দাবি বিএনপির নেতাদের, সাংসদদের ঢাকায় থাকার নির্দেশ-সময় বেঁধে দেওয়া আন্দোলনের কৌশল by তানভীর সোহেল
নব্বই দিনের মধ্যে সরকার দাবি মেনে নেবে, এমনটা প্রত্যাশা করে না বিএনপি। ভবিষ্যতে আন্দোলন আরও বেগবান করার কৌশল হিসেবে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আন্দোলনের প্রস্তুতি, সংসদে যোগদান ও সংগঠন শক্তিশালী করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
গত সোমবার নয়াপল্টনে চারদলীয় জোটের মহাসমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি পুনর্বহালের জন্য সরকারকে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেন। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে ১১ জুন ঢাকায় জনসভা করারও ঘোষণা দেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, হরতাল দেওয়ার কোনো ইচ্ছা তাঁদের দলের ছিল না। কিন্তু সরকার যেভাবে বাধা দিয়েছে, তার প্রতিবাদে কর্মসূচি না দিলে দলের অস্তিত্ব সংকটে পড়ত। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও হতাশ হতেন। তাই সরকারকে সতর্ক করার জন্য হরতাল দেওয়া হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য এম কে আনোয়ার বলেছেন, তাঁদের দল অসহিংস উপায়ে তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায় করবে। এত কিছুর পরও সহিংস কর্মসূচির দিকে না যাওয়ার মাধ্যমে বিএনপি সেটাই প্রমাণ করেছে।
তাহলে হরতাল দিলেন কেন—এ প্রশ্নের জবাবে এম কে আনোয়ার বলেন, সরকার বাধা দেবে আর বিএনপি প্রতিবাদও জানাবে না, তা হয় না। এই হরতাল সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণ ও জনভোগান্তি সৃষ্টির বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, চলতি মার্চ মাসজুড়ে স্বাধীনতা দিবসের নানা কর্মসূচি থাকবে দলটির। এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা। আর মে মাসের শেষে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে দলের ভেতরের একটি অংশের চাপ আছে। তা ছাড়া সংসদ অধিবেশনে বিএনপিকে যোগ দিতেই হবে। সব মিলিয়ে এ সময়টা মাঠে আন্দোলন করার উপযোগী নয়। তাই এ সময়ে দলকে সাংগঠনিকভাবে আরও সংগঠিত করা ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে তৃণমূলকে সক্রিয় করা হবে। এরপর ১১ জুন বিশাল জনসভা করার প্রস্তুতি নেওয়া হবে। বিএনপির নেতারা মনে করেন, ১২ মার্চের মহাসমাবেশ নিয়ে সরকার ভীত হয়ে পড়েছিল। এটা কাজে লাগিয়ে সরকারকে আরও বেশি চাপে রাখা হবে।
বিএনপির আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা মওদুদ আহমদ মনে করেন, সরকারকে নির্দলীয় সরকারের দাবি মানতেই হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ দাবি মানলে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমবে। তিনি বলেন, ‘এত বাধা সত্ত্বেও মহাসমাবেশে লাখ লাখ মানুষের জমায়েতের পর আমরা আশা করছি, সরকারের বোধোদয় হবে।’
সাংসদদের ঢাকায় থাকতে বলা হয়েছে: বিএনপির সাংসদদের আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ঢাকায় থাকতে বলা হয়েছে। বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে কয়েকজন সাংসদ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। তবে সংসদের চলতি অধিবেশনেই বিএনপি যাচ্ছে কি না, এমন কোনো তথ্য চিফ হুইপ সাংসদদের দেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাংসদ বলেছেন, দলীয় চেয়ারপারসনের নির্দেশ পেয়েই চিফ হুইপ সাংসদদের ঢাকায় থাকতে বলেছেন। তিনি বলেন, চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্ত পেলে বৃহস্পতিবার সংসদীয় দলের সভা আহ্বান করা হতে পারে বলে তাঁকে হুইপ জানিয়েছেন।
মহাসমাবেশের পর উজ্জীবিত কর্মীরা: মহাসমাবেশের কারণে কয়েক দিন ধরে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের ভিড় লেগেই থাকত। নয়াপল্টন কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদেরও আনাগোনা ছিল সব সময়ের জন্য। কিন্তু মহাসমাবেশের পরদিন গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অত ভিড় ছিল না। দুপুর পর্যন্ত নেতাদের আনাগোনা তেমন ছিল না। তবে কার্যালয়ের সামনের সড়কে নেতা-কর্মীদের বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আলাপকালে কয়েকজন মধ্যম সারির নেতা বলেন, কালকের মহাসমাবেশের পর সব পর্যায়ের কর্মী এখন দারুণ উজ্জীবিত। দু-এক দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা দাবি করেন, সফল মহাসমাবেশের পর দলীয় নেতা-কর্মীরা এখন যেকোনো কঠোর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে, সেটা হয়েছে। সরকার নাশকতার আশঙ্কার অজুহাতে যে মূলত বিরোধী দলের কর্মসূচি বানচালের জন্য এত কাণ্ড করেছে, তা জনগণের সামনে স্পষ্ট হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, হরতাল দেওয়ার কোনো ইচ্ছা তাঁদের দলের ছিল না। কিন্তু সরকার যেভাবে বাধা দিয়েছে, তার প্রতিবাদে কর্মসূচি না দিলে দলের অস্তিত্ব সংকটে পড়ত। