মানুষ মানুষের জন্য-আসুন বেদনা ভাগ করে নিই by আনিসুল হক
মাহবুব কামালের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। আমরা যারা নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনের সময় থেকে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত, যারা সাংবাদিকতা শুরু করেছি সাপ্তাহিক যায়যায়দিন বা চলতিপত্রের মতো পত্রিকাগুলোয় লেখালেখি করে, মাহবুব কামাল তাঁদেরই একজন।
কলামলেখক হিসেবে তিনি সিদ্ধহস্ত।
এই মাহবুব ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলেই মনটা দমে যায়। তিনি মুখ ফুটে বলতে পারছেন না। কিন্তু তাঁর কষ্টটা বুঝতে পারি।
সমস্যা মাহবুব কামালকে নিয়ে নয়। তিনি ভালো আছেন। একটি পত্রিকায় যুক্ত আছেন এবং তার ধারালো কলম সক্রিয় আছে।
কিন্তু তার ছোটভাই সাংবাদিক মুকুল মাহবুব (৫০) ভালো নেই। মুকুল মাহবুব সাংবাদিক হিসেবে নানা সংবাদপ্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন এটিএন বাংলার লালমনিরহাট প্রতিনিধি। সর্বশেষ তিনি ছিলেন সিএসবি টেলিভিশনের প্রতিবেদক। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০০৮ সালে মুকুল মাহবুব সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। দীর্ঘদিন পুরো অচেতন ছিলেন। এখন জ্ঞান ফিরেছে। গ্রামের বাড়িতে তিনি ফিরে গেছেন। তাঁর এক পা এক চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তিনি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলছেন।
চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে গিয়ে তাঁর পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে মুকুল মাহবুবের ছিল স্বপ্নময় গোছানো সংসার। এখন তাঁর সংসার চলছে না। অর্ধাহারে অনাহারে তাঁদের দিন কাটে।
মাহবুব কামাল এসব কথা আমাদের বলতে চান না। কিন্তু মুকুলের স্ত্রী দুলালি বেগম নিশ্চুপ থাকতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীকে বাঁচান। আমার সংসারটা যাতে চলে কোনো একটা ব্যবস্থা করেন।’
মাথাটা নিচু হয়ে যায়। একজন সাংবাদিক কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শয্যাশায়ী হলে তার পরিবার এতটা দুরবস্থায় কেন পড়বে? আমরা কবে এমন সমাজ, এমন রাষ্ট্র পাব, যখন কোনো পেশাজীবীর পরিবারকে অসহায় হয়ে পড়তে হবে না? সেই দিন আসতে ঢের বাকি, তবু তো বসে থাকা চলবে না। আসুন না, আমরা মুকুল মাহবুব ও তাঁর অসহায় পরিবারের পাশে এসে দাঁড়াই। তাঁদের বেদনা ভাগ করে নিই। আনন্দ ভাগ করে নিলে বাড়ে, বেদনা ভাগ করে নিলে কমে।
মাহবুব কামাল, পূবালী ব্যাংক, প্রিন্সিপাল শাখা, হিসাব নম্বর ৩৫৫৫১০১০৪২১১৪—এই অ্যাকাউন্টে সবাই যদি কিছু কিছু অনুদান পাঠাই, আমাদের ভাইবোন ভ্রাতুষ্পুত্রের মতো কিছু মানুষ উপকৃত হবে।
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
এই মাহবুব ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলেই মনটা দমে যায়। তিনি মুখ ফুটে বলতে পারছেন না। কিন্তু তাঁর কষ্টটা বুঝতে পারি।
সমস্যা মাহবুব কামালকে নিয়ে নয়। তিনি ভালো আছেন। একটি পত্রিকায় যুক্ত আছেন এবং তার ধারালো কলম সক্রিয় আছে।
কিন্তু তার ছোটভাই সাংবাদিক মুকুল মাহবুব (৫০) ভালো নেই। মুকুল মাহবুব সাংবাদিক হিসেবে নানা সংবাদপ্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন এটিএন বাংলার লালমনিরহাট প্রতিনিধি। সর্বশেষ তিনি ছিলেন সিএসবি টেলিভিশনের প্রতিবেদক। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০০৮ সালে মুকুল মাহবুব সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। দীর্ঘদিন পুরো অচেতন ছিলেন। এখন জ্ঞান ফিরেছে। গ্রামের বাড়িতে তিনি ফিরে গেছেন। তাঁর এক পা এক চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তিনি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলছেন।
চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে গিয়ে তাঁর পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে মুকুল মাহবুবের ছিল স্বপ্নময় গোছানো সংসার। এখন তাঁর সংসার চলছে না। অর্ধাহারে অনাহারে তাঁদের দিন কাটে।
মাহবুব কামাল এসব কথা আমাদের বলতে চান না। কিন্তু মুকুলের স্ত্রী দুলালি বেগম নিশ্চুপ থাকতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীকে বাঁচান। আমার সংসারটা যাতে চলে কোনো একটা ব্যবস্থা করেন।’
মাথাটা নিচু হয়ে যায়। একজন সাংবাদিক কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শয্যাশায়ী হলে তার পরিবার এতটা দুরবস্থায় কেন পড়বে? আমরা কবে এমন সমাজ, এমন রাষ্ট্র পাব, যখন কোনো পেশাজীবীর পরিবারকে অসহায় হয়ে পড়তে হবে না? সেই দিন আসতে ঢের বাকি, তবু তো বসে থাকা চলবে না। আসুন না, আমরা মুকুল মাহবুব ও তাঁর অসহায় পরিবারের পাশে এসে দাঁড়াই। তাঁদের বেদনা ভাগ করে নিই। আনন্দ ভাগ করে নিলে বাড়ে, বেদনা ভাগ করে নিলে কমে।
মাহবুব কামাল, পূবালী ব্যাংক, প্রিন্সিপাল শাখা, হিসাব নম্বর ৩৫৫৫১০১০৪২১১৪—এই অ্যাকাউন্টে সবাই যদি কিছু কিছু অনুদান পাঠাই, আমাদের ভাইবোন ভ্রাতুষ্পুত্রের মতো কিছু মানুষ উপকৃত হবে।
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
No comments