ছেলেখেলা নয়
বাংলায় 'ছেলের হাতের মোয়া' বলে একটা কথা চালু আছে। কোনো জিনিস সহজলভ্য নয় বোঝাতেই এমনটি বলা হয়। পরীক্ষার খাতায় নম্বর পাওয়াটা যে ছেলের হাতের মোয়া নয়, সেটা পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবক পর্যন্ত সবারই জানা। সব অভিভাবক যেমন চান, তাঁদের সন্তান পরীক্ষায় ভালো ফল করুক, তেমনি সব পরীক্ষার্থীই পরীক্ষার খাতায় তার মেধার সর্বোচ্চ পরিচয় ফুটিয়ে তুলতে চায়। ভালো ফলের আশা তো সবারই।
কিন্তু সবার ফল আশানুরূপ হয় না। ভালো ফল সবাই করতে পারে না। এর জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যেমন দায়ী, তেমনি সবার মেধা সমান নয়। কিন্তু যখন অনেক শিক্ষার্থীই তাদের কাঙ্ক্ষিত ফল পায় না, তখন তাদের হতাশ হতে হয়। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, যখন এই কম নম্বরপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সংশিষ্ট শিক্ষকরাই দায়ী বলে প্রমাণিত হয়, তখন কী হবে?
এমন ঘটনাই ঘটেছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে। সেখানে পরীক্ষার খাতার সঙ্গে নম্বরপত্রের অসংগতি ধরা পড়েছে। খাতা নতুন করে পরীক্ষা করে দেখার পর জিপিএ-৪ পাওয়া ২৬ শিক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ নিরীক্ষার পরে শুধুু ইসলাম ধর্ম বিষয়ে ৩৬ শিক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ইসলাম ধর্ম বিষয়ে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় মোট ফলাফলে জিপিএ-৪ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৯ জন সংশোধিত ফলে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এতে নম্বরপত্র চ্যালেঞ্জ করা মোট ১১২ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তিত হয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের সবাই কোমলমতি। গত জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এরা। গত ৩০ ডিসেম্বর জেএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় জানিয়েছে, উত্তরপত্র থেকে নম্বর যোগ করে তা নম্বর ফর্দে ওঠানোর সময় বৃত্ত ভরাট করতে গিয়ে এ বিপত্তি ঘটেছে। তারা বলেছে, বৃত্ত ভরাট করতে গিয়ে পরীক্ষকরা ৮৮ নম্বরের বিপরীতে ৪৪ হিসেবে বৃত্ত ভরাট করেছেন। একইভাবে ৮৩ নম্বরের স্থলে ৩৮, ৬২-এর স্থলে ১২, ৯৬-এর স্থলে ৬৬, ৮০-এর স্থলে শূন্য, ৮৫-এর স্থলে ৫, ৮০-এর স্থলে ৪০ নম্বর দিয়েছেন। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে খাতার নম্বর যোগ করার সময় সব পাতার নম্বর যোগ করা হয়নি। যেসব শিক্ষার্থী এ ধরনের ভুলের শিকার হয়েছে, তারা চ্যালেঞ্জ করায় পুনর্নিরীক্ষায় ফল পরিবর্তন করা হয়েছে।
ব্যাপারটা এমন যেন মনে হবে, খাতা দেখার নামে বা নম্বর ফর্দে নম্বর যোগ করার ক্ষেত্রে পরীক্ষকরা রীতিমতো ছেলেখেলা করে গেছেন। কিন্তু এটা যে পরীক্ষার্থীদের জন্য অনেকটাই জীবন নিয়ে খেলার মতো, সেটা পরীক্ষকরা বোধ হয় ভেবে দেখেননি। একজন পরীক্ষক একজন শিক্ষকও। কোনো শিক্ষক নৈতিকভাবে এমন কাজ করতে পারেন না। একজন শিক্ষকের কাছে সব শিক্ষার্থীই সমান, তিনি কাউকেই বঞ্চিত করতে পারেন না। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন কাজ কোনো শিক্ষক করলে তাঁর কী হবে? এ ব্যাপারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, যেসব পরীক্ষক নম্বরপত্রে নম্বর তোলার ক্ষেত্রে ভুল করেছেন, তাঁরা দুই বছর পরীক্ষক বা প্রধান পরীক্ষক হওয়ার সুযোগ পাবেন না। তাঁর ভাষ্য, এর বেশি শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা তাঁদের নেই। তবে কোনো পরীক্ষক খাতায় পরীক্ষার্থীর প্রত্যাশা অনুযায়ী নম্বর না দিয়ে থাকলে তাঁদের করার কিছুই নেই। কেন এমন হবে, একজন নয়, কয়েকজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নিয়ে এভাবে ছেলেখেলা করার শাস্তি কেবল এটুকুই!
