ অপতৎপরতা চালাচ্ছে। অচিরেই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
No comments