জোট সম্প্রসারণে বিএনপি আরো সময় নিতে চায় by মোশাররফ বাবলু
মহাসমাবেশ থেকে চারদলীয় ঐক্যজোট সম্প্রসারণের ঘোষণা দেওয়া হলেও সম্প্রসারিত জোটের লক্ষ্য, আদর্শ কী হবে; ঘোষণাপত্রে কী থাকবে এবং নতুন নাম কী হবে_তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। যেসব দল এ জোটে নতুন করে যুক্ত হতে আগ্রহী, তারা চায় জোটকে জামায়াতের প্রভাবমুক্ত রাখতে।
এসব কারণে নতুন জোট চূড়ান্ত করার ব্যাপারে আরো সময় নিতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মহাসমাবেশের মঞ্চে বিকল্পধারার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার ভিত্তিতে আরো কয়েকটি দল নিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করতে চায় বিকল্পধারা। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের যাতে ক্ষমতায়ন না হয়, সেই চিন্তা মাথায় রেখেই বিকল্পধারাসহ আরো কয়েকটি দল নির্বাচনকালে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার দাবিতে বিএনপির ডাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকবে বলে দলের একটি সূত্রে জানা যায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, জোট সম্প্রসারণ হবে ঠিকই; তবে সম্প্রসারিত জোটের নাম ঘোষণা করতে কিছুটা দেরি হতে পারে। এমনকি জোটে দলের সংখ্যাও বাড়তে পারে। সেজন্যই সময় নেওয়া হচ্ছে।
কী নাম হতে পারে জানতে চাইলে বিএনপির ওই নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শরিক ও সমমনা দলের নেতারা নিজ নিজ পক্ষ থেকে প্রস্তাব দিয়েছেন। কেউ কেউ সংখ্যাভিত্তিক জোট গঠনের পক্ষে; আবার অনেকে বলেছেন, সংখ্যা রাখা ঠিক হবে না। কারণ জোটে দলের সংখ্যা বাড়লে তখন সমস্যা হতে পারে।' এসব বিবেচনায় 'সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোট' নাম রাখা হতে পারে বলে বিএনপির এই নেতা জানান।
যেসব দল জোটে অন্তর্ভুক্ত হবে, ওই সব দলের অস্তিত্ব ও শক্তি-সামর্থ্য কতটা জানতে চাইলে ওই নেতা বলেন, আন্দোলনের স্বার্থেই জোট সম্প্রসারণ হচ্ছে। এক দলের এক নেতা জানা সত্ত্বেও তাদের মূল্যায়ন করেন খালেদা জিয়া। এ জন্যই মহাসমাবেশ থেকে চারদলীয় জোট সম্প্রসারণ হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।
এদিকে নতুন জোটের নাম ঘোষণা না দিয়ে শুধু জোট সম্প্রসারণের ঘোষণা দেওয়ায় শরিক ও সমমনা দলের নেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। শরিক ও সমমনা দলের নেতাদের মতে, সমাবেশের আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে জোটের সম্প্রসারণ, সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়াসহ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সমাবেশ থেকে ঠিকই বিএনপি চেয়ারপারসন জোট সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছেন। নাম ঠিক না করে আগেই ঘোষণার প্রয়োজন ছিল না বলে শরিক দলের এক নেতা মনে করেন। সমমনা দলের এক নেতা বলেন, 'জোট সম্প্রসারণ আমরা চাই। জোট সম্প্রসারণ না হলে সরকারবিরোধী আন্দোলনও জোরদার হবে না।' জোট সম্প্রসারণ হলে ছোট-বড় সব দলের নেতারা সমান মূল্যায়ন পাবেন বলে মনে করেন তিনি।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী জানান, চারদলীয় ঐক্যজোট সম্প্রসারণের ঘোষণা হলেও এখনো ঘোষণাপত্র তৈরি হয়নি। চূড়ান্ত হয়নি নামও। নাম ঘোষণার আগে আরো আলোচনা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন করতে গেলে দলের নিবন্ধন লাগে, আন্দোলনের জন্য কোনো নিবন্ধন লাগে না। এক নেতার এক দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা এই মুহূর্তে এ বিষয়টি নিয়ে ভাবছি না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের আন্দোলনে যারাই শরিক হবে তাদেরই স্বাগত জানানো হবে।'
এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম জানান, জোট সম্প্রসারণ হয়ে গেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। এক সপ্তাহের মধ্যেই জোটের নতুন নাম ঘোষণা করা হবে।
