পাকা ব্রিজের অভাবে
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বোরাঘাট নদীর ওপর একটি পাকা ব্রিজের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। ব্রিজ না থাকায় প্রতিদিন দুর্ভোগ আর ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। বর্ষাকালে এই দুর্ভোগ হয়ে ওঠে অসহনীয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্বাচন এলেই ব্রিজটি নির্মাণে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু নির্বাচনের পর কথা রাখেনি কেউ। এ নিয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরের পাহাড়ী নদী বোরাঘাট। গাজীরভিটা ইউনিয়নের এই বোরাঘাট নদীতে পাকা ব্রিজ না থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে নদীর ওপর অস্থায়ীভাবে নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকোই এখন হালুয়াঘাট উপজেলার সদরের সঙ্গে গ্রামবাসীর মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। নড়বড়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে বাধ্য হয়ে এই বাঁশের সাঁকো পারাপার হতে হচ্ছে। ফলে মালামাল পরিবহন ছাড়াও নিয়মিত যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে। প্রতিবছর বর্ষাকালে এই দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। এ সময় অনেকটা পথ ঘুরে গন্তব্যে যেতে হয় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে। একটি পাকা ব্রিজ না থাকায় মালামাল পরিবহন ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার নানা সমস্যার কথা জানান স্থানীয় গাজীরভিটা ইউনিয়নের মেম্বার মিসেস ঝর্ণা পাথাং। আদিবাসী এই ইউপি সদস্য অভিযোগ করে জানান, গত নির্বাচনের আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিনসহ অনেক জনপ্রতিনিধি গাজীরভিটার বোরাঘাট নদীতে ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পর এই প্রতিশ্রুতির এখন পর্যন্ত কোন প্রতিফলন নেই। অথচ গাজীরভিটার মানুষকে এই নদী পার হয়েই হালুয়াঘাট সদরে যাতায়াত করতে হয় প্রতিদিন। মালামাল পরিবহনেও এর কোন বিকল্প নেই। বর্ষাকালে পাহাড়ী ঢলের কারণে প্রবল তোড়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো ভেসে যায়। এসময় অনেকটা ঘুরপথে হালুয়াঘাট সদরে যেতে হয় বলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এ নিয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আলী আসগর অভিযোগ করে জানান, সরকার যায় সরকার আসে কিন্তু সাঁকোর স্থলে নির্মাণ করা হয় না স্থায়ী কোন পাকা ব্রিজ। নির্বাচনের পর কেউ প্রতিশ্রুতি রাখে না বলেও জানান তিনি।
তবে বোরাঘাট নদীতে পাকা ব্রিজ স্থাপনে আশার কথা জানালেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডির স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, স্থানীয় প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপির সুপারিশসহ পাকা ব্রিজ নির্মাণের একটি আবেদন এখন মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন রয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলেই সাঁকোর স্থলে পাকা ব্রিজ করা হবে। বোরাঘাট নদীতে পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা হলে স্থানীয় সূর্যপুর বাজার ও গাজীরভিটা ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও হালুয়াঘাট উপজেলা সদরের সঙ্গে গাজীরভিটার সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে। সেই সঙ্গে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের একটি প্রাণের দাবিও পূরণ হবে।
বাবুল হোসেন, ময়মনসিংহ
স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরের পাহাড়ী নদী বোরাঘাট। গাজীরভিটা ইউনিয়নের এই বোরাঘাট নদীতে পাকা ব্রিজ না থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে নদীর ওপর অস্থায়ীভাবে নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকোই এখন হালুয়াঘাট উপজেলার সদরের সঙ্গে গ্রামবাসীর মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। নড়বড়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে বাধ্য হয়ে এই বাঁশের সাঁকো পারাপার হতে হচ্ছে। ফলে মালামাল পরিবহন ছাড়াও নিয়মিত যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে। প্রতিবছর বর্ষাকালে এই দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। এ সময় অনেকটা পথ ঘুরে গন্তব্যে যেতে হয় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে। একটি পাকা ব্রিজ না থাকায় মালামাল পরিবহন ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার নানা সমস্যার কথা জানান স্থানীয় গাজীরভিটা ইউনিয়নের মেম্বার মিসেস ঝর্ণা পাথাং। আদিবাসী এই ইউপি সদস্য অভিযোগ করে জানান, গত নির্বাচনের আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিনসহ অনেক জনপ্রতিনিধি গাজীরভিটার বোরাঘাট নদীতে ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পর এই প্রতিশ্রুতির এখন পর্যন্ত কোন প্রতিফলন নেই। অথচ গাজীরভিটার মানুষকে এই নদী পার হয়েই হালুয়াঘাট সদরে যাতায়াত করতে হয় প্রতিদিন। মালামাল পরিবহনেও এর কোন বিকল্প নেই। বর্ষাকালে পাহাড়ী ঢলের কারণে প্রবল তোড়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো ভেসে যায়। এসময় অনেকটা ঘুরপথে হালুয়াঘাট সদরে যেতে হয় বলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এ নিয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আলী আসগর অভিযোগ করে জানান, সরকার যায় সরকার আসে কিন্তু সাঁকোর স্থলে নির্মাণ করা হয় না স্থায়ী কোন পাকা ব্রিজ। নির্বাচনের পর কেউ প্রতিশ্রুতি রাখে না বলেও জানান তিনি।
তবে বোরাঘাট নদীতে পাকা ব্রিজ স্থাপনে আশার কথা জানালেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডির স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, স্থানীয় প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপির সুপারিশসহ পাকা ব্রিজ নির্মাণের একটি আবেদন এখন মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন রয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলেই সাঁকোর স্থলে পাকা ব্রিজ করা হবে। বোরাঘাট নদীতে পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা হলে স্থানীয় সূর্যপুর বাজার ও গাজীরভিটা ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও হালুয়াঘাট উপজেলা সদরের সঙ্গে গাজীরভিটার সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে। সেই সঙ্গে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের একটি প্রাণের দাবিও পূরণ হবে।
বাবুল হোসেন, ময়মনসিংহ
No comments