প্রতীক্ষার শেষ প্রহরে কোনাল
কোনাল, আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনের উদীয়মান তারা। ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’-এর খেতাব জিতেছিলেন ২০০৯ সালে। এরপর টিভিতে স্টেজে নিয়মিত পারফর্ম করছেন। শুধু গানই নয়; অভিনয়, মডেলিং আর উপস্থাপনাতে তাকে দেখা গেছে। অডিওতে কয়েকটি মিক্সড অ্যালবামে গান গাইলেও একক অ্যালবাম পাওয়া যায়নি কোনালের কাছ থেকে।
ইভেন্ট বিজয়ী অন্যরা যেখানে ঝটপট একক অ্যালবাম বের করে ফেলেন, সেরা কণ্ঠ বিজয়ী কোণাল সেখানে ব্যতিক্রম। একক আলবামের কথা জানতে চাইলে সবাইকে বলেছেন, প্রথম অ্যালবাম বলেই কাজটা যতœ করে সময় নিয়ে করছি। তাড়াহুড়ো করে কাজ করাটা আমার পছন্দ নয়। সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতায় আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছি দর্শক-শ্রোতার ভোটে।
অ্যালবাম করার সময় তাই তাদের কথাই বেশি ভেবেছি, যাতে সব কটি গানই সবার পছন্দ হয়।
কোনালের পুরো নাম সোমনূর মানির কোনাল। তার সংগীতজীবনে আসার গল্পটা অন্য দশজন থেকে আলাদা। বাবার চাকরি সূত্রে তার বেড়ে ওঠা কুয়েতে । শৈশব-কৈশোরে ভিন্ন পরিবেশে থেকেও কোনাল এ দেশের সংস্কৃতিকে ধারণ করে বেড়ে উঠেছেন। তার মা সায়মা মনির ভালো নজরুল সংগীত গায়। নানু সংগীতের ইনস্ট্রুমেন্ট ভালো বাজাতে পারেন। বিশেষ করে বাঁশি, ভায়োলিনের পাশাপাশি ভালো গানও গাইতে পারেন। তার মা আর নানুর গুণই মূলত তার মধ্যে প্রভাব ফেলে।
কোনালের বয়স যখন মাত্র চার, সেই বয়সেই তার মধ্যে গান প্রতি আগ্রহ দেখেন অভিভাবকরা। এই আগ্রহের কারণে তার মা ছোট্ট কোনালকে ভর্তি করিয়ে দেন রবীন্দ্রভারতী অনুমোদিত একটি সংগীত একাডেমিতে। সেই প্রতিষ্ঠানে কেকা মুখার্জীর কাছে দীর্ঘদিন হিন্দুস্তানি ক্লাসিক্যালে তালিম নেন। এই একাডেমি থেকে চার বছরের গ্রাজুয়েশন কোর্স করেন তিনি। সংগীতে তার মূল বিষয় ছিল ভোকাল ক্লাসিক্যাল।
কুয়েত ছেড়ে দেশে আসার কারণ জানতে চাইলে বাংলানিউজকে কোনাল বলেন, ‘কুয়েতে এফএম খুব শুনতাম। সেই এফএম-এ ইংলিশ, ফ্রেঞ্চ, ইন্ডিয়ান হিন্দি, পাঞ্জাবি গান খুব চলত। বাংলা গান বলতে গেলে একেবারেই চলত না। কিংবা বাংলা গানের চর্চাটা সেভাবে হচ্ছিল না। আমি ভাবতাম বাংলা গানকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইলে কুয়েতের মরুভূমিতে বসে থেকে সম্ভব নয়। নিজেকে বাংলা গানে আরো সমৃদ্ধ করতে হলে, শিখতে হলে দেশে যেতে হবে। আগে শিখে তারপর বাংলা গানকে আন্তর্জাতিকভাবে কিভাবে সমৃদ্ধ করবÑ সেটি ভাবতে হবে আমাকে। সেই তাড়না থেকেই দেশে এলাম। নিজের ইউনিভার্সিটি ক্রেডিট ট্রান্সফার করে ধানমন্ডির ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিটিতে ভর্তি হলাম। দেশে ফিরে চোখে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের বিজ্ঞাপন দেখে শখের বশে দরখাস্ত করলাম। কনফিডেন্স ছিল ভালোই করবো। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হবো, এটা ছিল ধারণার বাইরে’।
