নির্ভুল তালিকা করুন, সুপারিশে সতর্ক হোন-মুক্তিযোদ্ধা সনদ-বাণিজ্য
জাল সনদধারী মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধাও নন, সনদের যোগ্যও নন। সম্প্রতি সনদ জাল করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে আটক হয়েছেন পুলিশের ২৩ কনস্টেবল। জাল সনদ করা হয় সাধারণত সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা-সুবিধার জন্য। সুবিধার যোগ্য যিনি নন, তাঁর সুবিধা নিতে চাওয়াই দুর্নীতি।
এই জাল সনদধারীরা কেবল মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গেই প্রতারণা করেন না, বঞ্চিত করেন আরেকজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে; প্রতারণা করেন সরকারের সঙ্গেও। মুক্তিযুদ্ধকে এভাবে অপমান করার অধিকার কারও নেই।
বাংলাদেশে বর্তমানে বিশেষ একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। নিজেকে বিশেষ দাবি করে বিশেষ সুবিধা নেওয়ার এই সুবিধাবাদী প্রবণতা মুক্তিযুদ্ধকেও ছাড়েনি। এর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকারী এক হাজার ৩৩৮ জনের মধ্যে ১৫২ জনের সনদই ভুয়া বলে প্রমাণ মিলেছিল। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা বলে চাকরির বয়স বাড়ানোর আবেদনকারীদের মধ্যে ২৫ জনের কাগজপত্রও ছিল সন্দেহজনক। প্রশ্ন উঠেছে রাষ্ট্রীয় সুবিধা নেওয়া সাত হাজার সনদধারীকে নিয়েও। এঁদের মধ্যে রয়েছেন অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। ভুয়া সনদের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দেড় হাজার চাকরি বেহাতে গেছে বলে উল্লেখ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
প্রায় সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ কোটা বরাদ্দ রয়েছে। সেই কোটা-সুবিধা দেওয়া-নেওয়াকে ঘিরে জাল সনদের একটি চক্রও দাঁড়িয়ে গেছে। অনেক সময় মন্ত্রী-সাংসদ কিংবা তাঁদের সহকারীদের কেউ কেউ ভুয়া সনদধারীর পক্ষে সুপারিশ করে থাকেন। এটি দুর্ভাগ্যজনক।
সমস্যার কারণ হয়তো আরও গভীরে। যখন যাঁরা ক্ষমতায় থাকেন, তখন তাঁরা দলীয় বিবেচনায় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন করেন। এই সুযোগে আসল মুক্তিযোদ্ধাদের সারিতে নকলরা ঢুকে অবৈধ সুবিধা হাতিয়ে নেন। এই অপকর্ম রোধে প্রয়োজন দলীয় প্রভাবমুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি শুদ্ধ তালিকা। সেই সঙ্গে সুপারিশ প্রদানের ক্ষেত্রে মন্ত্রী-সাংসদ এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতাদের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সনদ-বাণিজ্য চলতেই থাকবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে বিশেষ একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। নিজেকে বিশেষ দাবি করে বিশেষ সুবিধা নেওয়ার এই সুবিধাবাদী প্রবণতা মুক্তিযুদ্ধকেও ছাড়েনি। এর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকারী এক হাজার ৩৩৮ জনের মধ্যে ১৫২ জনের সনদই ভুয়া বলে প্রমাণ মিলেছিল। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা বলে চাকরির বয়স বাড়ানোর আবেদনকারীদের মধ্যে ২৫ জনের কাগজপত্রও ছিল সন্দেহজনক। প্রশ্ন উঠেছে রাষ্ট্রীয় সুবিধা নেওয়া সাত হাজার সনদধারীকে নিয়েও। এঁদের মধ্যে রয়েছেন অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। ভুয়া সনদের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দেড় হাজার চাকরি বেহাতে গেছে বলে উল্লেখ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
প্রায় সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ কোটা বরাদ্দ রয়েছে। সেই কোটা-সুবিধা দেওয়া-নেওয়াকে ঘিরে জাল সনদের একটি চক্রও দাঁড়িয়ে গেছে। অনেক সময় মন্ত্রী-সাংসদ কিংবা তাঁদের সহকারীদের কেউ কেউ ভুয়া সনদধারীর পক্ষে সুপারিশ করে থাকেন। এটি দুর্ভাগ্যজনক।
সমস্যার কারণ হয়তো আরও গভীরে। যখন যাঁরা ক্ষমতায় থাকেন, তখন তাঁরা দলীয় বিবেচনায় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন করেন। এই সুযোগে আসল মুক্তিযোদ্ধাদের সারিতে নকলরা ঢুকে অবৈধ সুবিধা হাতিয়ে নেন। এই অপকর্ম রোধে প্রয়োজন দলীয় প্রভাবমুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি শুদ্ধ তালিকা। সেই সঙ্গে সুপারিশ প্রদানের ক্ষেত্রে মন্ত্রী-সাংসদ এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতাদের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সনদ-বাণিজ্য চলতেই থাকবে।
No comments