ইইউ রাষ্ট্রদূতদের পরামর্শ
সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা দূর করতে হবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট নেই। কিন্তু রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে- এমন আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা তত বাড়বে। সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একটি মহল রাজনীতিকে কলুষিত করার চেষ্টা করবে।
অন্যদিকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টাও যে করা হবে না, সে নিশ্চয়তাও হলফ করে বলা যায় না।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিয়ে অতীতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছিল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনো একটা দেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হলে সেই দেশের অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়ে। আমাদের দেশের অর্থনীতি বিদেশনির্ভর। এ নির্ভরতা থেকে সহজে মুক্ত হওয়ার কোনো পথ খোলা নেই। শর্তসাপেক্ষ অনুদান কিংবা সাহায্যের নামে দাতা সংস্থার ঋণ- সবকিছুই নির্ভর করে একটি দেশের ভাবমূর্তির ওপর। এসবের বাইরে একটি দেশের উন্নয়নের অনেকটাই নির্ভর করে বিনিয়োগের ওপর। দেশের বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে স্থিতিশীল অবস্থা ছিল, তাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা সহজ হয়। অনেক সমস্যা থাকার পরও বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিদেশিরা আগ্রহী। সস্তা শ্রমবাজার এ আগ্রহের অন্যতম কারণ হতে পারে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রথম পর্যবেক্ষণের বিষয় হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ। অবকাঠামোগত সুবিধার পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান শর্ত। কারণ বিনিয়োগকারীদের চাওয়া হচ্ছে বিনিয়োগের নিরাপত্তা, যা নির্ভর করে যেকোনো দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর। একটি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করলে স্বাভাবিক কাজে বিঘ্ন ঘটে। ঘন ঘন হরতাল-ধর্মঘটে ব্যাহত হয় উৎপাদন। সংবাদমাধ্যমে তা প্রচার হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশটি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। একবার নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়ে গেলে, সে অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা রাজনৈতিক সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রাজপথের সংঘাত যে কেবল একটি দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতিই করে না, একই সঙ্গে বিদেশে দেশটির ইতিবাচক ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর হয়- সেদিকেই আলোকপাত করতে চেয়েছেন তাঁরা। সরকার যেমন দেশটিকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে চায়, তেমনি ইউরোপীয় ইউনিয়নও মনে করে, বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উঠে আসতে পারে। বিশেষ করে যখন দেশের বেসরকারি খাত বিকশিত হচ্ছে, তখন বিদেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গন অস্থির হলে বিদেশে এর প্রভাব পড়বে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে না। সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে গিয়ে এসব ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূতরা। সদ্য বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির মতো ইইউ রাষ্ট্রদূতরাও মনে করেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে প্রয়োজন পারস্পরিক সমঝোতা। সমঝোতার জন্য সংলাপ অনিবার্য।
মানতেই হবে, রাজনৈতিক অঙ্গন দিনে দিনে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক দলগুলোকেই এর দায় বহন করতে হবে। পাশাপাশি সরকারেরও দায়িত্ব রয়েছে। সরকারকে দেশের পরিবেশ স্থিতিশীল রাখার দায়িত্ব নিতে হবে। বিদেশিরা যে সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন, তার জন্য সংসদই হতে পারে কেন্দ্রবিন্দু। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সংসদই সবকিছুর কেন্দ্র। সংসদকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের কথা ভাবতে সরকার ও বিরোধী দলের আপত্তি থাকার কথা নয়। মানবাধিকার সমুন্নত রেখে সংঘাত দূর করে স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোকেই এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিয়ে অতীতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছিল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনো একটা দেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হলে সেই দেশের অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়ে। আমাদের দেশের অর্থনীতি বিদেশনির্ভর। এ নির্ভরতা থেকে সহজে মুক্ত হওয়ার কোনো পথ খোলা নেই। শর্তসাপেক্ষ অনুদান কিংবা সাহায্যের নামে দাতা সংস্থার ঋণ- সবকিছুই নির্ভর করে একটি দেশের ভাবমূর্তির ওপর। এসবের বাইরে একটি দেশের উন্নয়নের অনেকটাই নির্ভর করে বিনিয়োগের ওপর। দেশের বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে স্থিতিশীল অবস্থা ছিল, তাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা সহজ হয়। অনেক সমস্যা থাকার পরও বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিদেশিরা আগ্রহী। সস্তা শ্রমবাজার এ আগ্রহের অন্যতম কারণ হতে পারে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রথম পর্যবেক্ষণের বিষয় হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ। অবকাঠামোগত সুবিধার পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান শর্ত। কারণ বিনিয়োগকারীদের চাওয়া হচ্ছে বিনিয়োগের নিরাপত্তা, যা নির্ভর করে যেকোনো দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর। একটি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করলে স্বাভাবিক কাজে বিঘ্ন ঘটে। ঘন ঘন হরতাল-ধর্মঘটে ব্যাহত হয় উৎপাদন। সংবাদমাধ্যমে তা প্রচার হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশটি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। একবার নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়ে গেলে, সে অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা রাজনৈতিক সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রাজপথের সংঘাত যে কেবল একটি দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতিই করে না, একই সঙ্গে বিদেশে দেশটির ইতিবাচক ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর হয়- সেদিকেই আলোকপাত করতে চেয়েছেন তাঁরা। সরকার যেমন দেশটিকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে চায়, তেমনি ইউরোপীয় ইউনিয়নও মনে করে, বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উঠে আসতে পারে। বিশেষ করে যখন দেশের বেসরকারি খাত বিকশিত হচ্ছে, তখন বিদেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গন অস্থির হলে বিদেশে এর প্রভাব পড়বে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে না। সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে গিয়ে এসব ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূতরা। সদ্য বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির মতো ইইউ রাষ্ট্রদূতরাও মনে করেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে প্রয়োজন পারস্পরিক সমঝোতা। সমঝোতার জন্য সংলাপ অনিবার্য।
মানতেই হবে, রাজনৈতিক অঙ্গন দিনে দিনে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক দলগুলোকেই এর দায় বহন করতে হবে। পাশাপাশি সরকারেরও দায়িত্ব রয়েছে। সরকারকে দেশের পরিবেশ স্থিতিশীল রাখার দায়িত্ব নিতে হবে। বিদেশিরা যে সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন, তার জন্য সংসদই হতে পারে কেন্দ্রবিন্দু। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সংসদই সবকিছুর কেন্দ্র। সংসদকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের কথা ভাবতে সরকার ও বিরোধী দলের আপত্তি থাকার কথা নয়। মানবাধিকার সমুন্নত রেখে সংঘাত দূর করে স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোকেই এগিয়ে আসতে হবে।
No comments