পাল্টা জবাব দিতে ১৪ দলের জমায়েত আজ by জাহাঙ্গীর আলম
রাজপথে দলীয় অবস্থান ধরে রাখতে আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জনসভা করছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। বিরোধী দলের বড় জমায়েতের পর আজকের জনসভাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন দলীয় নীতিনির্ধারকেরা। বড় জমায়েত করে পাল্টা জবাব দেওয়ার সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা।
দলীয় সূত্র জানায়, জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে তিন মাসের সময় বেঁধে দেওয়াসহ বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্যের জবাব দেবেন। পাশাপাশি বিভাগীয় মহাসমাবেশসহ নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন। কর্মসূচির মধ্যে ২১ মার্চ বরিশাল ও ২৪ মার্চ সিলেটে মহাসমাবেশ থাকতে পারে। ২৩ মার্চ খুলনায় ও ২৮ মার্চ চট্টগ্রামের মহাসমাবেশের ঘোষণা আগেই দেওয়া ছিল। তবে খুলনায় মহাসমাবেশের তারিখ ও চট্টগ্রামের স্থান পরিবর্তন হতে পারে। আজকের মূল জনসভা শুরু হবে বেলা তিনটা থেকে। তবে তার আগে দুপুর ১২টা থেকেই গণসংগীত পরিবেশন শুরু হবে।
এদিকে, মানুষের দুর্ভোগ হলেও বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বিরোধী দলের নাশকতা ও অরাজকতার পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে পারাকে সরকার সাফল্য মনে করছে। সঠিক পদক্ষেপের কারণেই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় ছিল বলে মনে করেন সরকারের উচ্চপর্যায়ের লোকজন।
জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকার সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে ওরা বোমা ফুটাতে ফুটাতে ঢাকা আসত, বাসে আগুন দিত। সমালোচকেরা তখন বলতেন, সরকার জনগণের নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’ তিনি বলেন, সরকারের সঠিক পদক্ষেপের কারণেই রাজধানীতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় ছিল। বিরোধী দল নাশকতামূলক কিছু করতে পারেনি। সরকার এ ক্ষেত্রে সফল।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, ১২ মার্চ রাজধানীতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হতে পারে বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ছিল। বিশেষ করে, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের নিয়ে সরকারের সন্দেহ ছিল বেশি। বিএনপির কর্মীদের আড়ালে শিবির ক্যাডারদের বড় রকমের নাশকতায় সম্পৃক্ততার খবর ছিল গোয়েন্দা সংস্থার কাছে।
কয়েকজন মন্ত্রী জানান, জামায়াতে ইসলামীর পরিকল্পনা ছিল, সারা দেশ থেকে কর্মীদের ঢাকায় এনে তিন-চার দিনের মতো অবস্থান করা। অর্থাৎ, ঢাকা দখলের চিন্তাভাবনা ছিল তাদের। এ রকম অবস্থায় যেকোনো সরকারই নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য। সরকারের অন্য কোনো উপায় ছিল না।
জানতে চাইলে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো কিছুই গোপন থাকে না। বিরোধী দলের অশুভ তৎপরতার খবর আমাদের কাছে ছিল। সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়ায় কোনো অঘটন ঘটেনি।’
আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্যেই সর্বত্র উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ মন্ত্রীদের ঘর থেকে বের হতেও নিষেধ করেছেন। কেউ বলেছেন, ১২ মার্চ হবে টার্নিং পয়েন্ট। তা ছাড়া গত ১৮ ডিসেম্বর বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের তাণ্ডবে সরকার আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়। এসব বিষয়ে জাতিকে জানানো প্রয়োজন ছিল। তাই সরকারের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এদিকে, বিরোধী দল মহাসমাবেশ থেকে ঢাকায় টানা অবস্থান নিতে পারে—এমন সম্ভাবনা থেকেই ১৪ মার্চ জনসভার কর্মসূচি ডেকেছিল ১৪ দল। এখন এই জনসভায় বড় রকমের লোকসমাগমের লক্ষ্য নিয়েই ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ১৪ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন। এ ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা করেছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিরোধী দল আমাদের ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছে। জনসভা বড় করার সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’ একইভাবে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানান ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
এদিকে, ১৪ দলকেও ১১ শর্তে জনসভার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। শর্তের মধ্যে রয়েছে: পল্টন মোড় থেকে জিরো পয়েন্ট হয়ে গোলাপ শাহ মাজার এবং বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হয়ে নবাবপুর ক্রসিং পর্যন্ত মাইক ও জনসভা করতে হবে। নির্ধারিত এলাকার বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না। মূল সড়কে মঞ্চ নির্মাণ করা যাবে না।
