ফটোসাংবাদিক শওকত জামিল আর নেই
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক শওকত জামিল খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি... রাজিউন)। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত কারণে গতকাল মঙ্গলবার বেলা একটায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল এক শোকবাণীতে শওকত জামিলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত বিনয়ী ও সদালাপী ছিলেন শওকত জামিল। গতকাল সকাল ১০টায় এলিফ্যান্ট রোডে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ছবি তুলতে। হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তিনি প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে কিছু সময় বিশ্রাম নেন। ব্যথা আরও বাড়তে থাকলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেগুনবাগিচায় নিজ বাসায় যান।
পারিবারিক সূত্র জানায়, অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে দ্রুত বারডেম হাসপাতালের কার্ডিয়াক সেন্টারে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর শুনে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ মরহুমের নিকটাত্মীয়, স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনেরা হাসপাতালে ছুটে যান।
মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাসায় আনার পর বিকেল তিনটায় শওকত জামিলের জানাজা ইস্কাটনের অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জানাজায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, বিএনপির নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় তাঁর প্রিয় কর্মস্থল ডেইলি স্টার-এর কার্যালয়ে। সেখানে ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদকসহ সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রথম আলোর সাংবাদিকেরাও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেখানে দ্বিতীয় জানাজার পর মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হলে সর্বস্তরের সাংবাদিক তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। বাদ আসর জাতীয় প্রেসক্লাবে তৃতীয় জানাজার পর মরদেহ তাঁর জন্মস্থান বরিশালে নেওয়া হয়। আজ সকাল নয়টায় বরিশাল শহরের এবাদুল্লাহ জামে মসজিদে জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হবে।
১৯৫৬ সালের ২২ জুন বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন শওকত জামিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) পাস করেন। তাঁর পিতা আবদুল লতিফ খান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। শওকত ১৯৮২ সালে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর ফটোসাংবাদিক হিসেবে দৈনিক খবর, সর্বশেষ ২০০৫ সাল থেকে ডেইলি স্টার পত্রিকার জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক শোক বিবৃতিতে বলেন, শওকত জামিল গণতান্ত্রিক সংগ্রামে দুঃসাহসী ফটোসাংবাদিক হিসেবে দেশ ও মানুষের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ মরহুমের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পেশাগত জীবনে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে শওকত জামিলের কাজ ও অবদান আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
শোক প্রকাশ করে আরও বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট ফোরাম, ঢাকার স্থাপত্যবিষয়ক গ্রন্থ প্রণয়ন কমিটি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন।
ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত বিনয়ী ও সদালাপী ছিলেন শওকত জামিল। গতকাল সকাল ১০টায় এলিফ্যান্ট রোডে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ছবি তুলতে। হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তিনি প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে কিছু সময় বিশ্রাম নেন। ব্যথা আরও বাড়তে থাকলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেগুনবাগিচায় নিজ বাসায় যান।
পারিবারিক সূত্র জানায়, অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে দ্রুত বারডেম হাসপাতালের কার্ডিয়াক সেন্টারে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর শুনে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ মরহুমের নিকটাত্মীয়, স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনেরা হাসপাতালে ছুটে যান।
মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাসায় আনার পর বিকেল তিনটায় শওকত জামিলের জানাজা ইস্কাটনের অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জানাজায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, বিএনপির নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় তাঁর প্রিয় কর্মস্থল ডেইলি স্টার-এর কার্যালয়ে। সেখানে ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদকসহ সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রথম আলোর সাংবাদিকেরাও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেখানে দ্বিতীয় জানাজার পর মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হলে সর্বস্তরের সাংবাদিক তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। বাদ আসর জাতীয় প্রেসক্লাবে তৃতীয় জানাজার পর মরদেহ তাঁর জন্মস্থান বরিশালে নেওয়া হয়। আজ সকাল নয়টায় বরিশাল শহরের এবাদুল্লাহ জামে মসজিদে জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হবে।
১৯৫৬ সালের ২২ জুন বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন শওকত জামিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) পাস করেন। তাঁর পিতা আবদুল লতিফ খান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। শওকত ১৯৮২ সালে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর ফটোসাংবাদিক হিসেবে দৈনিক খবর, সর্বশেষ ২০০৫ সাল থেকে ডেইলি স্টার পত্রিকার জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক শোক বিবৃতিতে বলেন, শওকত জামিল গণতান্ত্রিক সংগ্রামে দুঃসাহসী ফটোসাংবাদিক হিসেবে দেশ ও মানুষের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ মরহুমের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পেশাগত জীবনে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে শওকত জামিলের কাজ ও অবদান আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
শোক প্রকাশ করে আরও বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট ফোরাম, ঢাকার স্থাপত্যবিষয়ক গ্রন্থ প্রণয়ন কমিটি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন।
No comments