নবায়নযোগ্য শক্তি ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-শক্তি নিয়ে কারবার by সুচিত্রা সরকার
‘দেশের ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক সম্পদ একসময় শেষ হয়ে যাবে। তখন আমাদের জ্বালানি-সংকট সমাধানের অন্যতম আয় হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। আর এ বিষয়ে পড়াশোনা করতেই এই ইনস্টিটিউটে আসা।’ বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবায়নযোগ্য শক্তি ইনস্টিটিউটের এমএস কোর্সের শিক্ষার্থী ইসলাম মিয়া।
শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন করি, প্রথম সেশন, নতুন বিষয়, নতুন ইনস্টিটিউট পড়াশোনা কেমন হচ্ছে?
‘দারুণ। খুব ভালো লাগছে।’ জানান সাদিয়া।
ইকরামুল হাসান জানান, ‘প্রথম ব্যাচে ভর্তি, তাই কিছু সীমাবদ্ধতা তো থাকবেই। তবে আমাদের শিক্ষকেরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক।’
শহীদ আজাদ বলেন, ‘প্রথম ব্যাচ হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমি আশা রাখছি, ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রে অগ্রগামী হিসেবে আমরা দেশবাসীর কাছে পরিচিতি পাব।’
খন্দকার খালিকুর নুর এর সঙ্গে যোগ করলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব-ব্যবস্থা আমাদের এখানে রয়েছে। ফলে পাঠ্যবইয়ের সংকট থাকলেও আমরা তা কাটিয়ে উঠছি।’
প্রাকৃতিক সম্পদের সংকট কাটাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি জনজীবনে ভূমিকা রাখবে অদূর ভবিষ্যতে। আর প্রযুক্তির মাধ্যমে এ সংকট কাটাতে দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে। নতুন ও সম্ভাবনাময় এই সেক্টরে উন্নত পড়ালেখার স্বপ্ন হয়তো অনেকেরই আছে। কিন্তু সঠিক তথ্য না পাওয়ার জন্য এ বিষয়ে পড়তে পারছেন না অনেকেই। তাই যাঁরা নবায়নযোগ্য শক্তির বিষয়ে পড়ালেখা, গবেষণা করতে চান, জেনে নিতে পারেন নবায়নযোগ্য শক্তি ইনস্টিটিউট সম্পর্কে।
১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণাকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল নবায়নযোগ্য শক্তির ওপর গবেষণা করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এখানে বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে প্রজেক্ট তৈরি করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালে এখানে এনার্জি পার্ক তৈরি হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের বিপরীত দিকে এই ইনস্টিটিউটের অবস্থান।
কেন পড়ব
‘জ্বালানি-সংকটের সময় নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ও প্রযুক্তির বিষয়ে গবেষণা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তির পক্ষে যে আগ্রহ দেখা দিয়েছে, তাতে এ ক্ষেত্রটির প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়েছে। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের এ ক্ষেত্রটিতে দক্ষ করে তোলার জন্য এমএস কোর্স চালু করেছি।’ জানালেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক রেজাউল করিম মজুমদার। তিনি আরও বলেন, ‘২০১১-১২ সেশনে প্রথম এই কোর্স চালু হয়েছে। এ বছর মোট ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। চুয়েট, বুয়েট, কুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তি হয়েছে।’
ভর্তির যোগ্যতা ও পদ্ধতি
নবায়নযোগ্য শক্তি ইনস্টিটিউট ২০১১ সাল থেকে ভর্তি শুরু করেছে। এটি ১৮ মাসের শিক্ষা কার্যক্রম। প্রথম ছয় মাস তাত্ত্বিক পড়াশোনার পর পরবর্তী ১২ মাস গবেষণা ও ব্যবহারিক পড়াশোনা হয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কোর্স হলেও সন্ধ্যায় ক্লাস হয়। তাই চাকরির পাশাপাশি এ বিষয়ে পড়া যাবে।
দ্বিতীয় ব্যাচের ভর্তি নেওয়া হবে এ বছর জুলাইতে। এমএস প্রোগ্রামে ভর্তি হতে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর ৫০০ টাকার ফরম সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি অনার্স অথবা তিন বছরের অনার্সসহ এক বছরের মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এ কোর্সে আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞানের কোন কোন বিষয়ের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন, তা ইনস্টিটিউট নির্ধারণ করে দেবে।
কাজের সুযোগ
