এ টি এম শামসুজ্জামানের এক ছেলের হাতে আরেক ছেলে খুন
খ্যাতিমান অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের এক ছেলে আরেক ছেলের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। গতকাল বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তাঁর বড় ছেলে এ টি এম কামরুজ্জামান কবিরের (৪০) পিঠে-বুকে ছুরি চালায় ছোট ছেলে এ টি এম খালেকুজ্জামান কুশল। হত্যার অভিযোগে কুশলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, কুশল মাদকাসক্ত। পুরান ঢাকার সূত্রাপুর থানাধীন দেবেন্দ্রনাথ ঘোষ লেনের ৪৬ নম্বরের নিজ বাড়িতে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। চোখের সামনে এক সন্তানের হাতে আরেক সন্তান নিহত হওয়ার দৃশ্য দেখে অনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন দেশের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের শক্তিমান অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল ৩টার দিকে কবির বাইরে থেকে বাসায় ফিরে দেখতে পান ভেতর থেকে গেট বন্ধ। অনেকক্ষণ ধরে কড়া নাড়লেও কেউ দরজা খুলছিল না। একসময় তিনি বেশ জোরে দরজায় আঘাত করতে থাকেন। তখন একটি কক্ষে শুয়ে থাকা বাবা শামসুজ্জামান এসে দরজা খুলে দেন। কবির ভেতরে ঢুকেই বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। বাবাও ক্ষিপ্ত হন। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে কবির বাবাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আর এই দৃশ্য চোখে পড়ে ছোট ছেলে কুশলের। কুশল বাবার পক্ষ নিলে কবির তার কক্ষে চলে যায়। আর ওই সময় কুশল রান্নাঘর থেকে একটি ছুরি এনে কবিরের পিঠে বসিয়ে দেয়। কবির ঘুরে দাঁড়ালে এবার তাঁর বুকেও ছুরি চালায় কুশল।
এ টি এম শামসুজ্জামান সেই দৃশ্য দেখে গগনবিদারি চিৎকার করতে থাকেন। চিৎকার শুনে বাড়ির ওপরের তলায় থাকা তাঁর ভাই হাজি সোলাইমান ও ভাতিজা শোভন দৌড়ে আসেন ঘটনাস্থলে। তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় কবিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রওনা দেন। রাস্তায়ই নিস্তেজ হয়ে পড়ে কবির। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক কবিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্রাপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দরজা খোলাকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। কুলশকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।' তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কুশল হাতে ব্যথা পায়।
এ টি এম শামসুজ্জামানের ভাতিজা শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কুশল কয়েক বছর আগে ডিগ্রি পাস করার পর কিছুই করত না। বাবা ও ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মাদক সেবন করত। তাকে এর থেকে ফেরানোর জন্য পরিবারের সবাই চেষ্টা করেছে। কিন্তু কাজ হয়নি।'
দেবেন্দ্রনাথ ঘোষ লেনের ৫ তলা বাড়িটি এ টি এম শামসুজ্জামানদের নিজেদের। নিচ তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন এ টি এম শামসুজ্জামান। ওপরের তলাগুলোতে থাকেন তাঁর ভাই-ভাতিজারা। তাঁদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে। এ টি এম শামসুজ্জামানের তিন ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে সবার বড় ছিল কবির। মেঝো ছেলের নাম কেতন। সবার ছোট কুশল।
এ টি এম শামসুজ্জামানের এক আত্মীয় কালের কণ্ঠকে জানান, শামসুজ্জামানের বড় মেয়ে কস্তুরির বাসা কয়েকটি বাসা পরেই। কস্তুরি অসুস্থ থাকায় শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনী জামান তাঁকে দেখতে যান সকালের দিকে। কবিরও সকালের দিকে বাইরে বের হয়ে যায়। বাসায় শুধু ছিলেন এ টি এম শামসুজ্জামান ও কুশল। বাড়ির অন্য সবাই বিভিন্ন কাজে বাসার বাইরে ছিল। বিকেল ৩টার দিকে কবির বাসায় ফিরে অনেকবার নক করেও দরজা না খোলায় গেট ভাঙার জন্য মিস্ত্রি পর্যন্ত নিয়ে আসে। মিস্ত্রি কাজ শুরুর আগে গেট খোলার শেষবার চেষ্টা চালায় সে। আর তখনই এ টি এম শামসুজ্জামান গিয়ে দরজা খুলে দেন। শামসুজ্জামানের ভাতিজা শোভন কালের কণ্ঠকে জানান, কবির গাড়ির ব্যবসা করতেন। বেইলি রোডে 'জামান এন্টারপ্রাইজ' নামের প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন তিনি।
পরিবারটির আরেক সদস্য জানান, ঘটনার পর পরই মানিক নামের কুশলের এক চাচা ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি এসে এই অবস্থা দেখে কুশলকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
