শেখ হাসিনা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন-শিথিল শর্তে ক্ষমতাসীনদের মহাসমাবেশ আজ
বিরোধী দল বিএনপির 'চলো চলো ঢাকা চলো' কর্মসূচির বিপরীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আজ বুধবার রাজধানীতে সমাবেশ করছে। সরকারের জনপ্রিয়তা কমেনি_সমাবেশে লাখো মানুষ জমায়েতের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী এই বার্তা পেঁৗছে দিতে চাইছে। সমাবেশে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন আওয়ামী
লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ১৪ দলীয় জোটের ব্যানারে আয়োজিত এই সমাবেশে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালানো সত্ত্বেও জাতীয় পার্টি যোগ দিচ্ছে না।
সমাবেশের জন্য ইতিমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। বিএনপির মহাসমাবেশের অনুরূপ ১১টি শর্ত জুড়ে দিলেও তাতে শিথিলতার বিষয়টি আড়াল করতে পারেনি পুলিশ। যেমন, বিএনপির তরফে আবেদন করেও পানি ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেট মেলেনি। মহাজোটকে এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। বিএনপির ক্ষেত্রে বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করার বাধ্যবাধকতা দিলেও এ ক্ষেত্রে সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সীমানা নির্ধারণেও ক্ষমতাসীনদের প্রতি নমনীয়তা ধরা পড়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধাদান, দুর্নীতিবাজদের রক্ষা ও জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে। শেখ হাসিনা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।
সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা আজকের সমাবেশে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সোমবারের ভাষণের জবাব এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও ক্ষমতাসীন জোটের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনা দেবেন। পাশাপাশি জনসভা থেকে শেখ হাসিনা পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। বিভাগীয় সমাবেশগুলোর ঘোষণাও এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আজকের এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন সংসদ উপনেতা ও ১৪ দলের সমন্বয়ক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। সমাবেশে মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির উপস্থিতির চেষ্টা করা হলেও আওয়ামী লীগের প্রস্তাবে সায় দেননি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
জনসভা সফল করতে এবং লোকসমাগম নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ ও শরিক দলগুলো নানা উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সোমবার দলীয় ও শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ওই দিন রাজধানীতে গণশোভাযাত্রার মাধ্যমে বিশাল শোডাউন করে আওয়ামী লীগ। পরে ১১ মার্চ ১৪ দলের উদ্যোগে ঢাকার এক প্রান্ত যাত্রাবাড়ী থেকে আরেক প্রান্ত গাবতলী পর্যন্ত মানববন্ধন করা হয়। মার্চের শুরুতেই ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বিএনপির ১২ মার্চের ঢাকা চলো কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এর আগে ও পরে কর্মসূচি দেওয়া হয়।
সমাবেশ উপলক্ষে ইতিমধ্যে মঞ্চ তৈরিসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। সমাবেশটি গুলিস্তান, ফুলবাড়ী, নবাবপুর পর্যন্ত এবং গুলিস্তান সিনেমা হল ও দৈনিক বাংলা হয়ে পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে।
জনসভা সফল করতে গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, অসীম কুমার উকিল, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বিপুল লোকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে রাজধানী ও এর আশপাশের জেলাগুলোর নেতাদের এবং রাজধানীর সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বর্ধিত সভায়।
সভায় তোফায়েল আহমেদ দলের নেতা-কর্মীদের আজকের জনসভার মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী জনসভায় সর্বস্তরের জনগণকে ব্যাপকভাবে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, মাহবুব-উল-আলম হানিফের ১১ মার্চের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গতকাল সমাবেশের অনুমতি দেয়। সমাবেশের জন্য পুলিশের জুড়ে দেওয়া ১১টি শর্ত হলো : ১. মাইক ব্যবহারের এলাকা_পল্টন মোড় থেকে জিরো পয়েন্ট হয়ে গোলাপশাহ মাজার ও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হয়ে নবাবপুর ক্রসিং পর্যন্ত, ২. সভার জন্য নির্ধারিত এলাকার বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না, ৩. এলাকার বাইরে প্রজেকশন স্থাপন করা যাবে না, ৪. সভার জন্য স্থান প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে, ৫. মূল সড়কে মঞ্চ করা যাবে না, ৬. রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়া মঞ্চকে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না, ৭. সভা শুরুর দুই ঘণ্টা আগে সভাস্থলে লোকজন সমবেত হতে পারবে, ৮. সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে, ৯. অনুমোদিত সময়ের আগে-পরে কোথাও সমবেত হওয়া যাবে না এবং নির্ধারিত এলাকার বাইরে যান ও জনচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না, ১০. সভা চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জনস্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ করা যাবে না এবং ১১. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া এই অনুমতি/আদেশ বাতিলের ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
