এ টি এম শামসুজ্জামানের ছোট ছেলের হাতে বড় ছেলে খুন
বিশিষ্ট অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের বড় ছেলেকে তাঁর সামনেই ছুরি মেরে খুন করেছে ছোট ছেলে।গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় প্রবীণ এ অভিনয়শিল্পীর পৈতৃক বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এ টি এম কামরুজ্জামান কবীর (৪০) গাড়ির ব্যবসা করতেন।
রক্তমাখা ছুরিসহ হত্যাকারী ছোট ছেলে এ টি এম খলিকুজ্জামানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে সূত্রাপুর থানার পুলিশ। এ ঘটনার পর রাতে এ টি এম শামসুজ্জামান বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এ টি এম শামসুজ্জামানের ভাই ইব্রাহিম জামান সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল বেলা তিনটার দিকে বড় ছেলে কামরুজ্জামান এসে বাসায় ঢোকার লোহার গেট বন্ধ পান। ওই গেটের এক পাশে বাইরের দিকে তালা লাগানো ছিল। ধাক্কাধাক্কি করলেও ভেতর থেকে কেউ দরজা না খুললে কামরুজ্জামান তালা-চাবির মিস্ত্রি নিয়ে ওই তালা খোলার চেষ্টা করেন। তখন এ টি এম শামসুজ্জামান ভেতর থেকে দরজা খুলে দিলে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন কামরুজ্জামান। তখন ভেতর থেকে ছুরি এনে ছোট ছেলে খলিকুজ্জামান বড় ভাইকে আঘাত করেন। আহত কামরুজ্জামানকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
থানা হেফাজতে থাকা খলিকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বাবার গায়ে হাত তোলায় তিনি বড় ভাইকে ছুরি মেরেছেন। খলিকুজ্জামান জানান, তিনি বাবার সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, পৈতৃক সূত্রে দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনের চারতলা ওই বাড়িটির নিচতলার মালিক এ টি এম শামসুজ্জামান। এ টি এম দম্পতি, বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রী এবং ছোট ছেলে এ বাড়িতেই থাকেন। মেজো ছেলে থাকেন অন্যত্র।
বড় ছেলের হত্যাকাণ্ডের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন এ টি এম শামসুজ্জামান। তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। পুলিশের ওয়ারী বিভাগের সহকারী কমিশনার মনজুর রহমান বলেন, শামসুজ্জামান পুলিশকে জানিয়েছেন, দুপুরের পর দরজায় করাঘাত করছিল বড় ছেলে। দরজা খুলে দিলে ছেলে তাঁকে ধাক্কা দেয়। তখনই পেছন থেকে ছুরি নিয়ে এসে ছোট ছেলে বড় ভাইকে ছুরি মারে। শামসুজ্জামান পুলিশকে আরও বলেছেন, তাঁর ছোট ছেলে মাদকাসক্ত ছিল। তাকে কয়েকবার মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে সে মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল না।
সূত্রাপুর থানার এএসআই শওকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, রাত নয়টার দিকে এ টি এম শামসুজ্জামান ছেলে খলিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
চাচাতো ভাই হাসানুজ্জামান বলেন, কামরুজ্জামান কয়েক মাস আগে মিরপুরে একটি গাড়ির শোরুম খুলেছিলেন। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। ঘটনার সময় তাঁর মা রুনি জামান ও স্ত্রী লাকী জামান বাসায় ছিলেন না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, কামরুজ্জামানের শরীরে কয়েকটি ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীরা ভিড় জমিয়েছেন বাড়ির সামনে ও ভেতরে। বাসার ভেতরে অনেক আত্মীয়স্বজন। লোহার গেটে ঢোকার মুখে শুকিয়ে আসা রক্তের দাগ।
এ টি এম শামসুজ্জামানের ভাই ইব্রাহিম জামান সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল বেলা তিনটার দিকে বড় ছেলে কামরুজ্জামান এসে বাসায় ঢোকার লোহার গেট বন্ধ পান। ওই গেটের এক পাশে বাইরের দিকে তালা লাগানো ছিল। ধাক্কাধাক্কি করলেও ভেতর থেকে কেউ দরজা না খুললে কামরুজ্জামান তালা-চাবির মিস্ত্রি নিয়ে ওই তালা খোলার চেষ্টা করেন। তখন এ টি এম শামসুজ্জামান ভেতর থেকে দরজা খুলে দিলে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন কামরুজ্জামান। তখন ভেতর থেকে ছুরি এনে ছোট ছেলে খলিকুজ্জামান বড় ভাইকে আঘাত করেন। আহত কামরুজ্জামানকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
থানা হেফাজতে থাকা খলিকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বাবার গায়ে হাত তোলায় তিনি বড় ভাইকে ছুরি মেরেছেন। খলিকুজ্জামান জানান, তিনি বাবার সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, পৈতৃক সূত্রে দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনের চারতলা ওই বাড়িটির নিচতলার মালিক এ টি এম শামসুজ্জামান। এ টি এম দম্পতি, বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রী এবং ছোট ছেলে এ বাড়িতেই থাকেন। মেজো ছেলে থাকেন অন্যত্র।
বড় ছেলের হত্যাকাণ্ডের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন এ টি এম শামসুজ্জামান। তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। পুলিশের ওয়ারী বিভাগের সহকারী কমিশনার মনজুর রহমান বলেন, শামসুজ্জামান পুলিশকে জানিয়েছেন, দুপুরের পর দরজায় করাঘাত করছিল বড় ছেলে। দরজা খুলে দিলে ছেলে তাঁকে ধাক্কা দেয়। তখনই পেছন থেকে ছুরি নিয়ে এসে ছোট ছেলে বড় ভাইকে ছুরি মারে। শামসুজ্জামান পুলিশকে আরও বলেছেন, তাঁর ছোট ছেলে মাদকাসক্ত ছিল। তাকে কয়েকবার মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে সে মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল না।
সূত্রাপুর থানার এএসআই শওকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, রাত নয়টার দিকে এ টি এম শামসুজ্জামান ছেলে খলিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
চাচাতো ভাই হাসানুজ্জামান বলেন, কামরুজ্জামান কয়েক মাস আগে মিরপুরে একটি গাড়ির শোরুম খুলেছিলেন। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। ঘটনার সময় তাঁর মা রুনি জামান ও স্ত্রী লাকী জামান বাসায় ছিলেন না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, কামরুজ্জামানের শরীরে কয়েকটি ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীরা ভিড় জমিয়েছেন বাড়ির সামনে ও ভেতরে। বাসার ভেতরে অনেক আত্মীয়স্বজন। লোহার গেটে ঢোকার মুখে শুকিয়ে আসা রক্তের দাগ।
No comments