অনিয়ম-দুর্নীতি কবে দূর হবে?-আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সুকীর্তির জন্য নয়, প্রায়ই অপকীর্তির জন্য সংবাদের শিরোনাম হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁস, সেশন-জট, ভর্তি ও নিয়োগে অনিয়মের পাশাপাশি এখানে পরীক্ষার নম্বর জালিয়াতিরও ঘটনা ঘটেছে। সরকার বদলায়, প্রশাসন বদলায়, কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র বদলায় না।
গত বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এক পরীক্ষার্থীর খাতার নম্বর বদলের (টেম্পারিং) ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের কোনো ভাষ্য প্রতিবেদক দিতে পারেননি। কারণ, উপাচার্য থেকে শুরু করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কিংবা অভিযুক্ত উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রত্যেকেই বিষয়টিকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। শুক্রবারের প্রথম আলো থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, অভিযোগ সত্য ছিল। তা যদি হবে, তাহলে কর্তৃপক্ষ কেন বিষয়টিকে এড়িয়ে গেল? দ্বিতীয়ত, গণমাধ্যমের চাপে পড়ে এক উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও, নম্বর জালিয়াতিসহ বহু রকম অনিয়মের হোতাদের বিষয়ে কী হবে? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে দিনের পর দিন অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, তার কারণ তো বিশ্ববিদ্যালয় তথা কর্তাব্যক্তিদের দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা। কেবল একটি ঘটনার দায় স্বীকার করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকলে চলবে না।
দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সারা দেশের কলেজগুলো এবং এর অধীন অর্থাৎ অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের শেষ ধাপের অভিভাবকত্ব এই প্রতিষ্ঠানেরই এখতিয়ারে। কিন্তু এহেন একটি প্রতিষ্ঠান বারবার এ রকম দায়িত্বহীনতার নজির গড়তে থাকলে উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে সত্যিই উদ্বিগ্ন হতে হয়।
বাংলাদেশে যতগুলো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, তার মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েই সেশন-জট বেশি। কোনো কোনো বিভাগে তিন থেকে চার বছরও এই জট চলছে। কাদের গাফিলতির কারণে একজন শিক্ষার্থীর জীবন থেকে এই সময় হারিয়ে যাচ্ছে? কাদের ব্যর্থতার কারণে পরীক্ষার ফল প্রকাশ পেতে ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বিলম্ব ঘটছে? আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনিয়ম ও দুর্নীতির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। অপরাধীদের শাস্তি চাই। আশা করি, লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সারা দেশের কলেজগুলো এবং এর অধীন অর্থাৎ অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের শেষ ধাপের অভিভাবকত্ব এই প্রতিষ্ঠানেরই এখতিয়ারে। কিন্তু এহেন একটি প্রতিষ্ঠান বারবার এ রকম দায়িত্বহীনতার নজির গড়তে থাকলে উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে সত্যিই উদ্বিগ্ন হতে হয়।
বাংলাদেশে যতগুলো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, তার মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েই সেশন-জট বেশি। কোনো কোনো বিভাগে তিন থেকে চার বছরও এই জট চলছে। কাদের গাফিলতির কারণে একজন শিক্ষার্থীর জীবন থেকে এই সময় হারিয়ে যাচ্ছে? কাদের ব্যর্থতার কারণে পরীক্ষার ফল প্রকাশ পেতে ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বিলম্ব ঘটছে? আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনিয়ম ও দুর্নীতির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। অপরাধীদের শাস্তি চাই। আশা করি, লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
No comments