ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়-পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত by মারুফ ইসলাম
ক্যামেরার লেন্সে সতর্ক চোখ রাখলেন নাজিরুল ইসলাম। প্রিয় মুখগুলো সব এসেছে তো ফ্রেমের মধ্যে? সাঈদ, যায়েদ, তোফা, সিফাত, নবমিতা, জাবীন, ফয়সাল, মহসীন, ঈশিতা, তপু, রিফা, ওয়ারদা, জিনাত, জয়া, লুবানা, দিশা...হ্যাঁ, সব বন্ধুর মুখই দেখা যাচ্ছে। গাউন পরে হ্যাট উড়িয়ে ওরাও প্রস্তুত ছবি তোলার জন্য।
নাজিরুল ক্লিক করতে যাবেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই হইহই করতে করতে ফ্রেমের মধ্যে ঢুকে পড়লেন সিনথিয়া, ‘আমাকে ছাড়াই ছবি তোলা হচ্ছে! পাজির দল কোথাকার!’
তাই তো! কী মারাত্মক ভুল হতে যাচ্ছিল! বলে দাঁতে জিব কেটে প্রিয় বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে আবার সবাই দাঁড়িয়ে গেলেন ছবির পোজ দিতে।
৬ মার্চ ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রামপুরার আফতাবনগরে নবনির্মিত ক্যাম্পাসের দৃশ্য ছিল এমনই। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন লোকেশনে বন্ধুরা দল বেঁধে ছবি তুলছিলেন একের পর এক। ‘কেন ছবি তুলব না বলেন! জীবনে কি সমাবর্তন বারবার আসে? তা ছাড়া সব বন্ধুকে তো এভাবে একসঙ্গে পাওয়াও যায় না। তাই যত পারছি স্মৃতিগুলো ক্যামেরায় ধরে রাখছি।’ বলছিলেন ছবিশিকারি আরেক শিক্ষার্থী সাঈদা ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের এক হাজার ১১৮ জন শিক্ষার্থী মেতে উঠেছিলেন এই ক্যামেরা উৎসবে। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ এবং বাণিজ্য ও অর্থনীতি অনুষদের স্নাতক পর্যায়ের ৬৪৩ জন ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ৪৭৫ জন শিক্ষার্থী এ দিন পেলেন শিক্ষাজীবনের সনদপত্র। তাঁদের মধ্যে আবার পাঁচজন পেলেন স্বর্ণপদক। তাঁরা হলেন মার্জানা এ মাহমুদ, জি এম ওয়ালিউল্লাহ, আফ্রিদা তাসনিম, সাদকাতুল ও মুনিয়া। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের উচ্ছ্বাসটাও ছিল একটু বেশি। ‘গর্বের সঙ্গে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পেরেছি। এ আনন্দ কি ভোলার? আমার সারা জীবন মনে থাকবে আজকের এই দিন।’ বলছিলেন স্বর্ণপদক পাওয়া আফ্রিদা তাসনিম।
ওদিকে স্নাতকোত্তর সনদ পাওয়া লুৎফর রহমানের অনুভূতি নাকি ‘বলে বোঝানোর মতো নয়’। চোখে-মুখে দ্যুতি ছড়িয়ে বললেন, ‘জানেন, এই গাউন পরব বলে সারা রাত উত্তেজনায় ঘুমাতে পারিনি। এখন কী যে ভালো লাগছে! আসলে বলে বোঝানো...।’ লুৎফর এমবিএ শেষ করলেন। ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা তাই ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই।
সমাবর্তনের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসতে সম্মতি জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। কিন্তু তিনি বিশেষ কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারায় তাঁর পক্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার ক্রমবর্ধমান ও বিপুল চাহিদা মেটাতেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গড়ে উঠেছে। তারা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং সহায়ক। তাই আপনারা যে আলোয় আলোকিত হয়ে গ্র্যাজুয়েট হলেন, সেই আলো ছড়িয়ে দিন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। আপনাদের হাত ধরেই আলোকিত হোক বাংলাদেশ।’