তবে বিএনপির মহাসমাবেশ সরাসরি প্রচারে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর প্রতি সরকারের উচ্চপর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এ ক্ষেত্রে তা থাকছে না।
সমাবেশের জন্য ইতিমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। বিএনপির মহাসমাবেশের অনুরূপ ১১টি শর্ত জুড়ে দিলেও তাতে শিথিলতার বিষয়টি আড়াল করতে পারেনি পুলিশ। যেমন, বিএনপির তরফে আবেদন করেও পানি ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেট মেলেনি। মহাজোটকে এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। বিএনপির ক্ষেত্রে বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করার বাধ্যবাধকতা দিলেও এ ক্ষেত্রে সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সীমানা নির্ধারণেও ক্ষমতাসীনদের প্রতি নমনীয়তা ধরা পড়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধাদান, দুর্নীতিবাজদের রক্ষা ও জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে। শেখ হাসিনা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।
সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা আজকের সমাবেশে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সোমবারের ভাষণের জবাব এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও ক্ষমতাসীন জোটের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনা দেবেন। পাশাপাশি জনসভা থেকে শেখ হাসিনা পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। বিভাগীয় সমাবেশগুলোর ঘোষণাও এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আজকের এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন সংসদ উপনেতা ও ১৪ দলের সমন্বয়ক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। সমাবেশে মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির উপস্থিতির চেষ্টা করা হলেও আওয়ামী লীগের প্রস্তাবে সায় দেননি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
জনসভা সফল করতে এবং লোকসমাগম নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ ও শরিক দলগুলো নানা উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সোমবার দলীয় ও শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ওই দিন রাজধানীতে গণশোভাযাত্রার মাধ্যমে বিশাল শোডাউন করে আওয়ামী লীগ। পরে ১১ মার্চ ১৪ দলের উদ্যোগে ঢাকার এক প্রান্ত যাত্রাবাড়ী থেকে আরেক প্রান্ত গাবতলী পর্যন্ত মানববন্ধন করা হয়। মার্চের শুরুতেই ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বিএনপির ১২ মার্চের ঢাকা চলো কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এর আগে ও পরে কর্মসূচি দেওয়া হয়।
সমাবেশ উপলক্ষে ইতিমধ্যে মঞ্চ তৈরিসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। সমাবেশটি গুলিস্তান, ফুলবাড়ী, নবাবপুর পর্যন্ত এবং গুলিস্তান সিনেমা হল ও দৈনিক বাংলা হয়ে পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে।
জনসভা সফল করতে গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, অসীম কুমার উকিল, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বিপুল লোকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে রাজধানী ও এর আশপাশের জেলাগুলোর নেতাদের এবং রাজধানীর সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বর্ধিত সভায়।
সভায় তোফায়েল আহমেদ দলের নেতা-কর্মীদের আজকের জনসভার মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী জনসভায় সর্বস্তরের জনগণকে ব্যাপকভাবে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, মাহবুব-উল-আলম হানিফের ১১ মার্চের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গতকাল সমাবেশের অনুমতি দেয়। সমাবেশের জন্য পুলিশের জুড়ে দেওয়া ১১টি শর্ত হলো : ১. মাইক ব্যবহারের এলাকা_পল্টন মোড় থেকে জিরো পয়েন্ট হয়ে গোলাপশাহ মাজার ও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হয়ে নবাবপুর ক্রসিং পর্যন্ত, ২. সভার জন্য নির্ধারিত এলাকার বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না, ৩. এলাকার বাইরে প্রজেকশন স্থাপন করা যাবে না, ৪. সভার জন্য স্থান প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে, ৫. মূল সড়কে মঞ্চ করা যাবে না, ৬. রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়া মঞ্চকে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না, ৭. সভা শুরুর দুই ঘণ্টা আগে সভাস্থলে লোকজন সমবেত হতে পারবে, ৮. সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে, ৯. অনুমোদিত সময়ের আগে-পরে কোথাও সমবেত হওয়া যাবে না এবং নির্ধারিত এলাকার বাইরে যান ও জনচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না, ১০. সভা চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জনস্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ করা যাবে না এবং ১১. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া এই অনুমতি/আদেশ বাতিলের ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
তবে বিএনপির মহাসমাবেশ সরাসরি প্রচারে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর প্রতি সরকারের উচ্চপর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এ ক্ষেত্রে তা থাকছে না।
No comments