আইবিএ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়-এ মেলা প্রাণের মেলা by নুসরাত আজিম
‘ক্যাম্পাসে ঢুকেই ভীষণ কান্না পাচ্ছিল। নস্টালজিয়া না, পরিচিত সময়গুলো প্রাণের টানে টানছিল আমায়। এখানকার সবকিছু আমাকে গ্রাস করে নিচ্ছিল যেন। এই তো সেই মাঠ, যেখানে আমরা গেঁথে থাকতাম সারাটা বেলা। মুক্তমঞ্চটাও ডাকছে এখনো। দিনভর দৌড়ঝাঁপ আর গলা ফাটিয়ে এসে চায়ের কাপে ঝড় তুলতাম এখানেই।
তখন শিঙাড়ার যে গন্ধটা আমাদের ক্ষুধা বাড়িয়ে দিত, সেই পুরোনো গন্ধটিই যেন আবার এসে বিঁধছে। শিঙারার সেই দোকানটি এখন নেই। নেই আমার পরিচিত মুখগুলোও। এক টাকার চা এখন চার টাকা হয়েছে। বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। চেনা গাছগুলোও যেন আরও বুড়ো হয়ে গিয়েছে। বুড়ো তো হবেই। আমি যে দেড় যুগ আগের নাড়ি ধরে টানছি। তবে আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলো এখনো সবুজ। আমার মাঝে ক্যাম্পাসের সেই গানগুলো এখনো একই সুরে বাজে। মাঝেমধ্যে সেই দিনগুলো খুব টানে, জানো। মন খারাপ থাকলে আমি এখনো চলে আসি মাঝেমধ্যে। চোখ বন্ধ করে খুঁজে ফিরি আমার আমিকে।’ নিজের ক্যাম্পাসে এসে পুরোনো দিনের কথা এভাবেই মনে করছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ-জেইউ) প্রাক্তন শিক্ষার্থী বর্তমানে ব্যাংকার তৌফিক এলাহি চৌধুরী।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আইবিএ-জেইউ প্রাঙ্গণে হয়ে গেল দিনব্যাপী পুনর্মিলনী। আইবিএ-জেইউর প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয় এই অনুষ্ঠান। বর্তমান শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত ছিলেন জ্যেষ্ঠ ভাইবোনদের সঙ্গে পরিচিত হতে।
সকালের নাশতার পরই বাজনার তালে তালে ব্যানার-বেলুনসহ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের নিচ থেকে শুভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেন ইনস্টিটিউটের প্রথম থেকে ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে উপাচার্য শরীফ এনামুল কবির শুভেচ্ছাবার্তা আর বেলুন উড়িয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর পরই শুরু হয় প্রাণের উৎসবের নানা অনুষঙ্গ। বাজনার তালে নাচে-গানে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষার্থীরা। বাদ যাননি শিক্ষকেরাও। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে যাঁরা এই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, তাঁরা যেন সেদিন নিজের ভারিক্কি শিক্ষক পরিচয় ভুলে শুধুই প্রাক্তন শিক্ষার্থী হয়ে গিয়েছিলেন। পুরোনো বন্ধু, সহপাঠী, যাঁদের সঙ্গে দেখা হয়নি হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে, তাঁদের উচ্ছ্বাসে হারিয়ে গেল এতগুলো দিনের দূরত্ব, নিমেষেই। সেই স্মৃতিবিজড়িত আঙিনায়, নিজের প্রিয় ক্যাম্পাসে এসে পার হয়ে যাওয়া বছরগুলোর কথা যেন কারও মনেই পড়ছিল না, সবাই ফিরে গিয়েছিলেন তাঁদের সোনালি সময়গুলোতে।
