মিরসরাইয়ে শিশু রুবেলের সংগ্রামী পথচলা
যে বয়সে বন্ধুদের সাথে বই খাতা নিয়ে তার স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সেই জীবন জীবিকার তাগিদে তাকে হাতে তুলে নিতে হয়েছে সংসারের দায়িত্ব। পাহাড় থেকে বাঁশ সংগ্রহের পর তা বিক্রি করেই চলছে তার দিনকাল।
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মিরসরাই সদর ইউনিয়নের আমবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র ফকির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল (১২)। শিশুকাল থেকে পাহাড় থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। মাত্র সাত বছর বয়স থেকে রুবেল পাহাড়ে যাওয়া শুরু করে। জীবনে সে কোনোদিন স্কুলে যায়নি। পরিবারের কাছথেকেও পায়নি নূন্যতম অক্ষর জ্ঞানের শিক্ষা। চার বছর বয়সে তার মা মারা যায় দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করলে আরো অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে রুবেল। ফলে নিরুপায় হয়েই তাকে বেছে নিতে হয়েছে এই ঝুঁকিপূর্ণ পেশা।
রুবেল জানায়, সে সপ্তাহে ৫-৬ দিন পাহাড়ে যায়। ১৫-২০ মাইল পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে সংগ্রহ করে বাঁশ। প্রতিদিন তার আয় হয় ১৫০ টাকা। এই টাকা দিয়ে তার বাবার সংসার চালানোর কাজে সহায়তা করে।
ছয় ভাই বোনের মধ্যে রুবেল সবার ছোট। তার আরেক ভাইও পাহাড় থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে। রুবেল জানায়, এলাকায় ছোট বলে কেউ আমাকে কাজ দিতে চায় না। তাই বাধ্য হয়ে আমি পাহাড়ে যাই। প্রতিদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খেটে ১৫-২০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আয় হয় মাত্র ১৫০ টাকা।
এলাকায় কোনো কাজ না থাকায় রুবেল বাধ্য হয়েই বেছে নেয় ঝুঁকিপূর্ণ এ পেশা। প্রতিনিয়ত পাহাড়ে হাড় ভাঙ্গা খাটুনি খাটায় তার স্বাভাবিক বৃদ্ধিও ব্যাহত হচ্ছে। তবুও যেন উপায় নেই।
পড়ালেখা না করায় তার সমবয়সীরা তাকে নানা কটূক্তি করে। অবসরে কেউ তার সাথে খেলতে চায় না। এসব তার ভালো লাগে না। রুবেল জানায়, তার স্কুলে যেতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু একদিন পাহাড়ে না গেলে তাকে এবং তার পরিবারকে অভুক্ত থাকতে হবে। তাই ইচ্ছে থাকলেও পড়ালেখা করার সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
ভবিষ্যত স্বপ্ন সম্পর্কে রুবেল বলে, সে আর কয়েক বছর পাহাড়ে যাবে। কিছু টাকা জমিয়ে ব্যবসা শুরু করবে।
রুবেল জানায়, সে সপ্তাহে ৫-৬ দিন পাহাড়ে যায়। ১৫-২০ মাইল পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে সংগ্রহ করে বাঁশ। প্রতিদিন তার আয় হয় ১৫০ টাকা। এই টাকা দিয়ে তার বাবার সংসার চালানোর কাজে সহায়তা করে।
ছয় ভাই বোনের মধ্যে রুবেল সবার ছোট। তার আরেক ভাইও পাহাড় থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে। রুবেল জানায়, এলাকায় ছোট বলে কেউ আমাকে কাজ দিতে চায় না। তাই বাধ্য হয়ে আমি পাহাড়ে যাই। প্রতিদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খেটে ১৫-২০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আয় হয় মাত্র ১৫০ টাকা।
এলাকায় কোনো কাজ না থাকায় রুবেল বাধ্য হয়েই বেছে নেয় ঝুঁকিপূর্ণ এ পেশা। প্রতিনিয়ত পাহাড়ে হাড় ভাঙ্গা খাটুনি খাটায় তার স্বাভাবিক বৃদ্ধিও ব্যাহত হচ্ছে। তবুও যেন উপায় নেই।
পড়ালেখা না করায় তার সমবয়সীরা তাকে নানা কটূক্তি করে। অবসরে কেউ তার সাথে খেলতে চায় না। এসব তার ভালো লাগে না। রুবেল জানায়, তার স্কুলে যেতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু একদিন পাহাড়ে না গেলে তাকে এবং তার পরিবারকে অভুক্ত থাকতে হবে। তাই ইচ্ছে থাকলেও পড়ালেখা করার সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
ভবিষ্যত স্বপ্ন সম্পর্কে রুবেল বলে, সে আর কয়েক বছর পাহাড়ে যাবে। কিছু টাকা জমিয়ে ব্যবসা শুরু করবে।
No comments