টেন্ডুলকারের আক্ষেপ, ম্যাচ তবু ভারতের-ভারত : ৫০ ওভারে ৩০৪/৩ -শ্রীলঙ্কা : ৪৫.১ ওভারে ২৫৪ -ফল : ভারত ৫০ রানে জয়ী by নোমান মোহাম্মদ
স্বাগতিক বাংলাদেশের খেলা ছিল না। তবুও মধ্যাহ্নের সূর্য মাথায় নিয়ে টুকটুক করে টুকটাক দর্শক ঠিকই আসছিলেন স্টেডিয়ামে। ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ফল নিয়ে তাদের বেশির ভাগেরই হয়তো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আকাঙ্ক্ষা বলুন কিংবা প্রার্থনা- সেটি ছিল অন্যত্র। ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার, মাহেন্দ্রক্ষণে দেবতা-দর্শনের, আরো নির্দিষ্ট করে বললে শচীন
টেন্ডুলকার নামের এক আশ্চর্য ক্রিকেটীয় সৃষ্টির অত্যাশ্চর্য ক্রিকেটীয় কীর্তি চাক্ষুষ করার সাধ ছিল দর্শকদের। মাত্র ২৫ মিনিট ও ৩৩ বলের মধ্যে সেই সাধ কিভাবেই না খানখান হয়ে ভেঙেচুরে গেল!
খেলা এরপরও হয়েছে। তাতে ৫০ রানে জিতে এশিয়া কাপে নিজেদের শুরুটা দারুণ হলো ভারতের। গাঁটের পয়সা খরচ করে আসা দর্শকরা সেটি দেখেছেনও ঠিক। কিন্তু অলক্ষের আবহে বিষণ্ন বেহাগের করুণ সুর বেজে গেল ম্যাচজুড়ে। যখন সতীর্থ বিরাট কোহলি-গৌতম গাম্ভীররা সেঞ্চুরি করলেন, তখন। যখন লং-অফ কিংবা মিড-অনে দাঁড়িয়ে ইনিংসজুড়ে তিনি ফিল্ডিং করে গেলেন, তখনো। একটি রান বাঁচানোর জন্য এই চালশে ছোঁয়ার বয়সেও টেন্ডুলকারের ক্ষিপ্র গতির দৌড়ে কিংবা দাঁত দিয়ে আঙুলের নখ খোঁটানোর প্রতিটি মুহূর্তেই ছিল আক্ষেপের আবরণ। ইস্, শচীন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরিটি কাল হয়ে গেলে কী এমন হতো!
সর্বশেষ ৩৩টি আন্তর্জাতিক ইনিংস ধরে এই আক্ষেপ সঙ্গী করে ক্রিজে আসছেন আর যাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেট ঈশ্বর। তবে কাল তিনি যেতে চাননি। এবং সেটি আক্ষরিক অর্থেই। এমনিতে ইনিংসের শুরু থেকে সহজাত স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না টেন্ডুলকার। বল তাঁর ব্যাটের বাইরের কানা ফাঁকি দিয়েছে, ভেতরের কানায় লেগেও বেঁচে গেছেন। এই করতে করতেই তো থিতু হয়ে যেতে পারতেন। পারলেন না। সুরাঙ্গা লাকমলের করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলটি টেন্ডুলকারের জন্য হয়ে এল মারণাস্ত্র। ফুল টস বলটি শেষ সময়ে হঠাৎই নেমে গেল ঝুপ করে। শর্ট এক্সট্রা কাভারে ঠেলেছিলেন তা। কিন্তু চতুর অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে যে নিজেকে মজুদ করেছিলেন সেখানেই। টেন্ডুলকারের ব্যাট ছুঁয়ে আসা বলটি মাটি স্পর্শ করার আগেই চিতার ক্ষিপ্রতায় তালুবন্দি করেন লঙ্কান অধিনায়ক। মাত্র কয়েক গজ দূরের এ ঘটনা না দেখে উপায় কী টেন্ডুলকারের! এমনকি আম্পায়ারের চেয়েও ভালো অবস্থানে ছিলেন তিনি। কিন্তু সরাসরি প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে জানান অস্বীকৃতি। ফল? থার্ড আম্পায়ারের কাছ থেকে টেন্ডুলকারের মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হলো, এই যা! আর 'ওয়াক' করার ভদ্রতা ভুলে গিয়ে এই মহান ব্যাটিং শিল্পী যেন প্রমাণ করলেন, সেঞ্চুরির সেঞ্চুরির চাপে কী রকম চিঁড়েচ্যাপ্টা তিনি!