প্রতিদিন অসংখ্য গান শোনেন কোনাল। রুনা লায়লার যে কোনো গানের প্রিয় ভক্ত তিনি। অবসর পেলেই তার গান শুনতে বসে যান। এখনও রুনা লায়লার গানগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শোনেন। এমনকি তার গান গাওয়ার সময় তার অভিব্যক্তি সব কিছুই অনুসরণ করেন। খুব মন খারাপ হলে কিংবা মন খুব ভালো থাকলেও রুনা লায়লার গান শোনেন, নিজেকে সেই গানের মধ্যে ডুবিয়ে ফেলেন।
শুধু যে গানের শিল্পী হিসেবেই কোনাল পরিচিত তা কিন্তু নয়, গানের পাশাপাশি তিনি একাধারে উপস্থাপক, মডেল, অভিনেত্রী। কিছুদিন আগে প্রচার হওয়া তার বেশ কিছু বিজ্ঞাপন দর্শকদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে। সেই বিজ্ঞাপনগুলো ছিল একটি মোবাইল কোম্পানির। এছাড়া নিয়মিত গানের উপস্থাপনা ছাড়াও সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।
এত পরিচয়ের মধ্যে কোন পরিচয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে ভালো লাগে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি বরাবরই একজন সংগীতশিল্পী, সংগীতই আমার ধ্যান, জ্ঞান সবকিছু। অভিনয় করি অনুরোধে। আমি কুয়েতে থিয়েটার করতাম। যদিও অভিনয়ে আমার একটা আলাদা দুর্বলতা রয়েছে। সেই কারণেই মূলত অভিনয় করা। তবে অভিনয়কে আমি পেশা হিসেবে কখনও নেব না। আর গানের উপস্থাপনা করি কারণ সহজেই অনেক বরেণ্য শিল্পীর সান্নিধ্যে আসা যায়। আমি গানের মানুষ তাই নিজেকে সংগীতশিল্পী হিসেবেই পরিচয় দিতে ভালো লাগে।’
নিজের প্রথম একক অ্যালবাম সব শিল্পীর কাছেই বিশেষ কিছু। এর জন্য শিল্পীদের থাকে আলাদা দরদ। ব্যতিক্রম নন কোনাল। লম্বা সময় নিয়ে একটু একটু করে তার স্বপ্নের অ্যালবামটি সাজিয়েছেন। অ্যালবামটির নাম রেখেছেন কোনাল’স জাদু। অ্যালবামের গানগুলো শ্রোতারা কীভাবে নেন, তা নিয়ে কোনালের ভীষণ কৌতুহল। তবে প্রতীক্ষার শেষ প্রহরে পৌছে গেছেন তিনি। আগামী ১৫ মে ডেডলাইস মিউজিকের ব্যানারে বের হচ্ছে কোনালের প্রথম একক অ্যালবামটি।
বাংলানিউজকে কোনাল জানান, অ্যালবামটিতে গান থাকছে আটটি। গানগুলো কম্পোজ করেছেন এই সময়ের জনপ্রিয় সুরকার ফুয়াদ আল মুক্তাদির, বাপ্পা মজুমদার, হৃদয় খান ও পৃথ্বি রাজ। এর মধ্যে পৃথ্বিরাজ চারটি গান কম্পোজ করেছেন এবং তার সঙ্গে কোনালের একটি ডুয়েট গানও থাকছে। গানগুলো লিখেছেন মিলন মাহমুদ, শাহান কবন্ধ, রিজভী আহমেদ, আবদার হোসেন এবং শফিক তুহিন। জাদু শিরোনামের গানটি লিখেছেন শাহান কবন্ধ সুর করেছেন বাপ্পা মজুমদার।
অ্যালবামটিতে থাকছে একটি বিশেষ গান। এ সম্পর্কে কোনাল জানান, ১৯৭১ সালে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠানে রবি শঙ্কর, জর্জ হ্যারিসন, জন বাইজ গান পরিবেশন করেছিল। সেখানে জর্জ বাইজের একটি গান ছিল ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামে। সেই গানটি পৃথ্বিরাজ নতুন সংগীতায়োজন গেয়েছন কোনাল। দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই গানটি গেয়েছেন তিনি। এটি কোনাল সব মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের উৎসর্গ করেছেন।
