লুটের টাকায় ফ্ল্যাট-জমি by কামরুল হাসান
চট্টগ্রামের তালসরা দরবার থেকে লুট করা টাকা দিয়ে ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট এবং ফরিদপুরে গ্রামের বাড়িতে আবাদি জমি কিনেছেন র্যাব-৭-এর তৎকালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদার। টাকা লুটের ঘটনায় গঠিত র্যাবের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য মিলেছে।
এদিকে অভিযুক্ত জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ‘তদন্ত আদালত’ গঠন করেছে সেনা সদর। একই ঘটনায় অপর অভিযুক্ত ফ্লাইট লে. শেখ মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও বিমানবাহিনী তদন্ত আদালত গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
র্যাব সূত্র জানায়, টাকা লুটের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে দুজন সোর্স। তবে তদন্তে অধিনায়কসহ চারজন র্যাব সদস্য ও দুই সোর্সের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পায় কমিটি। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়। বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, লুটের টাকা চারজনে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। তাঁরা হলেন: লে. কর্নেল জুলফিকার আলী, ফ্লাইট লে. শেখ মাহমুদুল হাসান, সুবেদার আবুল বাশার ও এসআই তরুণ কুমার বসু। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি সেনা ও বিমানবাহিনীতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
সেনা সূত্র জানায়, জুলফিকার আলী মজুমদার বর্তমানে ময়মনসিংহে অবস্থিত আর্মি রিসার্চ ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডে (আর ডক) কর্মরত আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অনুসন্ধানে তদন্ত আদালত গঠন করেছে সেনা সদর।
যেভাবে ঘটনা ঘটে: তদন্তকারী কর্মকর্তা জানতে পেরেছেন, দরবারের বিষয়টি প্রথমে র্যাবের সোর্স দিদার এসআই তরুণ বসুকে জানান। এসআই তরুণ তা জানান কোম্পানি কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদকে। মাহমুদ অধিনায়ক জুলফিকারকে জানান, তালসরা দরবারে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও চার-পাঁচ কোটি টাকা মজুদ আছে। র্যাবের দলটি অভিযানে আসার পথে সোর্স দিদারকে গাড়িতে তুলে নেয়। তারা বিকেল পাঁচটার দিকে দরবারে পৌঁছায়। দরবারের বিভিন্ন ফটকে পাহারা বসিয়ে ভেতরে ঢোকে। র্যাবের দল পীর আহম্মদ ছফার স্ত্রী ও তিন মেয়ের ঘরে তল্লাশি চালানোর একপর্যায়ে ছয়টি ব্যাগে রাখা টাকার সন্ধান পায়। কমান্ডার মাহমুদ টাকা পাওয়ার খবর অধিনায়ক জুলফিকারকে জানান। এরপর সবাইকে ওই কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে তরুণকে পাহারায় রাখা হয়।
অধিনায়কের গাড়িচালক হাসানুজ্জামান তদন্ত কমিটিকে বলেন, টাকা পাওয়ার খবরে অধিনায়ক ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি অস্ত্র রাখার কথা বলে দুটি ব্যাগ সঙ্গে করে আনেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি দরবারে আসেন। অধিনায়ক পীর আহম্মদ ছফাকে একটি কক্ষে আটক করে পুরো দরবারে তল্লাশি চালান। এ সময় দরবারের ভেতর থেকে আরেকটি ব্যাগ সংগ্রহ করা হয়। অধিনায়ক তিনটি ব্যাগে সব টাকা ভরে তাঁর গাড়িতে তোলার আদেশ দেন। টাকাভর্তি ব্যাগ গাড়িতে তুলতে দেখে আহম্মদ ছফার স্ত্রী ও তিন মেয়ে ‘র্যাব টাকা নিয়ে যাচ্ছে’ বলে চিৎকার করে ওঠেন। এরপর দরবার শরিফ থেকে কোনো কিছু জব্দ করা হয়নি বলে লিখিত একটি কাগজে জোর করে আহম্মদ ছফা ও উপস্থিত দরবারের লোকজনের সই নেওয়া হয়।