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও হতাশ হতেন। তাই সরকারকে সতর্ক করার জন্য হরতাল দেওয়া হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য এম কে আনোয়ার বলেছেন, তাঁদের দল অসহিংস উপায়ে তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায় করবে। এত কিছুর পরও সহিংস কর্মসূচির দিকে না যাওয়ার মাধ্যমে বিএনপি সেটাই প্রমাণ করেছে।
তাহলে হরতাল দিলেন কেন—এ প্রশ্নের জবাবে এম কে আনোয়ার বলেন, সরকার বাধা দেবে আর বিএনপি প্রতিবাদও জানাবে না, তা হয় না। এই হরতাল সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণ ও জনভোগান্তি সৃষ্টির বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, চলতি মার্চ মাসজুড়ে স্বাধীনতা দিবসের নানা কর্মসূচি থাকবে দলটির। এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা। আর মে মাসের শেষে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে দলের ভেতরের একটি অংশের চাপ আছে। তা ছাড়া সংসদ অধিবেশনে বিএনপিকে যোগ দিতেই হবে। সব মিলিয়ে এ সময়টা মাঠে আন্দোলন করার উপযোগী নয়। তাই এ সময়ে দলকে সাংগঠনিকভাবে আরও সংগঠিত করা ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে তৃণমূলকে সক্রিয় করা হবে। এরপর ১১ জুন বিশাল জনসভা করার প্রস্তুতি নেওয়া হবে। বিএনপির নেতারা মনে করেন, ১২ মার্চের মহাসমাবেশ নিয়ে সরকার ভীত হয়ে পড়েছিল। এটা কাজে লাগিয়ে সরকারকে আরও বেশি চাপে রাখা হবে।
বিএনপির আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা মওদুদ আহমদ মনে করেন, সরকারকে নির্দলীয় সরকারের দাবি মানতেই হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ দাবি মানলে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমবে। তিনি বলেন, ‘এত বাধা সত্ত্বেও মহাসমাবেশে লাখ লাখ মানুষের জমায়েতের পর আমরা আশা করছি, সরকারের বোধোদয় হবে।’
সাংসদদের ঢাকায় থাকতে বলা হয়েছে: বিএনপির সাংসদদের আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ঢাকায় থাকতে বলা হয়েছে। বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে কয়েকজন সাংসদ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। তবে সংসদের চলতি অধিবেশনেই বিএনপি যাচ্ছে কি না, এমন কোনো তথ্য চিফ হুইপ সাংসদদের দেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাংসদ বলেছেন, দলীয় চেয়ারপারসনের নির্দেশ পেয়েই চিফ হুইপ সাংসদদের ঢাকায় থাকতে বলেছেন। তিনি বলেন, চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্ত পেলে বৃহস্পতিবার সংসদীয় দলের সভা আহ্বান করা হতে পারে বলে তাঁকে হুইপ জানিয়েছেন।
মহাসমাবেশের পর উজ্জীবিত কর্মীরা: মহাসমাবেশের কারণে কয়েক দিন ধরে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের ভিড় লেগেই থাকত। নয়াপল্টন কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদেরও আনাগোনা ছিল সব সময়ের জন্য। কিন্তু মহাসমাবেশের পরদিন গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অত ভিড় ছিল না। দুপুর পর্যন্ত নেতাদের আনাগোনা তেমন ছিল না। তবে কার্যালয়ের সামনের সড়কে নেতা-কর্মীদের বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আলাপকালে কয়েকজন মধ্যম সারির নেতা বলেন, কালকের মহাসমাবেশের পর সব পর্যায়ের কর্মী এখন দারুণ উজ্জীবিত। দু-এক দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা দাবি করেন, সফল মহাসমাবেশের পর দলীয় নেতা-কর্মীরা এখন যেকোনো কঠোর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে, সেটা হয়েছে। সরকার নাশকতার আশঙ্কার অজুহাতে যে মূলত বিরোধী দলের কর্মসূচি বানচালের জন্য এত কাণ্ড করেছে, তা জনগণের সামনে স্পষ্ট হয়েছে।
No comments