পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি কি খুব জরুরি ছিল?-সরকারি দলের মহাসমাবেশ
বিরোধী চার দলের মহাসমাবেশের পর এক দিন বিরতি দিয়ে আজ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মহাসমাবেশ। এই মহাসমাবেশের ঘোষিত উদ্দেশ্য সাধারণভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করা ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানো। প্রশ্ন হচ্ছে, এ দুটি উদ্দেশ্যে ক্ষমতাসীনদের উদ্যোগে মহাসমাবেশ করা কি খুব জরুরি হয়ে পড়েছিল?
১২ মার্চ বিরোধীদলীয় জোটের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার কার্যত ঢাকাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। মহাসমাবেশের দিন দুয়েক আগে থেকেই তারা ঢাকায় যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ধরপাকড়ও করা হয়েছে। আর মহাসমাবেশের দিন ঢাকা পরিণত হয়েছিল যানবাহনশূন্য এক অচল শহরে। সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হলেও এ নিয়ে সরকারের বাড়াবাড়ির কারণে জনদুর্ভোগ চরমে নিয়ে গিয়েছিল। আজ সরকারি দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা আবার নিশ্চিত করেই এক দুর্ভোগের নগরে পরিণত হবে।
সরকারদলীয় জোট যে কারণেই মহাসমাবেশের ডাক দিক না কেন, বিষয়টি যে পাল্টাপাল্টি, তাতে সন্দেহ নেই। লোক সমাগমের ক্ষেত্রে যদি সরকারি দল শোডাউন করতে যায়, তবে ঢাকার অবস্থা কী হবে, তা আমরা অনুমান করতে পারি। বিরোধী দলের সমাবেশে লোক সমাগম ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া আর নিজেদের সমাবেশে লোক জমায়েত করার উদ্যোগ নেওয়া স্ববিরোধিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করে জনগণের কাছে ভোট চেয়েছে। ফলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা এই সরকারের দায়িত্ব এবং দ্রুতই তা সম্পন্ন করা উচিত। এখন যুদ্ধাপরাধের বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য যদি সরকারি দলেরই মহাসমাবেশ ডাকতে হয়, তবে তাকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবেই বিবেচনা করতে হয়। আর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার তার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে গণতন্ত্র রক্ষার উদ্যোগ নেবে, গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র দমন করবে—সেটাই প্রত্যাশিত। এ জন্য পাল্টাপাল্টি মহাসমাবেশ ডাকা কতটা যৌক্তিক, তা ভেবে দেখার বিষয়।
এটা ঠিক যে সরকারি দলও একটি রাজনৈতিক শক্তি, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও জনমত নিজেদের পক্ষে রাখার বিষয়টি তাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দল যে ধরনের কর্মসূচি পালন করবে, একই ধরনের কর্মসূচি সরকারি দলকেও পালন করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। যে ইস্যু সামনে রেখে আজ সরকারি দল ও জোট মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছে, সেই একই ইস্যুতে ১০ মার্চ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এই কর্মসূচির কারণে সেদিন যানজটে অচল হয়ে পড়েছিল শহর। যুদ্ধাপরাধের বিচার বা গণতন্ত্র সংহত করার ক্ষেত্রে সরকার বা সরকারি দল জনমত সৃষ্টির উদ্যোগ নিশ্চয় নিতে পারে, কিন্তু জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কর্মসূচির মাধ্যমে জনমত সৃষ্টির কাজটি কতটুকু সফল হবে, সেটা সরকারি দলকে ভেবে দেখতে হবে।
সরকারদলীয় জোট যে কারণেই মহাসমাবেশের ডাক দিক না কেন, বিষয়টি যে পাল্টাপাল্টি, তাতে সন্দেহ নেই। লোক সমাগমের ক্ষেত্রে যদি সরকারি দল শোডাউন করতে যায়, তবে ঢাকার অবস্থা কী হবে, তা আমরা অনুমান করতে পারি। বিরোধী দলের সমাবেশে লোক সমাগম ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া আর নিজেদের সমাবেশে লোক জমায়েত করার উদ্যোগ নেওয়া স্ববিরোধিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করে জনগণের কাছে ভোট চেয়েছে। ফলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা এই সরকারের দায়িত্ব এবং দ্রুতই তা সম্পন্ন করা উচিত। এখন যুদ্ধাপরাধের বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য যদি সরকারি দলেরই মহাসমাবেশ ডাকতে হয়, তবে তাকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবেই বিবেচনা করতে হয়। আর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার তার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে গণতন্ত্র রক্ষার উদ্যোগ নেবে, গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র দমন করবে—সেটাই প্রত্যাশিত। এ জন্য পাল্টাপাল্টি মহাসমাবেশ ডাকা কতটা যৌক্তিক, তা ভেবে দেখার বিষয়।
এটা ঠিক যে সরকারি দলও একটি রাজনৈতিক শক্তি, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও জনমত নিজেদের পক্ষে রাখার বিষয়টি তাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দল যে ধরনের কর্মসূচি পালন করবে, একই ধরনের কর্মসূচি সরকারি দলকেও পালন করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। যে ইস্যু সামনে রেখে আজ সরকারি দল ও জোট মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছে, সেই একই ইস্যুতে ১০ মার্চ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এই কর্মসূচির কারণে সেদিন যানজটে অচল হয়ে পড়েছিল শহর। যুদ্ধাপরাধের বিচার বা গণতন্ত্র সংহত করার ক্ষেত্রে সরকার বা সরকারি দল জনমত সৃষ্টির উদ্যোগ নিশ্চয় নিতে পারে, কিন্তু জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কর্মসূচির মাধ্যমে জনমত সৃষ্টির কাজটি কতটুকু সফল হবে, সেটা সরকারি দলকে ভেবে দেখতে হবে।
No comments