দরবারের গাড়িচালক ইদ্রিস আলী টাকার জন্য রসিদ চাইলে অধিনায়ক তাঁকে ধমক দিয়ে বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে গ্রেপ্তার করা হবে। অধিনায়কের গাড়ি তাঁর বাসার সামনে থামার পর টাকাভর্তি ব্যাগ ভেতরে পৌঁছে দেন ফ্লাইট লে. মাহমুদ, দেহরক্ষী ইব্রাহিম ও গাড়িচালক হাসানুজ্জামান।
লুটের টাকা ভাগাভাগি: প্রতিবেদনে বলা হয়, লুটের দুই কোটি টাকা থেকে ছয় লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয় সোর্স দিদারকে। দিদার তিন লাখ ২০ হাজার টাকা রেখে বাকি টাকা অন্য সোর্সকে দেন। ছয় লাখ ৭২ হাজার টাকা পাওয়ার পর সোর্স দিদার ফ্লাইট লে. মাহমুদকে ফোন করে বলেন, তাঁকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। মাহমুদ তাঁকে ভয় দেখিয়ে বলেন, ‘তুমি গা ঢাকা দাও, তোমাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন খুঁজছে।’
তদন্ত কমিটিকে লে. কর্নেল জুলফিকার বলেন, তিনি নিজে ১৭ লাখ টাকা নিয়েছেন, মাহমুদকে দিয়েছেন ১৫ লাখ, সুবেদার বাসার পেয়েছেন দুই লাখ, এসআই তরুণ নিয়েছেন পাঁচ লাখ এবং সোর্স দিদারকে দিয়েছেন সাত লাখ টাকা।
জুলফিকারের সম্পদ: তদন্ত দলের কাছে জুলফিকার তাঁর সম্পদের বিবরণ দিয়ে বলেন, ২০০৪ সালে তিনি মিশন থেকে ফিরে এসে মধুমতি মডেল টাউনে আড়াই কাঠা জমি কেনেন। এ ছাড়া ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সামনে সোয়া ছয় কাঠা ও গ্রামের বাড়িতে আড়াই কাঠা জমি আছে। তবে তদন্তে দেখা গেছে, দরবারের টাকা লুটের পর জুলফিকার আলী ৩০ নভেম্বর দুটি ও ৭ ডিসেম্বর একটি দলিলের মাধ্যমে ৫২ লাখ টাকা দিয়ে ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ জমি কেনেন।
প্রথম আলোর ফরিদপুর অফিস জানায়, ভাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার ধর্মদী গ্রামের ইসহাক মজুমদারের ছেলে জুলফিকার আলী মজুমদার এই কার্যালয় থেকে গত ৩০ নভেম্বর দুটি ও ৭ ডিসেম্বর একটি দলিলে ৫২ লাখ টাকার বিনিময়ে সর্বমোট ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ জমি কেনেন।
সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলী প্রথম আলোকে বলেন, নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনটি দলিলে জুলফিকার মজুমদার ৭৭ নম্বর ধর্মদী মৌজায় তিনটি দলিলে ৫২ লাখ টাকায় ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।
ফ্ল্যাট কেনা: দরবারের টাকা লুটের ছয় দিন পর একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৩৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেন জুলফিকার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিরপুর ডিওএইচএসে নির্মাণাধীন দুই হাজার ২০০ বর্গফুটের এ ফ্ল্যাটের দাম এক কোটি ১৩ লাখ টাকা। জুলফিকারের শ্বশুর ফরিদপুরের চিকিৎসক আতিয়ার রহমান জামাতার পক্ষে নগদে এ টাকা জমা দেন বনানীর নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান সিটাডেলকে।
