বৈঠকে আটকা বুয়েট সংকট-আন্দোলন চলবে, আজ মৌন মিছিল : শিক্ষক সমিতি
একদিকে উপাচার্যকে আলোচনায় বসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, অন্যদিকে সেই আলোচনায় শিক্ষক সমিতির 'না'- এভাবে বিবদমান দুই পক্ষই অনড় থাকার কারণে বুয়েট সংকট সমাধানের মূল বৈঠকটি এখনো হয়নি। তবে দুই পক্ষই আলাদাভাবে বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে। আর এতে বৈঠকেই আটকে আছে বুয়েটের চলমান সংকট।
শিক্ষক সমিতির এক কথা- কোনো আলোচনা নয়, আগে উপাচার্যের পদত্যাগ। আর উপাচার্য বলছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। শিগগিরই আলোচনায় বসার ডাক দেবেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আর রাত ৮টায় শিক্ষক সমিতি আন্দোলনের পরবর্তী কৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসে। রাতে উপাচার্য, উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেন।
গতকাল চতুর্থ দিনের মতো বুয়েটে অচলাবস্থা চলেছে। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে 'ধিক্কার ব্যানার' তৈরি করেন। এ ব্যানারে উপাচার্যকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন মন্তব্য লেখা হয়। সেই সঙ্গে বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, গতকালও শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতেও আন্দোলনকারীরা কাউন্সিল ভবনের সামনে অবস্থান করেন। গতকাল সকাল থেকে মিছিল-স্লোগানে সরব হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় আন্দোলনকারীরা সংখ্যায় কম ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুয়েটের উপাচার্য ড. এস এম নজরুল ইসলামকে সংকট সমাধানের জন্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বললেও শিক্ষক সমিতি তা মানেনি। সমিতি বলেছে, যাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন, তাঁর সঙ্গে আবার আলোচনা কিসের? সমিতি বুয়েটের সংকট কাটাতে সরাসরি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। সব মিলিয়ে ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংকট সমাধানের আভাস মিলছে না।
সংকট কাটানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী অব্যাহতভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বুয়েটের উপাচার্যের সঙ্গে গতকাল দুপুরে বৈঠকের পর বিকেলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, দুই পক্ষই অনড় থাকলে সমস্যার সমাধান হবে না। যেকোনো এক পক্ষকে আলোচনার জন্য এগিয়ে যেতে হবে।
বুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম গত রাতের বৈঠকের পর কালের কণ্ঠকে বলেন, 'উপাচার্য, উপ-উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শনিবার সকাল ১১টায় মৌন মিছিল করা হবে। চলমান অবস্থান ধর্মঘটও অব্যাহত থাকবে।' এর আগে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'চলমান সংকট নিরসনে উপাচার্যের সঙ্গে নয়, বুয়েটের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা চাই আমরা। শিক্ষক সমিতি মনে করে, যাঁর পদত্যাগের জন্য আন্দোলন, তাঁর সঙ্গে আলোচনার কোনো মানে হয় না।' তিনি বলেন, 'উপাচার্যের সঙ্গে আগে বহুবার আলোচনা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেও সমাধান হয়নি। এখন আলোচনা কেবল সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সঙ্গে হতে পারে। আমাদের একটাই দাবি, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ।' তিনি বলেন, 'আমরা তো দুই বছর ধরে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে আসছি। তাতে কাজ হয়নি। এখন আর তাঁর সঙ্গে আলোচনার সুযোগ নেই।' গত রাতের বৈঠকের পর তিনি আরো বলেন, সরকারের দিক থেকে সরাসরি প্রস্তাব এলে পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হতে পারে।
ওদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেন। তবে রাতে আর কোনো সমস্যা হয়নি বলে ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান।
১৬টি অভিযোগ এনে শিক্ষক সমিতি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ৭ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এক মাসের জন্য তা স্থগিত করে। কিন্তু সংকট না কাটায় গত ৭ জুলাই থেকে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে শিক্ষক সমিতি। পরে তারা পুনঃকর্মবিরতির ডাক দিলে উপাচার্য গ্রীষ্মকালীন অবকাশ, রোজা ও ঈদের নামে ৪৪ দিনের ছুটি ঘোষণা করেন। এর পর থেকেই আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট।
গতকাল চতুর্থ দিনের মতো বুয়েটে অচলাবস্থা চলেছে। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে 'ধিক্কার ব্যানার' তৈরি করেন। এ ব্যানারে উপাচার্যকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন মন্তব্য লেখা হয়। সেই সঙ্গে বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, গতকালও শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতেও আন্দোলনকারীরা কাউন্সিল ভবনের সামনে অবস্থান করেন। গতকাল সকাল থেকে মিছিল-স্লোগানে সরব হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় আন্দোলনকারীরা সংখ্যায় কম ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুয়েটের উপাচার্য ড. এস এম নজরুল ইসলামকে সংকট সমাধানের জন্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বললেও শিক্ষক সমিতি তা মানেনি। সমিতি বলেছে, যাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন, তাঁর সঙ্গে আবার আলোচনা কিসের? সমিতি বুয়েটের সংকট কাটাতে সরাসরি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। সব মিলিয়ে ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংকট সমাধানের আভাস মিলছে না।
সংকট কাটানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী অব্যাহতভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বুয়েটের উপাচার্যের সঙ্গে গতকাল দুপুরে বৈঠকের পর বিকেলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, দুই পক্ষই অনড় থাকলে সমস্যার সমাধান হবে না। যেকোনো এক পক্ষকে আলোচনার জন্য এগিয়ে যেতে হবে।
বুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম গত রাতের বৈঠকের পর কালের কণ্ঠকে বলেন, 'উপাচার্য, উপ-উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শনিবার সকাল ১১টায় মৌন মিছিল করা হবে। চলমান অবস্থান ধর্মঘটও অব্যাহত থাকবে।' এর আগে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'চলমান সংকট নিরসনে উপাচার্যের সঙ্গে নয়, বুয়েটের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা চাই আমরা। শিক্ষক সমিতি মনে করে, যাঁর পদত্যাগের জন্য আন্দোলন, তাঁর সঙ্গে আলোচনার কোনো মানে হয় না।' তিনি বলেন, 'উপাচার্যের সঙ্গে আগে বহুবার আলোচনা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেও সমাধান হয়নি। এখন আলোচনা কেবল সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সঙ্গে হতে পারে। আমাদের একটাই দাবি, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ।' তিনি বলেন, 'আমরা তো দুই বছর ধরে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে আসছি। তাতে কাজ হয়নি। এখন আর তাঁর সঙ্গে আলোচনার সুযোগ নেই।' গত রাতের বৈঠকের পর তিনি আরো বলেন, সরকারের দিক থেকে সরাসরি প্রস্তাব এলে পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হতে পারে।
ওদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেন। তবে রাতে আর কোনো সমস্যা হয়নি বলে ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান।
১৬টি অভিযোগ এনে শিক্ষক সমিতি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ৭ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এক মাসের জন্য তা স্থগিত করে। কিন্তু সংকট না কাটায় গত ৭ জুলাই থেকে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে শিক্ষক সমিতি। পরে তারা পুনঃকর্মবিরতির ডাক দিলে উপাচার্য গ্রীষ্মকালীন অবকাশ, রোজা ও ঈদের নামে ৪৪ দিনের ছুটি ঘোষণা করেন। এর পর থেকেই আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট।
No comments