চারপাশে ছোট-বড় পরিসরে ছিল খেলাধুলার আয়োজনও। ফটো বুথ ব্যাপারটা নতুন হলেও তার সদ্ব্যবহার হলো ভালোই। আইবিএ-জেইউয়ের এনভিশিও-ফটোগ্রাফি অ্যান্ড মিডিয়া ক্লাব পরিচালিত এই বুথে ব্যাচ, গ্রুপ মিলিয়ে আরও কত শত ছবি যে তোলা হলো এই মিলনমেলার স্মৃতি ধরে রাখতে, তা গুনে শেষ করা যাবে না! ছিল শ্যুভেনির শপ বা মার্চেন্ডাইজ কর্নার, আইবিএ-জেইউ ও জ্যাবসের লোগো-সংবলিত কফি মগ, চাবির রিং, কার্ড, গাড়ির স্টিকার প্রভৃতি। ‘অ্যালামনাই অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পান পঞ্চম ব্যাচের রোমেল ও পুণ্য। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইবিএ-জেইউয়ের সাংস্কৃতিক ক্লাব ইনফিউশন।
এই পুনর্মিলনীর উদ্যোক্তা আইবিএ-জেইউয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বিজনেস স্টুডেন্টস (জ্যাবস্)। সঙ্গে ছিল ইনস্টিটিউটের সাতটি ক্লাব ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আইবিএ-জেইউ প্রাঙ্গণে হয়ে গেল দিনব্যাপী পুনর্মিলনী। আইবিএ-জেইউর প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয় এই অনুষ্ঠান। বর্তমান শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত ছিলেন জ্যেষ্ঠ ভাইবোনদের সঙ্গে পরিচিত হতে।
সকালের নাশতার পরই বাজনার তালে তালে ব্যানার-বেলুনসহ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের নিচ থেকে শুভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেন ইনস্টিটিউটের প্রথম থেকে ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে উপাচার্য শরীফ এনামুল কবির শুভেচ্ছাবার্তা আর বেলুন উড়িয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর পরই শুরু হয় প্রাণের উৎসবের নানা অনুষঙ্গ। বাজনার তালে নাচে-গানে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষার্থীরা। বাদ যাননি শিক্ষকেরাও। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে যাঁরা এই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, তাঁরা যেন সেদিন নিজের ভারিক্কি শিক্ষক পরিচয় ভুলে শুধুই প্রাক্তন শিক্ষার্থী হয়ে গিয়েছিলেন। পুরোনো বন্ধু, সহপাঠী, যাঁদের সঙ্গে দেখা হয়নি হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে, তাঁদের উচ্ছ্বাসে হারিয়ে গেল এতগুলো দিনের দূরত্ব, নিমেষেই। সেই স্মৃতিবিজড়িত আঙিনায়, নিজের প্রিয় ক্যাম্পাসে এসে পার হয়ে যাওয়া বছরগুলোর কথা যেন কারও মনেই পড়ছিল না, সবাই ফিরে গিয়েছিলেন তাঁদের সোনালি সময়গুলোতে।
চারপাশে ছোট-বড় পরিসরে ছিল খেলাধুলার আয়োজনও। ফটো বুথ ব্যাপারটা নতুন হলেও তার সদ্ব্যবহার হলো ভালোই। আইবিএ-জেইউয়ের এনভিশিও-ফটোগ্রাফি অ্যান্ড মিডিয়া ক্লাব পরিচালিত এই বুথে ব্যাচ, গ্রুপ মিলিয়ে আরও কত শত ছবি যে তোলা হলো এই মিলনমেলার স্মৃতি ধরে রাখতে, তা গুনে শেষ করা যাবে না! ছিল শ্যুভেনির শপ বা মার্চেন্ডাইজ কর্নার, আইবিএ-জেইউ ও জ্যাবসের লোগো-সংবলিত কফি মগ, চাবির রিং, কার্ড, গাড়ির স্টিকার প্রভৃতি। ‘অ্যালামনাই অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পান পঞ্চম ব্যাচের রোমেল ও পুণ্য। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইবিএ-জেইউয়ের সাংস্কৃতিক ক্লাব ইনফিউশন।
এই পুনর্মিলনীর উদ্যোক্তা আইবিএ-জেইউয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বিজনেস স্টুডেন্টস (জ্যাবস্)। সঙ্গে ছিল ইনস্টিটিউটের সাতটি ক্লাব ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
No comments