১৫ মে বিকেলে কোনালের প্রথম একক অ্যালবাম ‘কোনালস জাদু’-এর আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হবে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজন করা এ অনুষ্ঠানে অ্যালবামের মোড়ক খুলবেন দেশবরেণ্য দুই সঙ্গীতজ্ঞ সোহরাব হোসেন ও সুধীন দাশ। নিজের প্রথম অ্যালবামটি নিয়ে এখন কোনাল দাড়িয়ে আছেন প্রতীক্ষার শেষ প্রহরে।
অ্যালবাম করার সময় তাই তাদের কথাই বেশি ভেবেছি, যাতে সব কটি গানই সবার পছন্দ হয়।
কোনালের পুরো নাম সোমনূর মানির কোনাল। তার সংগীতজীবনে আসার গল্পটা অন্য দশজন থেকে আলাদা। বাবার চাকরি সূত্রে তার বেড়ে ওঠা কুয়েতে । শৈশব-কৈশোরে ভিন্ন পরিবেশে থেকেও কোনাল এ দেশের সংস্কৃতিকে ধারণ করে বেড়ে উঠেছেন। তার মা সায়মা মনির ভালো নজরুল সংগীত গায়। নানু সংগীতের ইনস্ট্রুমেন্ট ভালো বাজাতে পারেন। বিশেষ করে বাঁশি, ভায়োলিনের পাশাপাশি ভালো গানও গাইতে পারেন। তার মা আর নানুর গুণই মূলত তার মধ্যে প্রভাব ফেলে।
কোনালের বয়স যখন মাত্র চার, সেই বয়সেই তার মধ্যে গান প্রতি আগ্রহ দেখেন অভিভাবকরা। এই আগ্রহের কারণে তার মা ছোট্ট কোনালকে ভর্তি করিয়ে দেন রবীন্দ্রভারতী অনুমোদিত একটি সংগীত একাডেমিতে। সেই প্রতিষ্ঠানে কেকা মুখার্জীর কাছে দীর্ঘদিন হিন্দুস্তানি ক্লাসিক্যালে তালিম নেন। এই একাডেমি থেকে চার বছরের গ্রাজুয়েশন কোর্স করেন তিনি। সংগীতে তার মূল বিষয় ছিল ভোকাল ক্লাসিক্যাল।
কুয়েত ছেড়ে দেশে আসার কারণ জানতে চাইলে বাংলানিউজকে কোনাল বলেন, ‘কুয়েতে এফএম খুব শুনতাম। সেই এফএম-এ ইংলিশ, ফ্রেঞ্চ, ইন্ডিয়ান হিন্দি, পাঞ্জাবি গান খুব চলত। বাংলা গান বলতে গেলে একেবারেই চলত না। কিংবা বাংলা গানের চর্চাটা সেভাবে হচ্ছিল না। আমি ভাবতাম বাংলা গানকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইলে কুয়েতের মরুভূমিতে বসে থেকে সম্ভব নয়। নিজেকে বাংলা গানে আরো সমৃদ্ধ করতে হলে, শিখতে হলে দেশে যেতে হবে। আগে শিখে তারপর বাংলা গানকে আন্তর্জাতিকভাবে কিভাবে সমৃদ্ধ করবÑ সেটি ভাবতে হবে আমাকে। সেই তাড়না থেকেই দেশে এলাম। নিজের ইউনিভার্সিটি ক্রেডিট ট্রান্সফার করে ধানমন্ডির ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিটিতে ভর্তি হলাম। দেশে ফিরে চোখে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের বিজ্ঞাপন দেখে শখের বশে দরখাস্ত করলাম। কনফিডেন্স ছিল ভালোই করবো। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হবো, এটা ছিল ধারণার বাইরে’।
প্রতিদিন অসংখ্য গান শোনেন কোনাল। রুনা লায়লার যে কোনো গানের প্রিয় ভক্ত তিনি। অবসর পেলেই তার গান শুনতে বসে যান। এখনও রুনা লায়লার গানগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শোনেন। এমনকি তার গান গাওয়ার সময় তার অভিব্যক্তি সব কিছুই অনুসরণ করেন। খুব মন খারাপ হলে কিংবা মন খুব ভালো থাকলেও রুনা লায়লার গান শোনেন, নিজেকে সেই গানের মধ্যে ডুবিয়ে ফেলেন।