যোগাযোগ করা হলে সিটাডেলের সহকারী ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেন বলেন, গত ১০ নভেম্বর আতাউর রহমান নিজে উপস্থিত হয়ে টাকা জমা দিয়ে রসিদটি তাঁর জামাতার ই-মেইলে পাঠাতে বলেন। পরে তাঁরা সেটা পাঠিয়ে দেন।
জমি ও ফ্ল্যাট কেনার ব্যাপারে জুলফিকার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি জমি কিনেছেন প্রবাসী ভাইয়ের টাকায়। আর ফ্ল্যাটের মালিক তিনি নন, তাঁর শ্বশুর।
র্যাব সূত্র জানায়, টাকা লুটের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে দুজন সোর্স। তবে তদন্তে অধিনায়কসহ চারজন র্যাব সদস্য ও দুই সোর্সের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পায় কমিটি। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়। বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, লুটের টাকা চারজনে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। তাঁরা হলেন: লে. কর্নেল জুলফিকার আলী, ফ্লাইট লে. শেখ মাহমুদুল হাসান, সুবেদার আবুল বাশার ও এসআই তরুণ কুমার বসু। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি সেনা ও বিমানবাহিনীতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
সেনা সূত্র জানায়, জুলফিকার আলী মজুমদার বর্তমানে ময়মনসিংহে অবস্থিত আর্মি রিসার্চ ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডে (আর ডক) কর্মরত আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অনুসন্ধানে তদন্ত আদালত গঠন করেছে সেনা সদর।
যেভাবে ঘটনা ঘটে: তদন্তকারী কর্মকর্তা জানতে পেরেছেন, দরবারের বিষয়টি প্রথমে র্যাবের সোর্স দিদার এসআই তরুণ বসুকে জানান। এসআই তরুণ তা জানান কোম্পানি কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদকে। মাহমুদ অধিনায়ক জুলফিকারকে জানান, তালসরা দরবারে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও চার-পাঁচ কোটি টাকা মজুদ আছে। র্যাবের দলটি অভিযানে আসার পথে সোর্স দিদারকে গাড়িতে তুলে নেয়। তারা বিকেল পাঁচটার দিকে দরবারে পৌঁছায়। দরবারের বিভিন্ন ফটকে পাহারা বসিয়ে ভেতরে ঢোকে। র্যাবের দল পীর আহম্মদ ছফার স্ত্রী ও তিন মেয়ের ঘরে তল্লাশি চালানোর একপর্যায়ে ছয়টি ব্যাগে রাখা টাকার সন্ধান পায়। কমান্ডার মাহমুদ টাকা পাওয়ার খবর অধিনায়ক জুলফিকারকে জানান। এরপর সবাইকে ওই কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে তরুণকে পাহারায় রাখা হয়।
অধিনায়কের গাড়িচালক হাসানুজ্জামান তদন্ত কমিটিকে বলেন, টাকা পাওয়ার খবরে অধিনায়ক ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি অস্ত্র রাখার কথা বলে দুটি ব্যাগ সঙ্গে করে আনেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি দরবারে আসেন। অধিনায়ক পীর আহম্মদ ছফাকে একটি কক্ষে আটক করে পুরো দরবারে তল্লাশি চালান। এ সময় দরবারের ভেতর থেকে আরেকটি ব্যাগ সংগ্রহ করা হয়। অধিনায়ক তিনটি ব্যাগে সব টাকা ভরে তাঁর গাড়িতে তোলার আদেশ দেন। টাকাভর্তি ব্যাগ গাড়িতে তুলতে দেখে আহম্মদ ছফার স্ত্রী ও তিন মেয়ে ‘র্যাব টাকা নিয়ে যাচ্ছে’ বলে চিৎকার করে ওঠেন। এরপর দরবার শরিফ থেকে কোনো কিছু জব্দ করা হয়নি বলে লিখিত একটি কাগজে জোর করে আহম্মদ ছফা ও উপস্থিত দরবারের লোকজনের সই নেওয়া হয়।