তবে ভারতীয় ইনিংসের কথা যদি বলেন, তাহলে টেন্ডুলকারের বিদায়ে অমন ইতরবিশেষ পার্থক্য হয়নি। ওপেনার গৌতম গাম্ভীরের সঙ্গে আগামী দিনের তারকা বিরাট কোহলির জুটিতে তরতরিয়ে এগিয়ে গেছে তারা। ৩৭ ওভারে ২০৫ রানের জুটিতে রানপাহাড়ে চড়ে বসে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া সিবি সিরিজের আট ম্যাচে মোটে দুটি শতরান জুটি ছিল ভারতের। তাও আবার হোবার্টের এক ম্যাচে। ব্যাটিং নিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির দুশ্চিন্তাটা তাই ছিল। কাল তা উড়ে গেছে কোহলি-গাম্ভীরের ব্যাটে চড়ে। স্ট্রোক ঝলমলে ইনিংস ছিল না তাঁদের কারো। বরং সেখানে ছিল দায়িত্বশীলতার ছায়া। অর্বাচীনের মতো উইকেট ছুড়ে আসেননি তারা। বরং তা আগলে রেখে ভারতকে নিয়ে গেছেন তিনশোর্ধ্ব রানের দিকে। টেন্ডুলকারের মাইলফলক ছোঁয়ার বিষণ্নতা কাটিয়ে তাতেই সতেজ ভারতীয় ড্রেসিংরুম।
কোহলির ইনিংসটি নিখুঁত হলেও দুটো সুযোগ দিয়েছিলেন গাম্ভীর। ৩৬ রানের সময় লং-অনে পড়েছে ক্যাচ, ৯৪ রানের সময় রান আউট হতে হতেও গেছেন বেঁচে। দুবারই তাঁকে কৃতজ্ঞতাপাশে বাঁধেন ফিল্ডার দীনেশ চান্ডিমাল। দুই ব্যাটসম্যানই তাঁদের ক্যারিয়ারের দশম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন একই ওভারে। নুয়ান কুলাসেকারার করা ইনিংসের ৪২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কোহলি, চতুর্থ বলে গাম্ভীর। প্রথমজনের সেঞ্চুরি ১১৫ বলে, দ্বিতীয়জনের ১১৬। ইনিংসের ধরনের মতো ইনিংস শেষের ধরনেও তাঁদের রয়েছে মিল। সেঞ্চুরি করার পরের ওভারের তৃতীয় বলে গাম্ভীর (১১৮ বলে ১০০) আউট, সাজঘরে কোহলি (১২০ বলে ১০৮) তাঁর সঙ্গী হয়েছেন এক বল পরই। এই জোড়া আঘাতেও শ্লথ হয়নি ভারতের রানচাকার গতি। ধোনির ২৬ বলে অপরাজিত ৪৬ এবং সুরেশ রায়নার ১৭ বলে অপরাজিত ৩০ রানে ঠিকই ৩০০ পেরোন তাঁরা। তিন উইকেটে ৩০৪ রান তুলে দারুণ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন শ্রীলঙ্কার প্রতি।
চ্যালেঞ্জটা লঙ্কানরা নিয়েছিল ভালোমতোই। ম্যাচ শেষের জয়-পরাজয়ের ব্যবধান হয়তো সে কথা বলবে না। তবে ইনিংসের ৩৫ ওভার পর্যন্ত কিন্তু ভারতকে ভালোই চোখ রাঙাচ্ছিল জয়াবর্ধনের দল। যথার্থ অধিনায়কোচিত ইনিংসে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন স্টাইলিশ এই ডানহাতি। পঞ্চম ওভারে তিলকারত্নে দিলশানকে হারানোর পর আরেক অভিজ্ঞ কুমারা সাঙ্গাকারাকে নিয়ে লড়ছিলেন তিনি। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে মাত্র ৫৯ বলে দুটি বিশাল ছক্কা ও ১০টি চারে ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন জয়াবর্ধনে। ইরফান পাঠানের বলে থার্ড ম্যানে ঠেলতে গিয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় লঙ্কান অধিনায়কের ইনিংস।
এরপরও দুর্দান্ত খেলে লঙ্কানদের ম্যাচে রাখছিলেন সাঙ্গাকারা। ৩৫ ওভার শেষে তাদের রান দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৯৬। অর্থাৎ ৭ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ৯০ বলে চাই ১০৯ রান। সম্ভব, খুবই সম্ভব। কিন্তু মাত্র ২২ বলের মধ্যে ২০ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে সেটিকে অসম্ভব করে তোলে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় ৪৫.১ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ২৫৪ রানে। জয়ের সম্ভাবনা জাগানো ম্যাচটি শ্রীলঙ্কা হেরে যায় ৫০ রানে।
টেন্ডুলকার তখন? কাভারে ক্যাচ নিয়ে লঙ্কানদের ইনিংস শেষ করে সতীর্থদের আলিঙ্গনে। হাসি-খুশি, সুখী-পরিতৃপ্ত এক মানুষ যেন! সত্যিই কি? ক্রিকেট কখনো-সখনো এমন বিভ্রম ছড়ায় না!