শুধু যে গানের শিল্পী হিসেবেই কোনাল পরিচিত তা কিন্তু নয়, গানের পাশাপাশি তিনি একাধারে উপস্থাপক, মডেল, অভিনেত্রী। কিছুদিন আগে প্রচার হওয়া তার বেশ কিছু বিজ্ঞাপন দর্শকদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে। সেই বিজ্ঞাপনগুলো ছিল একটি মোবাইল কোম্পানির। এছাড়া নিয়মিত গানের উপস্থাপনা ছাড়াও সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।
এত পরিচয়ের মধ্যে কোন পরিচয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে ভালো লাগে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি বরাবরই একজন সংগীতশিল্পী, সংগীতই আমার ধ্যান, জ্ঞান সবকিছু। অভিনয় করি অনুরোধে। আমি কুয়েতে থিয়েটার করতাম। যদিও অভিনয়ে আমার একটা আলাদা দুর্বলতা রয়েছে। সেই কারণেই মূলত অভিনয় করা। তবে অভিনয়কে আমি পেশা হিসেবে কখনও নেব না। আর গানের উপস্থাপনা করি কারণ সহজেই অনেক বরেণ্য শিল্পীর সান্নিধ্যে আসা যায়। আমি গানের মানুষ তাই নিজেকে সংগীতশিল্পী হিসেবেই পরিচয় দিতে ভালো লাগে।’
নিজের প্রথম একক অ্যালবাম সব শিল্পীর কাছেই বিশেষ কিছু। এর জন্য শিল্পীদের থাকে আলাদা দরদ। ব্যতিক্রম নন কোনাল। লম্বা সময় নিয়ে একটু একটু করে তার স্বপ্নের অ্যালবামটি সাজিয়েছেন। অ্যালবামটির নাম রেখেছেন কোনাল’স জাদু। অ্যালবামের গানগুলো শ্রোতারা কীভাবে নেন, তা নিয়ে কোনালের ভীষণ কৌতুহল। তবে প্রতীক্ষার শেষ প্রহরে পৌছে গেছেন তিনি। আগামী ১৫ মে ডেডলাইস মিউজিকের ব্যানারে বের হচ্ছে কোনালের প্রথম একক অ্যালবামটি।
বাংলানিউজকে কোনাল জানান, অ্যালবামটিতে গান থাকছে আটটি। গানগুলো কম্পোজ করেছেন এই সময়ের জনপ্রিয় সুরকার ফুয়াদ আল মুক্তাদির, বাপ্পা মজুমদার, হৃদয় খান ও পৃথ্বি রাজ। এর মধ্যে পৃথ্বিরাজ চারটি গান কম্পোজ করেছেন এবং তার সঙ্গে কোনালের একটি ডুয়েট গানও থাকছে। গানগুলো লিখেছেন মিলন মাহমুদ, শাহান কবন্ধ, রিজভী আহমেদ, আবদার হোসেন এবং শফিক তুহিন। জাদু শিরোনামের গানটি লিখেছেন শাহান কবন্ধ সুর করেছেন বাপ্পা মজুমদার।
অ্যালবামটিতে থাকছে একটি বিশেষ গান। এ সম্পর্কে কোনাল জানান, ১৯৭১ সালে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠানে রবি শঙ্কর, জর্জ হ্যারিসন, জন বাইজ গান পরিবেশন করেছিল। সেখানে জর্জ বাইজের একটি গান ছিল ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামে। সেই গানটি পৃথ্বিরাজ নতুন সংগীতায়োজন গেয়েছন কোনাল। দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই গানটি গেয়েছেন তিনি। এটি কোনাল সব মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের উৎসর্গ করেছেন।
১৫ মে বিকেলে কোনালের প্রথম একক অ্যালবাম ‘কোনালস জাদু’-এর আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হবে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজন করা এ অনুষ্ঠানে অ্যালবামের মোড়ক খুলবেন দেশবরেণ্য দুই সঙ্গীতজ্ঞ সোহরাব হোসেন ও সুধীন দাশ। নিজের প্রথম অ্যালবামটি নিয়ে এখন কোনাল দাড়িয়ে আছেন প্রতীক্ষার শেষ প্রহরে।
No comments