দরবারের গাড়িচালক ইদ্রিস আলী টাকার জন্য রসিদ চাইলে অধিনায়ক তাঁকে ধমক দিয়ে বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে গ্রেপ্তার করা হবে। অধিনায়কের গাড়ি তাঁর বাসার সামনে থামার পর টাকাভর্তি ব্যাগ ভেতরে পৌঁছে দেন ফ্লাইট লে. মাহমুদ, দেহরক্ষী ইব্রাহিম ও গাড়িচালক হাসানুজ্জামান।
লুটের টাকা ভাগাভাগি: প্রতিবেদনে বলা হয়, লুটের দুই কোটি টাকা থেকে ছয় লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয় সোর্স দিদারকে। দিদার তিন লাখ ২০ হাজার টাকা রেখে বাকি টাকা অন্য সোর্সকে দেন। ছয় লাখ ৭২ হাজার টাকা পাওয়ার পর সোর্স দিদার ফ্লাইট লে. মাহমুদকে ফোন করে বলেন, তাঁকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। মাহমুদ তাঁকে ভয় দেখিয়ে বলেন, ‘তুমি গা ঢাকা দাও, তোমাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন খুঁজছে।’
তদন্ত কমিটিকে লে. কর্নেল জুলফিকার বলেন, তিনি নিজে ১৭ লাখ টাকা নিয়েছেন, মাহমুদকে দিয়েছেন ১৫ লাখ, সুবেদার বাসার পেয়েছেন দুই লাখ, এসআই তরুণ নিয়েছেন পাঁচ লাখ এবং সোর্স দিদারকে দিয়েছেন সাত লাখ টাকা।
জুলফিকারের সম্পদ: তদন্ত দলের কাছে জুলফিকার তাঁর সম্পদের বিবরণ দিয়ে বলেন, ২০০৪ সালে তিনি মিশন থেকে ফিরে এসে মধুমতি মডেল টাউনে আড়াই কাঠা জমি কেনেন। এ ছাড়া ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সামনে সোয়া ছয় কাঠা ও গ্রামের বাড়িতে আড়াই কাঠা জমি আছে। তবে তদন্তে দেখা গেছে, দরবারের টাকা লুটের পর জুলফিকার আলী ৩০ নভেম্বর দুটি ও ৭ ডিসেম্বর একটি দলিলের মাধ্যমে ৫২ লাখ টাকা দিয়ে ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ জমি কেনেন।
প্রথম আলোর ফরিদপুর অফিস জানায়, ভাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার ধর্মদী গ্রামের ইসহাক মজুমদারের ছেলে জুলফিকার আলী মজুমদার এই কার্যালয় থেকে গত ৩০ নভেম্বর দুটি ও ৭ ডিসেম্বর একটি দলিলে ৫২ লাখ টাকার বিনিময়ে সর্বমোট ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ জমি কেনেন।
সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলী প্রথম আলোকে বলেন, নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনটি দলিলে জুলফিকার মজুমদার ৭৭ নম্বর ধর্মদী মৌজায় তিনটি দলিলে ৫২ লাখ টাকায় ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।
ফ্ল্যাট কেনা: দরবারের টাকা লুটের ছয় দিন পর একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৩৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেন জুলফিকার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিরপুর ডিওএইচএসে নির্মাণাধীন দুই হাজার ২০০ বর্গফুটের এ ফ্ল্যাটের দাম এক কোটি ১৩ লাখ টাকা। জুলফিকারের শ্বশুর ফরিদপুরের চিকিৎসক আতিয়ার রহমান জামাতার পক্ষে নগদে এ টাকা জমা দেন বনানীর নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান সিটাডেলকে।
যোগাযোগ করা হলে সিটাডেলের সহকারী ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেন বলেন, গত ১০ নভেম্বর আতাউর রহমান নিজে উপস্থিত হয়ে টাকা জমা দিয়ে রসিদটি তাঁর জামাতার ই-মেইলে পাঠাতে বলেন। পরে তাঁরা সেটা পাঠিয়ে দেন।
জমি ও ফ্ল্যাট কেনার ব্যাপারে জুলফিকার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি জমি কিনেছেন প্রবাসী ভাইয়ের টাকায়। আর ফ্ল্যাটের মালিক তিনি নন, তাঁর শ্বশুর।
No comments