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি তাঁর স্বভাবসুলভ হাস্যরসের মাধ্যমে মাতিয়ে তোলেন শিক্ষার্থীদের। সবশেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমাদের কাছে আমার একটাই চাওয়া, জীবনে সফল মানুষ হয়ো না, সার্থক মানুষ হও। আর নিজেই নিজের প্রদীপ হও। নিজের আলোয় পথ চলো।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আহমদ শফি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন।
তাই তো! কী মারাত্মক ভুল হতে যাচ্ছিল! বলে দাঁতে জিব কেটে প্রিয় বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে আবার সবাই দাঁড়িয়ে গেলেন ছবির পোজ দিতে।
৬ মার্চ ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রামপুরার আফতাবনগরে নবনির্মিত ক্যাম্পাসের দৃশ্য ছিল এমনই। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন লোকেশনে বন্ধুরা দল বেঁধে ছবি তুলছিলেন একের পর এক। ‘কেন ছবি তুলব না বলেন! জীবনে কি সমাবর্তন বারবার আসে? তা ছাড়া সব বন্ধুকে তো এভাবে একসঙ্গে পাওয়াও যায় না। তাই যত পারছি স্মৃতিগুলো ক্যামেরায় ধরে রাখছি।’ বলছিলেন ছবিশিকারি আরেক শিক্ষার্থী সাঈদা ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের এক হাজার ১১৮ জন শিক্ষার্থী মেতে উঠেছিলেন এই ক্যামেরা উৎসবে। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ এবং বাণিজ্য ও অর্থনীতি অনুষদের স্নাতক পর্যায়ের ৬৪৩ জন ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ৪৭৫ জন শিক্ষার্থী এ দিন পেলেন শিক্ষাজীবনের সনদপত্র। তাঁদের মধ্যে আবার পাঁচজন পেলেন স্বর্ণপদক। তাঁরা হলেন মার্জানা এ মাহমুদ, জি এম ওয়ালিউল্লাহ, আফ্রিদা তাসনিম, সাদকাতুল ও মুনিয়া। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের উচ্ছ্বাসটাও ছিল একটু বেশি। ‘গর্বের সঙ্গে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পেরেছি। এ আনন্দ কি ভোলার? আমার সারা জীবন মনে থাকবে আজকের এই দিন।’ বলছিলেন স্বর্ণপদক পাওয়া আফ্রিদা তাসনিম।
ওদিকে স্নাতকোত্তর সনদ পাওয়া লুৎফর রহমানের অনুভূতি নাকি ‘বলে বোঝানোর মতো নয়’। চোখে-মুখে দ্যুতি ছড়িয়ে বললেন, ‘জানেন, এই গাউন পরব বলে সারা রাত উত্তেজনায় ঘুমাতে পারিনি। এখন কী যে ভালো লাগছে! আসলে বলে বোঝানো...।’ লুৎফর এমবিএ শেষ করলেন। ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা তাই ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই।
সমাবর্তনের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসতে সম্মতি জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। কিন্তু তিনি বিশেষ কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারায় তাঁর পক্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার ক্রমবর্ধমান ও বিপুল চাহিদা মেটাতেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গড়ে উঠেছে। তারা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং সহায়ক। তাই আপনারা যে আলোয় আলোকিত হয়ে গ্র্যাজুয়েট হলেন, সেই আলো ছড়িয়ে দিন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। আপনাদের হাত ধরেই আলোকিত হোক বাংলাদেশ।’
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি তাঁর স্বভাবসুলভ হাস্যরসের মাধ্যমে মাতিয়ে তোলেন শিক্ষার্থীদের। সবশেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমাদের কাছে আমার একটাই চাওয়া, জীবনে সফল মানুষ হয়ো না, সার্থক মানুষ হও। আর নিজেই নিজের প্রদীপ হও। নিজের আলোয় পথ চলো।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আহমদ শফি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন।
No comments