মফস্বলে স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা-এ বিবর্ণ চিত্র পাল্টাতে হবে
চিকিৎসাসেবাপ্রাপ্তি নাগরিকের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। তার পরও এ দেশে চিকিৎসাসেবা যেমন সহজলভ্য নয়, তেমনি এ ক্ষেত্রে রয়েছে নানা রকম সীমাবদ্ধতাও। সরকার সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার বারবার অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে এলেও স্বাস্থ্যসেবা লাভের পথটি এখনো সুগম করা সম্ভব হয়নি।
আমাদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এ খাতে যে বরাদ্দ দেওয়া কিংবা রাখা হয়, তার যথাযথ কিংবা সুষ্ঠু ব্যবহার নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কারো কারো অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি এবং এর পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক নানা রকম অব্যবস্থা স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিরূপ ছায়া বিস্তার করে চলেছে। দারিদ্র্যপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য এমনটি অবশ্যই দুঃসংবাদ। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বারবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আসছেন- সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের অবহেলায় যেন চিকিৎসাসেবা বিঘি্নত না হয়; কিন্তু এর পরও জিইয়ে আছে নানা নেতিবাচক চিত্র।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে মফস্বলে। জেলা কিংবা উপজেলা সদরের অনেক হাসপাতালের চিত্র এত বেশি বিবর্ণ যে সর্বাগ্রে এগুলোরই চিকিৎসা দরকার। ১৩ মার্চ ২০১২ কালের কণ্ঠসহ সহযোগী একটি দৈনিকে এ রকম দুটি হাসপাতালের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা উদ্বেগজনক- যুগপৎ প্রশ্নবোধকও। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত 'হাসপাতালটি নামেই আধুনিক' শিরোনামযুক্ত প্রতিবেদনটি সাক্ষ্য দেয়, গাইবান্ধার ২৫ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ১০০ শয্যার হাসপাতালটি যেন সাক্ষীগোপাল। চিকিৎসক সংকট আর অনিয়ম, দুর্নীতিসহ নানা সমস্যা নিয়ে ধুঁকছে হাসপাতালটি। বছরের পর বছর খালি পড়ে আছে অনেক পদ। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, ওষুধ- অনেক কিছুই নেই। সহযোগী দৈনিকের প্রতিবেদনে ভোলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের খায়েরহাটের ৩০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটির তুলনা করা হয়েছে ভুতুড়ে বাড়ির সঙ্গে। ঝাড়ুদার ও মালি আর একমাত্র ওয়ার্ড বয়ই যেন হাসপাতালটির কর্ণধার। নিভৃত পল্লী বিধায় সেখানে কোনো নার্স ও ডাক্তার থাকেন না। এই দুটি হাসপাতালের বর্ণিত চিত্র খণ্ডিত দৃষ্টান্ত মাত্র, সামগ্রিক চিত্রও সুখকর নয়। এ রকম অনেক হাসপাতাল রয়েছে, যেগুলো সাইনবোর্ডসর্বস্ব। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে সাধারণ মানুষের গত্যন্তর কী?
নগর-মহানগরে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যসেবা নিতে হচ্ছে বিপুল খরচের বিনিময়ে, যেখানে সিংহভাগ মানুষের প্রবেশের সাধ্যই নেই। মফস্বলে তো তা-ও মিলে না। চিকিৎসাসেবাকে যারা রীতিমতো গলাকাটা বাণিজ্যে পরিণত করেছে, তাদের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হলেই মঙ্গল। পাশাপাশি চিকিৎসাসেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিতকল্পে সরকারকে কঠোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধসহ চিকিৎসক, সেবিকা কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিয়মিত মনিটরিংয়ের মধ্যে আনা দরকার। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সরকারের দায়বদ্ধতার বিষয়টি নতুন করে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিষ্প্রয়োজন। যে দেশের সিংহ ভাগ মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, সে দেশের চিকিৎসাসেবার চিত্র এত বিবর্ণ হলে পরিণাম কী হতে পারে, তা-ও সহজেই অনুমেয়। এই চিত্র পাল্টাতেই হবে।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে মফস্বলে। জেলা কিংবা উপজেলা সদরের অনেক হাসপাতালের চিত্র এত বেশি বিবর্ণ যে সর্বাগ্রে এগুলোরই চিকিৎসা দরকার। ১৩ মার্চ ২০১২ কালের কণ্ঠসহ সহযোগী একটি দৈনিকে এ রকম দুটি হাসপাতালের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা উদ্বেগজনক- যুগপৎ প্রশ্নবোধকও। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত 'হাসপাতালটি নামেই আধুনিক' শিরোনামযুক্ত প্রতিবেদনটি সাক্ষ্য দেয়, গাইবান্ধার ২৫ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ১০০ শয্যার হাসপাতালটি যেন সাক্ষীগোপাল। চিকিৎসক সংকট আর অনিয়ম, দুর্নীতিসহ নানা সমস্যা নিয়ে ধুঁকছে হাসপাতালটি। বছরের পর বছর খালি পড়ে আছে অনেক পদ। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, ওষুধ- অনেক কিছুই নেই। সহযোগী দৈনিকের প্রতিবেদনে ভোলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের খায়েরহাটের ৩০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটির তুলনা করা হয়েছে ভুতুড়ে বাড়ির সঙ্গে। ঝাড়ুদার ও মালি আর একমাত্র ওয়ার্ড বয়ই যেন হাসপাতালটির কর্ণধার। নিভৃত পল্লী বিধায় সেখানে কোনো নার্স ও ডাক্তার থাকেন না। এই দুটি হাসপাতালের বর্ণিত চিত্র খণ্ডিত দৃষ্টান্ত মাত্র, সামগ্রিক চিত্রও সুখকর নয়। এ রকম অনেক হাসপাতাল রয়েছে, যেগুলো সাইনবোর্ডসর্বস্ব। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে সাধারণ মানুষের গত্যন্তর কী?
নগর-মহানগরে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যসেবা নিতে হচ্ছে বিপুল খরচের বিনিময়ে, যেখানে সিংহভাগ মানুষের প্রবেশের সাধ্যই নেই। মফস্বলে তো তা-ও মিলে না। চিকিৎসাসেবাকে যারা রীতিমতো গলাকাটা বাণিজ্যে পরিণত করেছে, তাদের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হলেই মঙ্গল। পাশাপাশি চিকিৎসাসেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিতকল্পে সরকারকে কঠোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধসহ চিকিৎসক, সেবিকা কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিয়মিত মনিটরিংয়ের মধ্যে আনা দরকার। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সরকারের দায়বদ্ধতার বিষয়টি নতুন করে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিষ্প্রয়োজন। যে দেশের সিংহ ভাগ মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, সে দেশের চিকিৎসাসেবার চিত্র এত বিবর্ণ হলে পরিণাম কী হতে পারে, তা-ও সহজেই অনুমেয়। এই চিত্র পাল্টাতেই হবে।
No comments