বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা অগ্রহণযোগ্য-টিসিবির দুরবস্থা অগ্রহণযোগ্য
রাষ্ট্রের কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান যখন ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে ওঠে, তখন সেই সংস্থার থাকা না থাকা মানুষের কাছে সমান হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) অবস্থা হয়েছে এখন সে রকম। না আছে লোকবল, না আছে কাজ করার ক্ষমতা।
আর তাই টিসিবিকে দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে দামে স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টা কোনো কাজেই আসছে না। বরং দেখা যাচ্ছে, টিসিবির দুরবস্থা নিয়ে এর মূল নিয়ন্ত্রক বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যা করছে তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী কয়েক ডজনবার প্রকাশ্যে বলেছেন যে টিসিবিকে সংস্কার ও শক্তিশালী করা হবে। তিনি বিভিন্ন সময়ে টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য আমদানির ঘোষণাও দিয়েছেন। বাস্তবে এর কোনোটাই হয়নি। বরং টিসিবি আরও দুরবস্থার মধ্যে পতিত হয়েছে।
সর্বশেষ প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে বাজারে যখন ডালের দাম কম, তখন বেশি দামে ডাল কিনছে টিসিবি। আর এই কাজেও বড় ধরনের অনিয়ম ঘটেছে, যেখানে বাণিজ্যমন্ত্রীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কম দামে যে ডাল সরবরাহ করতে চেয়েছিল, তাকে বাদ দিয়ে বেশি দামে সরবরাহকারীকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আবার ডাল আনার কথাও ছিল বিদেশ থেকে আমদানি করে। অথচ সরবরাহকারী স্থানীয় বাজার থেকে কিনেই তা টিসিবিকে দিয়েছে। ফলে যে উদ্দেশে টিসিবির ডাল কেনার কথা, তা কোনোভাবেই পূরণ হচ্ছে না। মাঝখানে থেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অপচয় বাড়ছে। পুরো বিষয়টি একাধারে দুর্নীতি ও অদক্ষতার এক প্রতিফলন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বস্তুত সরকার তথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এখন ঠিক করতে হবে যে টিসিবিকে তারা সত্যিকার অর্থেই কার্যকর ও শক্তিশালী করতে চায় কি না। যদি এই কাজে সরকারের কোনো আগ্রহ না থাকে, তাহলে তা জনগণের সামনে পরিষ্কার করে দেওয়া উচিত। সঙ্গে এও বলা উচিত যে কোন যুক্তিতে টিসিবিকে নিয়ে সরকার আর আগ্রহী নয়। সে ক্ষেত্রে বিকল্প কী হবে সেটাও স্পষ্ট করতে হবে। আর যদি সত্যিই টিসিবিকে শক্তিশালী করে কাজে লাগাতে সরকারের সদিচ্ছা থাকে, তাহলে বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখাতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী কয়েক দিন পর পর বক্তৃতায় বলবেন এক কথা, আর কাজে করবেন আরেকটা—তা কেন মানুষকে মেনে নিতে হবে। ডাল নিয়ে যে অনিয়ম হলো, সেটার তদন্ত করা এবং ভবিষ্যতে যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে তা নিশ্চিত করাও সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
সর্বশেষ প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে বাজারে যখন ডালের দাম কম, তখন বেশি দামে ডাল কিনছে টিসিবি। আর এই কাজেও বড় ধরনের অনিয়ম ঘটেছে, যেখানে বাণিজ্যমন্ত্রীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কম দামে যে ডাল সরবরাহ করতে চেয়েছিল, তাকে বাদ দিয়ে বেশি দামে সরবরাহকারীকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আবার ডাল আনার কথাও ছিল বিদেশ থেকে আমদানি করে। অথচ সরবরাহকারী স্থানীয় বাজার থেকে কিনেই তা টিসিবিকে দিয়েছে। ফলে যে উদ্দেশে টিসিবির ডাল কেনার কথা, তা কোনোভাবেই পূরণ হচ্ছে না। মাঝখানে থেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অপচয় বাড়ছে। পুরো বিষয়টি একাধারে দুর্নীতি ও অদক্ষতার এক প্রতিফলন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বস্তুত সরকার তথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এখন ঠিক করতে হবে যে টিসিবিকে তারা সত্যিকার অর্থেই কার্যকর ও শক্তিশালী করতে চায় কি না। যদি এই কাজে সরকারের কোনো আগ্রহ না থাকে, তাহলে তা জনগণের সামনে পরিষ্কার করে দেওয়া উচিত। সঙ্গে এও বলা উচিত যে কোন যুক্তিতে টিসিবিকে নিয়ে সরকার আর আগ্রহী নয়। সে ক্ষেত্রে বিকল্প কী হবে সেটাও স্পষ্ট করতে হবে। আর যদি সত্যিই টিসিবিকে শক্তিশালী করে কাজে লাগাতে সরকারের সদিচ্ছা থাকে, তাহলে বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখাতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী কয়েক দিন পর পর বক্তৃতায় বলবেন এক কথা, আর কাজে করবেন আরেকটা—তা কেন মানুষকে মেনে নিতে হবে। ডাল নিয়ে যে অনিয়ম হলো, সেটার তদন্ত করা এবং ভবিষ্যতে যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে তা নিশ্চিত করাও সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
No comments