এমন ঘটনাই ঘটেছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে। সেখানে পরীক্ষার খাতার সঙ্গে নম্বরপত্রের অসংগতি ধরা পড়েছে। খাতা নতুন করে পরীক্ষা করে দেখার পর জিপিএ-৪ পাওয়া ২৬ শিক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ নিরীক্ষার পরে শুধুু ইসলাম ধর্ম বিষয়ে ৩৬ শিক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ইসলাম ধর্ম বিষয়ে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় মোট ফলাফলে জিপিএ-৪ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৯ জন সংশোধিত ফলে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এতে নম্বরপত্র চ্যালেঞ্জ করা মোট ১১২ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তিত হয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের সবাই কোমলমতি। গত জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এরা। গত ৩০ ডিসেম্বর জেএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় জানিয়েছে, উত্তরপত্র থেকে নম্বর যোগ করে তা নম্বর ফর্দে ওঠানোর সময় বৃত্ত ভরাট করতে গিয়ে এ বিপত্তি ঘটেছে। তারা বলেছে, বৃত্ত ভরাট করতে গিয়ে পরীক্ষকরা ৮৮ নম্বরের বিপরীতে ৪৪ হিসেবে বৃত্ত ভরাট করেছেন। একইভাবে ৮৩ নম্বরের স্থলে ৩৮, ৬২-এর স্থলে ১২, ৯৬-এর স্থলে ৬৬, ৮০-এর স্থলে শূন্য, ৮৫-এর স্থলে ৫, ৮০-এর স্থলে ৪০ নম্বর দিয়েছেন। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে খাতার নম্বর যোগ করার সময় সব পাতার নম্বর যোগ করা হয়নি। যেসব শিক্ষার্থী এ ধরনের ভুলের শিকার হয়েছে, তারা চ্যালেঞ্জ করায় পুনর্নিরীক্ষায় ফল পরিবর্তন করা হয়েছে।
ব্যাপারটা এমন যেন মনে হবে, খাতা দেখার নামে বা নম্বর ফর্দে নম্বর যোগ করার ক্ষেত্রে পরীক্ষকরা রীতিমতো ছেলেখেলা করে গেছেন। কিন্তু এটা যে পরীক্ষার্থীদের জন্য অনেকটাই জীবন নিয়ে খেলার মতো, সেটা পরীক্ষকরা বোধ হয় ভেবে দেখেননি। একজন পরীক্ষক একজন শিক্ষকও। কোনো শিক্ষক নৈতিকভাবে এমন কাজ করতে পারেন না। একজন শিক্ষকের কাছে সব শিক্ষার্থীই সমান, তিনি কাউকেই বঞ্চিত করতে পারেন না। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন কাজ কোনো শিক্ষক করলে তাঁর কী হবে? এ ব্যাপারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, যেসব পরীক্ষক নম্বরপত্রে নম্বর তোলার ক্ষেত্রে ভুল করেছেন, তাঁরা দুই বছর পরীক্ষক বা প্রধান পরীক্ষক হওয়ার সুযোগ পাবেন না। তাঁর ভাষ্য, এর বেশি শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা তাঁদের নেই। তবে কোনো পরীক্ষক খাতায় পরীক্ষার্থীর প্রত্যাশা অনুযায়ী নম্বর না দিয়ে থাকলে তাঁদের করার কিছুই নেই। কেন এমন হবে, একজন নয়, কয়েকজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নিয়ে এভাবে ছেলেখেলা করার শাস্তি কেবল এটুকুই!
No comments