জনভোগান্তিমূলক কর্মসূচির বিকল্প খুঁজুন-কেন ফের হরতাল?
১২ মার্চ ঢাকায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের মহাসমাবেশ শেষ হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবেই। কিন্তু মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী ২৯ মার্চ দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে সরকার পদে পদে বাধা দিয়েছে—এর প্রতিবাদেই এই হরতাল ডাকা হয়েছে বলে তিনি যুক্তি দিয়েছেন। কিন্তু এই যুক্তি কতটা জোরালো, তা বিরোধী জোটের ভেবে দেখা উচিত।
মহাসমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জোটের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আসার পথে সরকার নানা রকম বাধার সৃষ্টি করেছিল, এমনকি সরকার একপর্যায়ে ঢাকা মহানগরকে সারা দেশ থেকে প্রায়-বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল। ঢাকা মহানগরের আবাসিক হোটেল, মেস, খাবারের দোকান ইত্যাদিও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল। তার পরও তো মহাসমাবেশে যথেষ্ট জনসমাগম ঘটেছে এবং তা সাফল্যের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তাহলে হরতালের মতো চরম জনভোগান্তিমূলক কর্মসূচি ঘোষণা করা কি যুক্তিসংগত হয়েছে?
এমনিতেই ১২ মার্চের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন আগে থেকে জনমানুষের চলাফেরায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে, পরিবহনে অনেক বাধাবিঘ্নের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ নানা রকম আশঙ্কায় ভুগেছে। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসায় সমস্যা হয়েছে। অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হয়েছে। এত কিছুর পরও মানুষ বিরোধী জোটের মহাসমাবেশ মেনে নিয়েছে। কিন্তু তারা হরতাল মানতে নারাজ। কারণ, হরতাল এই দেশে এখন এক জবরদস্তিমূলক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। যাঁরা হরতাল আহ্বান করেন, তাঁরা জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ার অপেক্ষায় না থেকে হরতাল ‘সফল করা’র উদ্দেশ্যে নানা রকম কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, যার ফলে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষ, যাঁরা দিন আনেন দিন খান, এক দিনের আয়রোজগার বন্ধ থাকলেই যাঁদের অনাহারে কাটাতে হয়, হরতালের কারণে তাঁরা বড়ই সংকটে পড়ে যান। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষয়ক্ষতি জাতীয় অর্থনীতির ওপর যে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা তো রাজনৈতিক দলেরই বেশ ভালোভাবে জানা আছে। সর্বোপরি, হরতাল করা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার—এই যুক্তি দেখিয়ে হরতাল ডাকলে এটাও ভেবে দেখতে হয় যে, মানুষের স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে চলাফেরা করা, চাকরি-ব্যবসাসহ জীবিকা উপার্জনের অধিকারও সংবিধানপ্রদত্ত অধিকার। কোনো যুক্তিতেই এগুলো হরণ করা যায় না।
জনভোগান্তিমূলক রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে সেরা হচ্ছে হরতাল। এর বিকল্প খুঁজতে হবে এবং অবিলম্বেই সব রাজনৈতিক দলকে জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা আর হরতাল ডাকবে না। বিরোধী জোটের প্রতি অনুরোধ, ২৯ মার্চের হরতাল প্রত্যাহার করে, জনদুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতি ন্যূনতম হয় এমন কর্মসূচি দিন।
এমনিতেই ১২ মার্চের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন আগে থেকে জনমানুষের চলাফেরায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে, পরিবহনে অনেক বাধাবিঘ্নের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ নানা রকম আশঙ্কায় ভুগেছে। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসায় সমস্যা হয়েছে। অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হয়েছে। এত কিছুর পরও মানুষ বিরোধী জোটের মহাসমাবেশ মেনে নিয়েছে। কিন্তু তারা হরতাল মানতে নারাজ। কারণ, হরতাল এই দেশে এখন এক জবরদস্তিমূলক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। যাঁরা হরতাল আহ্বান করেন, তাঁরা জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ার অপেক্ষায় না থেকে হরতাল ‘সফল করা’র উদ্দেশ্যে নানা রকম কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, যার ফলে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষ, যাঁরা দিন আনেন দিন খান, এক দিনের আয়রোজগার বন্ধ থাকলেই যাঁদের অনাহারে কাটাতে হয়, হরতালের কারণে তাঁরা বড়ই সংকটে পড়ে যান। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষয়ক্ষতি জাতীয় অর্থনীতির ওপর যে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা তো রাজনৈতিক দলেরই বেশ ভালোভাবে জানা আছে। সর্বোপরি, হরতাল করা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার—এই যুক্তি দেখিয়ে হরতাল ডাকলে এটাও ভেবে দেখতে হয় যে, মানুষের স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে চলাফেরা করা, চাকরি-ব্যবসাসহ জীবিকা উপার্জনের অধিকারও সংবিধানপ্রদত্ত অধিকার। কোনো যুক্তিতেই এগুলো হরণ করা যায় না।
জনভোগান্তিমূলক রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে সেরা হচ্ছে হরতাল। এর বিকল্প খুঁজতে হবে এবং অবিলম্বেই সব রাজনৈতিক দলকে জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা আর হরতাল ডাকবে না। বিরোধী জোটের প্রতি অনুরোধ, ২৯ মার্চের হরতাল প্রত্যাহার করে, জনদুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতি ন্যূনতম হয় এমন কর্মসূচি দিন।
No comments