খেলা এরপরও হয়েছে। তাতে ৫০ রানে জিতে এশিয়া কাপে নিজেদের শুরুটা দারুণ হলো ভারতের। গাঁটের পয়সা খরচ করে আসা দর্শকরা সেটি দেখেছেনও ঠিক। কিন্তু অলক্ষের আবহে বিষণ্ন বেহাগের করুণ সুর বেজে গেল ম্যাচজুড়ে। যখন সতীর্থ বিরাট কোহলি-গৌতম গাম্ভীররা সেঞ্চুরি করলেন, তখন। যখন লং-অফ কিংবা মিড-অনে দাঁড়িয়ে ইনিংসজুড়ে তিনি ফিল্ডিং করে গেলেন, তখনো। একটি রান বাঁচানোর জন্য এই চালশে ছোঁয়ার বয়সেও টেন্ডুলকারের ক্ষিপ্র গতির দৌড়ে কিংবা দাঁত দিয়ে আঙুলের নখ খোঁটানোর প্রতিটি মুহূর্তেই ছিল আক্ষেপের আবরণ। ইস্, শচীন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরিটি কাল হয়ে গেলে কী এমন হতো!
সর্বশেষ ৩৩টি আন্তর্জাতিক ইনিংস ধরে এই আক্ষেপ সঙ্গী করে ক্রিজে আসছেন আর যাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেট ঈশ্বর। তবে কাল তিনি যেতে চাননি। এবং সেটি আক্ষরিক অর্থেই। এমনিতে ইনিংসের শুরু থেকে সহজাত স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না টেন্ডুলকার। বল তাঁর ব্যাটের বাইরের কানা ফাঁকি দিয়েছে, ভেতরের কানায় লেগেও বেঁচে গেছেন। এই করতে করতেই তো থিতু হয়ে যেতে পারতেন। পারলেন না। সুরাঙ্গা লাকমলের করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলটি টেন্ডুলকারের জন্য হয়ে এল মারণাস্ত্র। ফুল টস বলটি শেষ সময়ে হঠাৎই নেমে গেল ঝুপ করে। শর্ট এক্সট্রা কাভারে ঠেলেছিলেন তা। কিন্তু চতুর অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে যে নিজেকে মজুদ করেছিলেন সেখানেই। টেন্ডুলকারের ব্যাট ছুঁয়ে আসা বলটি মাটি স্পর্শ করার আগেই চিতার ক্ষিপ্রতায় তালুবন্দি করেন লঙ্কান অধিনায়ক। মাত্র কয়েক গজ দূরের এ ঘটনা না দেখে উপায় কী টেন্ডুলকারের! এমনকি আম্পায়ারের চেয়েও ভালো অবস্থানে ছিলেন তিনি। কিন্তু সরাসরি প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে জানান অস্বীকৃতি। ফল? থার্ড আম্পায়ারের কাছ থেকে টেন্ডুলকারের মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হলো, এই যা! আর 'ওয়াক' করার ভদ্রতা ভুলে গিয়ে এই মহান ব্যাটিং শিল্পী যেন প্রমাণ করলেন, সেঞ্চুরির সেঞ্চুরির চাপে কী রকম চিঁড়েচ্যাপ্টা তিনি!