খবর শুনে গতকাল বিকেলে এ টি এম শামসুজ্জামানকে সান্ত্বনা দিতে তাঁর বাসায় যান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এ টি এম আমাকে বলেছে, তাঁর ছোট ছেলে উত্তেজিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে। বড় ছেলের গায়ে ছুরি মারার সময় কুশল বলছিল, 'তুই বাবার গায়ে হাত তুলেছিস, তোর রেহাই নেই।' প্রবীর মিত্র জানান, এ ঘটনায় এ টি এম শামসুজ্জামান বিচলিত হয়ে পড়েছেন। তাঁর এক ছেলে মারা গেছে, আরেক ছেলের কী হবে- তাই নিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তিনি।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল ৩টার দিকে কবির বাইরে থেকে বাসায় ফিরে দেখতে পান ভেতর থেকে গেট বন্ধ। অনেকক্ষণ ধরে কড়া নাড়লেও কেউ দরজা খুলছিল না। একসময় তিনি বেশ জোরে দরজায় আঘাত করতে থাকেন। তখন একটি কক্ষে শুয়ে থাকা বাবা শামসুজ্জামান এসে দরজা খুলে দেন। কবির ভেতরে ঢুকেই বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। বাবাও ক্ষিপ্ত হন। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে কবির বাবাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আর এই দৃশ্য চোখে পড়ে ছোট ছেলে কুশলের। কুশল বাবার পক্ষ নিলে কবির তার কক্ষে চলে যায়। আর ওই সময় কুশল রান্নাঘর থেকে একটি ছুরি এনে কবিরের পিঠে বসিয়ে দেয়। কবির ঘুরে দাঁড়ালে এবার তাঁর বুকেও ছুরি চালায় কুশল।
এ টি এম শামসুজ্জামান সেই দৃশ্য দেখে গগনবিদারি চিৎকার করতে থাকেন। চিৎকার শুনে বাড়ির ওপরের তলায় থাকা তাঁর ভাই হাজি সোলাইমান ও ভাতিজা শোভন দৌড়ে আসেন ঘটনাস্থলে। তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় কবিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রওনা দেন। রাস্তায়ই নিস্তেজ হয়ে পড়ে কবির। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক কবিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্রাপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দরজা খোলাকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। কুলশকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।' তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কুশল হাতে ব্যথা পায়।
এ টি এম শামসুজ্জামানের ভাতিজা শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কুশল কয়েক বছর আগে ডিগ্রি পাস করার পর কিছুই করত না। বাবা ও ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মাদক সেবন করত। তাকে এর থেকে ফেরানোর জন্য পরিবারের সবাই চেষ্টা করেছে। কিন্তু কাজ হয়নি।'
দেবেন্দ্রনাথ ঘোষ লেনের ৫ তলা বাড়িটি এ টি এম শামসুজ্জামানদের নিজেদের। নিচ তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন এ টি এম শামসুজ্জামান। ওপরের তলাগুলোতে থাকেন তাঁর ভাই-ভাতিজারা। তাঁদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে। এ টি এম শামসুজ্জামানের তিন ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে সবার বড় ছিল কবির। মেঝো ছেলের নাম কেতন। সবার ছোট কুশল।
এ টি এম শামসুজ্জামানের এক আত্মীয় কালের কণ্ঠকে জানান, শামসুজ্জামানের বড় মেয়ে কস্তুরির বাসা কয়েকটি বাসা পরেই। কস্তুরি অসুস্থ থাকায় শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনী জামান তাঁকে দেখতে যান সকালের দিকে। কবিরও সকালের দিকে বাইরে বের হয়ে যায়। বাসায় শুধু ছিলেন এ টি এম শামসুজ্জামান ও কুশল। বাড়ির অন্য সবাই বিভিন্ন কাজে বাসার বাইরে ছিল। বিকেল ৩টার দিকে কবির বাসায় ফিরে অনেকবার নক করেও দরজা না খোলায় গেট ভাঙার জন্য মিস্ত্রি পর্যন্ত নিয়ে আসে। মিস্ত্রি কাজ শুরুর আগে গেট খোলার শেষবার চেষ্টা চালায় সে। আর তখনই এ টি এম শামসুজ্জামান গিয়ে দরজা খুলে দেন। শামসুজ্জামানের ভাতিজা শোভন কালের কণ্ঠকে জানান, কবির গাড়ির ব্যবসা করতেন। বেইলি রোডে 'জামান এন্টারপ্রাইজ' নামের প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন তিনি।
পরিবারটির আরেক সদস্য জানান, ঘটনার পর পরই মানিক নামের কুশলের এক চাচা ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি এসে এই অবস্থা দেখে কুশলকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
খবর শুনে গতকাল বিকেলে এ টি এম শামসুজ্জামানকে সান্ত্বনা দিতে তাঁর বাসায় যান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এ টি এম আমাকে বলেছে, তাঁর ছোট ছেলে উত্তেজিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে। বড় ছেলের গায়ে ছুরি মারার সময় কুশল বলছিল, 'তুই বাবার গায়ে হাত তুলেছিস, তোর রেহাই নেই।' প্রবীর মিত্র জানান, এ ঘটনায় এ টি এম শামসুজ্জামান বিচলিত হয়ে পড়েছেন। তাঁর এক ছেলে মারা গেছে, আরেক ছেলের কী হবে- তাই নিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তিনি।
No comments