বর্ধিত সভা: বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় গতকাল তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপির তাহরীর স্কয়ার বানানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সমাবেশে বিএনপির অংশগ্রহণ ছিল চার আনা, আর বারো আনাই ছিল জামায়াতের দখলে। সার্বিক অর্থে মহাসমাবেশ ব্যর্থ হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপির নেতারা তাঁদের কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আসতে বললেও খালেদা জিয়ার বক্তব্যের আগেই অনেকে সমাবেশ ছেড়ে চলে যান। তাই তাঁদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘হুমকি-ধমকি দিয়ে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কোনো অন্যায় ও অসাংবিধানিক দাবি আদায় করা যাবে না। যেকোনো দাবির কথা বলতে হলে আপনাকে সংসদে আসতে হবে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, অসীম কুমার উকিল ও কামরুল ইসলাম। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সভা পরিচালনা করেন।
এদিকে, মানুষের দুর্ভোগ হলেও বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বিরোধী দলের নাশকতা ও অরাজকতার পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে পারাকে সরকার সাফল্য মনে করছে। সঠিক পদক্ষেপের কারণেই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় ছিল বলে মনে করেন সরকারের উচ্চপর্যায়ের লোকজন।
জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকার সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে ওরা বোমা ফুটাতে ফুটাতে ঢাকা আসত, বাসে আগুন দিত। সমালোচকেরা তখন বলতেন, সরকার জনগণের নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’ তিনি বলেন, সরকারের সঠিক পদক্ষেপের কারণেই রাজধানীতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় ছিল। বিরোধী দল নাশকতামূলক কিছু করতে পারেনি। সরকার এ ক্ষেত্রে সফল।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, ১২ মার্চ রাজধানীতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হতে পারে বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ছিল। বিশেষ করে, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের নিয়ে সরকারের সন্দেহ ছিল বেশি। বিএনপির কর্মীদের আড়ালে শিবির ক্যাডারদের বড় রকমের নাশকতায় সম্পৃক্ততার খবর ছিল গোয়েন্দা সংস্থার কাছে।
কয়েকজন মন্ত্রী জানান, জামায়াতে ইসলামীর পরিকল্পনা ছিল, সারা দেশ থেকে কর্মীদের ঢাকায় এনে তিন-চার দিনের মতো অবস্থান করা। অর্থাৎ, ঢাকা দখলের চিন্তাভাবনা ছিল তাদের। এ রকম অবস্থায় যেকোনো সরকারই নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য। সরকারের অন্য কোনো উপায় ছিল না।
জানতে চাইলে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো কিছুই গোপন থাকে না। বিরোধী দলের অশুভ তৎপরতার খবর আমাদের কাছে ছিল। সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়ায় কোনো অঘটন ঘটেনি।’
আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্যেই সর্বত্র উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ মন্ত্রীদের ঘর থেকে বের হতেও নিষেধ করেছেন। কেউ বলেছেন, ১২ মার্চ হবে টার্নিং পয়েন্ট। তা ছাড়া গত ১৮ ডিসেম্বর বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের তাণ্ডবে সরকার আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়। এসব বিষয়ে জাতিকে জানানো প্রয়োজন ছিল। তাই সরকারের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এদিকে, বিরোধী দল মহাসমাবেশ থেকে ঢাকায় টানা অবস্থান নিতে পারে—এমন সম্ভাবনা থেকেই ১৪ মার্চ জনসভার কর্মসূচি ডেকেছিল ১৪ দল। এখন এই জনসভায় বড় রকমের লোকসমাগমের লক্ষ্য নিয়েই ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ১৪ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন। এ ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা করেছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিরোধী দল আমাদের ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছে। জনসভা বড় করার সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’ একইভাবে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানান ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
এদিকে, ১৪ দলকেও ১১ শর্তে জনসভার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। শর্তের মধ্যে রয়েছে: পল্টন মোড় থেকে জিরো পয়েন্ট হয়ে গোলাপ শাহ মাজার এবং বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হয়ে নবাবপুর ক্রসিং পর্যন্ত মাইক ও জনসভা করতে হবে। নির্ধারিত এলাকার বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না। মূল সড়কে মঞ্চ নির্মাণ করা যাবে না।
বর্ধিত সভা: বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় গতকাল তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপির তাহরীর স্কয়ার বানানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সমাবেশে বিএনপির অংশগ্রহণ ছিল চার আনা, আর বারো আনাই ছিল জামায়াতের দখলে। সার্বিক অর্থে মহাসমাবেশ ব্যর্থ হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপির নেতারা তাঁদের কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আসতে বললেও খালেদা জিয়ার বক্তব্যের আগেই অনেকে সমাবেশ ছেড়ে চলে যান। তাই তাঁদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘হুমকি-ধমকি দিয়ে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কোনো অন্যায় ও অসাংবিধানিক দাবি আদায় করা যাবে না। যেকোনো দাবির কথা বলতে হলে আপনাকে সংসদে আসতে হবে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, অসীম কুমার উকিল ও কামরুল ইসলাম। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সভা পরিচালনা করেন।
No comments