তবে ভারতীয় ইনিংসের কথা যদি বলেন, তাহলে টেন্ডুলকারের বিদায়ে অমন ইতরবিশেষ পার্থক্য হয়নি। ওপেনার গৌতম গাম্ভীরের সঙ্গে আগামী দিনের তারকা বিরাট কোহলির জুটিতে তরতরিয়ে এগিয়ে গেছে তারা। ৩৭ ওভারে ২০৫ রানের জুটিতে রানপাহাড়ে চড়ে বসে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া সিবি সিরিজের আট ম্যাচে মোটে দুটি শতরান জুটি ছিল ভারতের। তাও আবার হোবার্টের এক ম্যাচে। ব্যাটিং নিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির দুশ্চিন্তাটা তাই ছিল। কাল তা উড়ে গেছে কোহলি-গাম্ভীরের ব্যাটে চড়ে। স্ট্রোক ঝলমলে ইনিংস ছিল না তাঁদের কারো। বরং সেখানে ছিল দায়িত্বশীলতার ছায়া। অর্বাচীনের মতো উইকেট ছুড়ে আসেননি তারা। বরং তা আগলে রেখে ভারতকে নিয়ে গেছেন তিনশোর্ধ্ব রানের দিকে। টেন্ডুলকারের মাইলফলক ছোঁয়ার বিষণ্নতা কাটিয়ে তাতেই সতেজ ভারতীয় ড্রেসিংরুম।
কোহলির ইনিংসটি নিখুঁত হলেও দুটো সুযোগ দিয়েছিলেন গাম্ভীর। ৩৬ রানের সময় লং-অনে পড়েছে ক্যাচ, ৯৪ রানের সময় রান আউট হতে হতেও গেছেন বেঁচে। দুবারই তাঁকে কৃতজ্ঞতাপাশে বাঁধেন ফিল্ডার দীনেশ চান্ডিমাল। দুই ব্যাটসম্যানই তাঁদের ক্যারিয়ারের দশম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন একই ওভারে। নুয়ান কুলাসেকারার করা ইনিংসের ৪২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কোহলি, চতুর্থ বলে গাম্ভীর। প্রথমজনের সেঞ্চুরি ১১৫ বলে, দ্বিতীয়জনের ১১৬। ইনিংসের ধরনের মতো ইনিংস শেষের ধরনেও তাঁদের রয়েছে মিল। সেঞ্চুরি করার পরের ওভারের তৃতীয় বলে গাম্ভীর (১১৮ বলে ১০০) আউট, সাজঘরে কোহলি (১২০ বলে ১০৮) তাঁর সঙ্গী হয়েছেন এক বল পরই। এই জোড়া আঘাতেও শ্লথ হয়নি ভারতের রানচাকার গতি। ধোনির ২৬ বলে অপরাজিত ৪৬ এবং সুরেশ রায়নার ১৭ বলে অপরাজিত ৩০ রানে ঠিকই ৩০০ পেরোন তাঁরা। তিন উইকেটে ৩০৪ রান তুলে দারুণ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন শ্রীলঙ্কার প্রতি।
চ্যালেঞ্জটা লঙ্কানরা নিয়েছিল ভালোমতোই। ম্যাচ শেষের জয়-পরাজয়ের ব্যবধান হয়তো সে কথা বলবে না। তবে ইনিংসের ৩৫ ওভার পর্যন্ত কিন্তু ভারতকে ভালোই চোখ রাঙাচ্ছিল জয়াবর্ধনের দল। যথার্থ অধিনায়কোচিত ইনিংসে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন স্টাইলিশ এই ডানহাতি। পঞ্চম ওভারে তিলকারত্নে দিলশানকে হারানোর পর আরেক অভিজ্ঞ কুমারা সাঙ্গাকারাকে নিয়ে লড়ছিলেন তিনি। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে মাত্র ৫৯ বলে দুটি বিশাল ছক্কা ও ১০টি চারে ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন জয়াবর্ধনে। ইরফান পাঠানের বলে থার্ড ম্যানে ঠেলতে গিয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় লঙ্কান অধিনায়কের ইনিংস।
এরপরও দুর্দান্ত খেলে লঙ্কানদের ম্যাচে রাখছিলেন সাঙ্গাকারা। ৩৫ ওভার শেষে তাদের রান দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৯৬। অর্থাৎ ৭ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ৯০ বলে চাই ১০৯ রান। সম্ভব, খুবই সম্ভব। কিন্তু মাত্র ২২ বলের মধ্যে ২০ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে সেটিকে অসম্ভব করে তোলে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় ৪৫.১ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ২৫৪ রানে। জয়ের সম্ভাবনা জাগানো ম্যাচটি শ্রীলঙ্কা হেরে যায় ৫০ রানে।
টেন্ডুলকার তখন? কাভারে ক্যাচ নিয়ে লঙ্কানদের ইনিংস শেষ করে সতীর্থদের আলিঙ্গনে। হাসি-খুশি, সুখী-পরিতৃপ্ত এক মানুষ যেন! সত্যিই কি? ক্রিকেট কখনো-সখনো এমন বিভ্রম ছড়ায় না!
No comments