ভবিষ্যতে কাজের ক্ষেত্র বিষয়ে জানতে চাইলে নবায়নযোগ্য শক্তি ইনস্টিটিউটের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত কুমার আদিত্য জানান, এ বিষয়ে পড়ালেখা করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাসপাতাল, সরকারি এনার্জি সেক্টর, গ্রামীণ শক্তি, টেক্সটাইল মিলগুলোতে কাজের সুযোগ রয়েছে। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
‘দারুণ। খুব ভালো লাগছে।’ জানান সাদিয়া।
ইকরামুল হাসান জানান, ‘প্রথম ব্যাচে ভর্তি, তাই কিছু সীমাবদ্ধতা তো থাকবেই। তবে আমাদের শিক্ষকেরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক।’
শহীদ আজাদ বলেন, ‘প্রথম ব্যাচ হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমি আশা রাখছি, ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রে অগ্রগামী হিসেবে আমরা দেশবাসীর কাছে পরিচিতি পাব।’
খন্দকার খালিকুর নুর এর সঙ্গে যোগ করলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব-ব্যবস্থা আমাদের এখানে রয়েছে। ফলে পাঠ্যবইয়ের সংকট থাকলেও আমরা তা কাটিয়ে উঠছি।’
প্রাকৃতিক সম্পদের সংকট কাটাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি জনজীবনে ভূমিকা রাখবে অদূর ভবিষ্যতে। আর প্রযুক্তির মাধ্যমে এ সংকট কাটাতে দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে। নতুন ও সম্ভাবনাময় এই সেক্টরে উন্নত পড়ালেখার স্বপ্ন হয়তো অনেকেরই আছে। কিন্তু সঠিক তথ্য না পাওয়ার জন্য এ বিষয়ে পড়তে পারছেন না অনেকেই। তাই যাঁরা নবায়নযোগ্য শক্তির বিষয়ে পড়ালেখা, গবেষণা করতে চান, জেনে নিতে পারেন নবায়নযোগ্য শক্তি ইনস্টিটিউট সম্পর্কে।
১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণাকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল নবায়নযোগ্য শক্তির ওপর গবেষণা করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এখানে বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে প্রজেক্ট তৈরি করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালে এখানে এনার্জি পার্ক তৈরি হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের বিপরীত দিকে এই ইনস্টিটিউটের অবস্থান।
কেন পড়ব
‘জ্বালানি-সংকটের সময় নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ও প্রযুক্তির বিষয়ে গবেষণা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তির পক্ষে যে আগ্রহ দেখা দিয়েছে, তাতে এ ক্ষেত্রটির প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়েছে। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের এ ক্ষেত্রটিতে দক্ষ করে তোলার জন্য এমএস কোর্স চালু করেছি।’ জানালেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক রেজাউল করিম মজুমদার। তিনি আরও বলেন, ‘২০১১-১২ সেশনে প্রথম এই কোর্স চালু হয়েছে। এ বছর মোট ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। চুয়েট, বুয়েট, কুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তি হয়েছে।’
ভর্তির যোগ্যতা ও পদ্ধতি
নবায়নযোগ্য শক্তি ইনস্টিটিউট ২০১১ সাল থেকে ভর্তি শুরু করেছে। এটি ১৮ মাসের শিক্ষা কার্যক্রম। প্রথম ছয় মাস তাত্ত্বিক পড়াশোনার পর পরবর্তী ১২ মাস গবেষণা ও ব্যবহারিক পড়াশোনা হয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কোর্স হলেও সন্ধ্যায় ক্লাস হয়। তাই চাকরির পাশাপাশি এ বিষয়ে পড়া যাবে।
দ্বিতীয় ব্যাচের ভর্তি নেওয়া হবে এ বছর জুলাইতে। এমএস প্রোগ্রামে ভর্তি হতে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর ৫০০ টাকার ফরম সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি অনার্স অথবা তিন বছরের অনার্সসহ এক বছরের মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এ কোর্সে আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞানের কোন কোন বিষয়ের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন, তা ইনস্টিটিউট নির্ধারণ করে দেবে।
কাজের সুযোগ
ভবিষ্যতে কাজের ক্ষেত্র বিষয়ে জানতে চাইলে নবায়নযোগ্য শক্তি ইনস্টিটিউটের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত কুমার আদিত্য জানান, এ বিষয়ে পড়ালেখা করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাসপাতাল, সরকারি এনার্জি সেক্টর, গ্রামীণ শক্তি, টেক্সটাইল মিলগুলোতে কাজের সুযোগ রয়েছে। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
No comments