রোহিঙ্গা সংকট-পশ্চিমা চাপে অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। বিদেশিদের এমন অবস্থানে বাংলাদেশ অসন্তুষ্ট। কারণ, ১৯৫১ সালের জাতিসংঘ শরণার্থী কনভেনশনে সই না করেও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।
তাই নতুন করে শরণার্থীদের আসতে দিতে আগ্রহী নয় ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দুই শীর্ষ কূটনীতিক এবং জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধিকে সরকারের এ অভিমত জানানো হয়েছে।
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের মধ্যে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘ। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া এসব রোহিঙ্গাকে ফেরত না পাঠাতে ইউএনএইচসিআর অনুরোধ জানিয়েছে। ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রেইগ স্যান্ডার্স গতকাল এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি তাঁর সংস্থার অনুরোধ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েসের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।
গতকাল বিকেলে ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রদূত নিকোলাস ডিন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে কথা বলতে পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া এবং মানবিক কারণে তাদের মিয়ানমারে ফেরত না পাঠানোর বিষয়ে দুই পশ্চিমা কূটনীতিক তাঁদের দেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানান।
দুই বৈঠকেই পররাষ্ট্রসচিব স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, বাংলাদেশ বেশ সতর্কতার সঙ্গেই বিষয়টি মোকাবিলা করছে। শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘ কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো কনভেনশনে বাংলাদেশ সই করেনি। তাই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশের দায়বদ্ধতা নেই। তার পরও দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কারণে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়ছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়াটাকেই সমাধানের একমাত্র উপায় হিসেবে মনে করে। তবে প্রত্যাবাসনটা স্বেচ্ছায় হোক—এ নীতিটা বাংলাদেশ মেনে চলেছে।
মার্কিন উদ্বেগ: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের ঠাঁয় দিতে বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড ১৩ জুন তাঁর দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মিয়ানমারের জাতিগত ও ধর্মীয় সংঘাত থেকে পালিয়ে বাঁচা লোকজনকে বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমাদের অনুরোধ, শরণার্থীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদের সঙ্গে সংগতি রেখে শরণার্থীদের ফেরত না পাঠানোর দীর্ঘদিনের অনুসৃত নীতির প্রতি বাংলাদেশ শ্রদ্ধা দেখাবে।’
মানবাধিকার সংগঠনের উদ্বেগ: মানবাধিকার সংগঠন অধিকার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে সরকারের কঠোর অবস্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টিকে মানবিক নৈতিকতাবোধ থেকে বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দুই শীর্ষ কূটনীতিক এবং জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধিকে সরকারের এ অভিমত জানানো হয়েছে।
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের মধ্যে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘ। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া এসব রোহিঙ্গাকে ফেরত না পাঠাতে ইউএনএইচসিআর অনুরোধ জানিয়েছে। ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রেইগ স্যান্ডার্স গতকাল এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি তাঁর সংস্থার অনুরোধ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েসের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।
গতকাল বিকেলে ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রদূত নিকোলাস ডিন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে কথা বলতে পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া এবং মানবিক কারণে তাদের মিয়ানমারে ফেরত না পাঠানোর বিষয়ে দুই পশ্চিমা কূটনীতিক তাঁদের দেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানান।
দুই বৈঠকেই পররাষ্ট্রসচিব স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, বাংলাদেশ বেশ সতর্কতার সঙ্গেই বিষয়টি মোকাবিলা করছে। শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘ কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো কনভেনশনে বাংলাদেশ সই করেনি। তাই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশের দায়বদ্ধতা নেই। তার পরও দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কারণে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়ছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়াটাকেই সমাধানের একমাত্র উপায় হিসেবে মনে করে। তবে প্রত্যাবাসনটা স্বেচ্ছায় হোক—এ নীতিটা বাংলাদেশ মেনে চলেছে।
মার্কিন উদ্বেগ: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের ঠাঁয় দিতে বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড ১৩ জুন তাঁর দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মিয়ানমারের জাতিগত ও ধর্মীয় সংঘাত থেকে পালিয়ে বাঁচা লোকজনকে বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমাদের অনুরোধ, শরণার্থীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদের সঙ্গে সংগতি রেখে শরণার্থীদের ফেরত না পাঠানোর দীর্ঘদিনের অনুসৃত নীতির প্রতি বাংলাদেশ শ্রদ্ধা দেখাবে।’
মানবাধিকার সংগঠনের উদ্বেগ: মানবাধিকার সংগঠন অধিকার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে সরকারের কঠোর অবস্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টিকে মানবিক নৈতিকতাবোধ থেকে বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
No comments