বিদেশ নয়, ওদের যেতে হলো না-ফেরার দেশে
তিন মাস আগে সুমন বেপারী ইতালি থেকে দেশে ফেরেন। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুরে। মাস দেড়েক আগে পাশের গ্রামের সাথীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সুমনের ইতালিতে ফেরত যাওয়ার কথা ছিল আজ বুধবার। কিন্তু তা আর হলো না। ইতালিও না, বাংলাদেশও না, সুমন এখন মৃত্যুর দেশের বাসিন্দা। গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে লঞ্চডুবিতে মারা গেছেন তিনি।
ইতালি ফেরার প্রস্তুতির সময় ছোট ভাই ইমরানকে সুমন বলেছিলেন, 'তুই কোনো চিন্তা করিস না। আমি ইতালি গিয়ে তোকে নেওয়ার ব্যবস্থা করব। মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করিস না।'- কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বললেন সুমনের ছোট ভাই ইমরান বেপারী। ইমরান বলেন, 'বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে সরকারের একগুঁয়েমির কারণেই আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমার ভাইয়ের ১০ মার্চ ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকারপক্ষ বাস-লঞ্চ ছাড়তে না দেওয়ায় যেতে পারেনি। ১২ মার্চ রাতে লঞ্চে যেতে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হলো। এ বিচার আমরা কার কাছে চাইব?'
গতকালের লঞ্চডুবিতে এ রকম আরেকটি করুণ মৃত্যু হয় শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার ছনডা গ্রামের বিপ্লবের। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় উত্তরার একটি অফিসে তাঁর নতুন চাকরিতে যোগদান করার কথা ছিল। কিন্তু মহাসমাবেশের কারণে ঢাকা সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় বিপ্লব আগের দিন উত্তরায় সেখানে যেতে পারেননি। বিপ্লব ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন পাশের বাড়ির এক মেয়েকে। ২৮ দিন আগে তাঁদের একটি ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিপ্লব রাতেই চাকরিতে যোগদান করতে রওনা হয়ে যান। কিন্তু তাঁর জীবনের করুণ সমাপ্তি ঘটাল লঞ্চডুবি।
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার দিনারা গ্রামের অলিউল ঢালী দুই ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে অনেক কষ্টে ধার-দেনা করে দুবাই যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেই দুই ছেলে সিফাত ও রিফাত আর নেই। লঞ্চডুবিতে মারা যান তারা। অলিউলকে বিদায় জানাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর শ্বশুর আবু তাহের পাঠানেরও। অলিউল বলেন, 'আজ (গতকাল) মঙ্গলবার রাত ৮টায় আমার দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আর যাব না। কারণ যাদের জন্য আমি দুবাই যাব তারাই এই পৃথিবীতে নেই। বিদেশ গিয়ে আমি কী করব? আমি নির্দিষ্ট সময়ে ঢাকা যেতে পারিনি। আমার দুই ছেলে ও শ্বশুর দেশের নষ্ট রাজনীতির বলি হয়েছে। আল্লাহর কাছে আমি বিচার চাই।'
বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশের কারণে ১০ মার্চ থেকে সরকারপক্ষ সব গাড়ি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। সে জন্য শরীয়তপুরের কার্তিকপুরের শামীম ফকির নির্দিষ্ট সময়ে ঢাকা পৌঁছতে পারেননি। তিনি তাঁর স্ত্রী, শ্যালিকা, শাশুড়িসহ আটজনকে নিয়ে গত সোমবার ঢাকার উদ্দেশে রওয়া হন। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইট ধরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এই আটজনের মধ্যে একজন বাদে শামিমসহ আর সবাই মারা যান মর্মান্তিক লঞ্চডুবিতে।
গতকালের লঞ্চডুবিতে এ রকম আরেকটি করুণ মৃত্যু হয় শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার ছনডা গ্রামের বিপ্লবের। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় উত্তরার একটি অফিসে তাঁর নতুন চাকরিতে যোগদান করার কথা ছিল। কিন্তু মহাসমাবেশের কারণে ঢাকা সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় বিপ্লব আগের দিন উত্তরায় সেখানে যেতে পারেননি। বিপ্লব ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন পাশের বাড়ির এক মেয়েকে। ২৮ দিন আগে তাঁদের একটি ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিপ্লব রাতেই চাকরিতে যোগদান করতে রওনা হয়ে যান। কিন্তু তাঁর জীবনের করুণ সমাপ্তি ঘটাল লঞ্চডুবি।
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার দিনারা গ্রামের অলিউল ঢালী দুই ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে অনেক কষ্টে ধার-দেনা করে দুবাই যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেই দুই ছেলে সিফাত ও রিফাত আর নেই। লঞ্চডুবিতে মারা যান তারা। অলিউলকে বিদায় জানাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর শ্বশুর আবু তাহের পাঠানেরও। অলিউল বলেন, 'আজ (গতকাল) মঙ্গলবার রাত ৮টায় আমার দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আর যাব না। কারণ যাদের জন্য আমি দুবাই যাব তারাই এই পৃথিবীতে নেই। বিদেশ গিয়ে আমি কী করব? আমি নির্দিষ্ট সময়ে ঢাকা যেতে পারিনি। আমার দুই ছেলে ও শ্বশুর দেশের নষ্ট রাজনীতির বলি হয়েছে। আল্লাহর কাছে আমি বিচার চাই।'
বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশের কারণে ১০ মার্চ থেকে সরকারপক্ষ সব গাড়ি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। সে জন্য শরীয়তপুরের কার্তিকপুরের শামীম ফকির নির্দিষ্ট সময়ে ঢাকা পৌঁছতে পারেননি। তিনি তাঁর স্ত্রী, শ্যালিকা, শাশুড়িসহ আটজনকে নিয়ে গত সোমবার ঢাকার উদ্দেশে রওয়া হন। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইট ধরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এই আটজনের মধ্যে একজন বাদে শামিমসহ আর সবাই মারা যান মর্মান্তিক লঞ্চডুবিতে।
No comments