সম্প্রসারিত জোটে যেসব দল থাকছে, সেগুলো হলো_বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জমিয়তে উলামা ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ ন্যাপ, মুসলিম লীগ, ইসলামিক পার্টি ও ন্যাপ ভাসানী।
মহাসমাবেশের মঞ্চে বিকল্পধারার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার ভিত্তিতে আরো কয়েকটি দল নিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করতে চায় বিকল্পধারা। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের যাতে ক্ষমতায়ন না হয়, সেই চিন্তা মাথায় রেখেই বিকল্পধারাসহ আরো কয়েকটি দল নির্বাচনকালে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার দাবিতে বিএনপির ডাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকবে বলে দলের একটি সূত্রে জানা যায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, জোট সম্প্রসারণ হবে ঠিকই; তবে সম্প্রসারিত জোটের নাম ঘোষণা করতে কিছুটা দেরি হতে পারে। এমনকি জোটে দলের সংখ্যাও বাড়তে পারে। সেজন্যই সময় নেওয়া হচ্ছে।
কী নাম হতে পারে জানতে চাইলে বিএনপির ওই নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শরিক ও সমমনা দলের নেতারা নিজ নিজ পক্ষ থেকে প্রস্তাব দিয়েছেন। কেউ কেউ সংখ্যাভিত্তিক জোট গঠনের পক্ষে; আবার অনেকে বলেছেন, সংখ্যা রাখা ঠিক হবে না। কারণ জোটে দলের সংখ্যা বাড়লে তখন সমস্যা হতে পারে।' এসব বিবেচনায় 'সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোট' নাম রাখা হতে পারে বলে বিএনপির এই নেতা জানান।
যেসব দল জোটে অন্তর্ভুক্ত হবে, ওই সব দলের অস্তিত্ব ও শক্তি-সামর্থ্য কতটা জানতে চাইলে ওই নেতা বলেন, আন্দোলনের স্বার্থেই জোট সম্প্রসারণ হচ্ছে। এক দলের এক নেতা জানা সত্ত্বেও তাদের মূল্যায়ন করেন খালেদা জিয়া। এ জন্যই মহাসমাবেশ থেকে চারদলীয় জোট সম্প্রসারণ হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।
এদিকে নতুন জোটের নাম ঘোষণা না দিয়ে শুধু জোট সম্প্রসারণের ঘোষণা দেওয়ায় শরিক ও সমমনা দলের নেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। শরিক ও সমমনা দলের নেতাদের মতে, সমাবেশের আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে জোটের সম্প্রসারণ, সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়াসহ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সমাবেশ থেকে ঠিকই বিএনপি চেয়ারপারসন জোট সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছেন। নাম ঠিক না করে আগেই ঘোষণার প্রয়োজন ছিল না বলে শরিক দলের এক নেতা মনে করেন। সমমনা দলের এক নেতা বলেন, 'জোট সম্প্রসারণ আমরা চাই। জোট সম্প্রসারণ না হলে সরকারবিরোধী আন্দোলনও জোরদার হবে না।' জোট সম্প্রসারণ হলে ছোট-বড় সব দলের নেতারা সমান মূল্যায়ন পাবেন বলে মনে করেন তিনি।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী জানান, চারদলীয় ঐক্যজোট সম্প্রসারণের ঘোষণা হলেও এখনো ঘোষণাপত্র তৈরি হয়নি। চূড়ান্ত হয়নি নামও। নাম ঘোষণার আগে আরো আলোচনা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন করতে গেলে দলের নিবন্ধন লাগে, আন্দোলনের জন্য কোনো নিবন্ধন লাগে না। এক নেতার এক দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা এই মুহূর্তে এ বিষয়টি নিয়ে ভাবছি না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের আন্দোলনে যারাই শরিক হবে তাদেরই স্বাগত জানানো হবে।'
এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম জানান, জোট সম্প্রসারণ হয়ে গেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। এক সপ্তাহের মধ্যেই জোটের নতুন নাম ঘোষণা করা হবে।
সম্প্রসারিত জোটে যেসব দল থাকছে, সেগুলো হলো_বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জমিয়তে উলামা ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ ন্যাপ, মুসলিম লীগ, ইসলামিক পার্টি ও ন্যাপ ভাসানী।
No comments