চাপ সামাল দেওয়ার কৌশল খুঁজতে হবে এখনই-বাংলাদেশের জনসংখ্যা
একটি পরিবারের সবকিছু চলে এর সদস্যসংখ্যার ওপর নির্ভর করে। শুধু সংখ্যা নয়, বয়স, নারী-পুুরুষ, শিশু, কতজন পড়াশোনা করে—এ সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে পরিবারের জীবনযাপনের দৈনন্দিন ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা হয়। রাষ্ট্র একটি বড় পরিবার, এর সদস্যসংখ্যা না জানলে এত বড় পরিবারটির ভবিষ্য ৎ পরিকল্পনা করা কঠিন।
রাষ্ট্রের জনসংখ্যার সঠিক সংখ্যার বিষয়টি তাই খুবই জরুরি। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার নতুন যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা বিভিন্ন সূত্রে আগের অনুমিত সংখ্যার চেয়ে বেশ কম, ১৪ কোটি ২৩ লাখ।
দেশে ১০ বছর পর পর যে লোকগণনা করা হয়, তাতে জরিপ চলার সময় কিছু লোক খুব স্বাভাবিক কারণেই বাদ পড়তে পারে, আবার কিছু একাধিকবার ঢুকে যেতে পারে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেওয়া জনসংখ্যার এই হিসাবকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার (পোস্ট ইম্যুনারেশন চেক বা পিইসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (বিআইডিএস)। গণনা থেকে বাদ পড়া বা একাধিকবার তালিকাভুক্ত হওয়ার মতো ভুলত্রুটিগুলো এর মধ্য দিয়ে শুধরে যাবে বলে আমরা মনে করি। ফলে তুলনামূলকভাবে আরও নির্ভুল তথ্যের জন্য আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
দেশের মোট লোকসংখ্যা কত, শুধু সেই হিসাব করাই আদমশুমারির লক্ষ্য নয়। আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০১১-এর প্রাথমিক যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেশের নারী ও পুরুষের সংখ্যা কত, দেশের জনঘনত্ব কত, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কী, কোন জেলায় কী হারে বেড়েছে—এসব জরুরি তথ্য বের হয়ে এসেছে। জনসংখ্যার ক্ষেত্রে ও সামগ্রিকভাবে দেশের ভবিষ্য ৎ পরিকল্পনা তৈরিতে এসব তথ্য-উপাত্ত বিবেচনায় নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে কমেছে, নারীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। এই তথ্যগুলো বাংলাদেশের বাস্তবতায় যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি তুলে ধরেছে, তা হলো অগ্রগতির এই হার কি যথেষ্ট?
এবারের আদমশুমারিটি ছিল দেশের পঞ্চম আদমশুমারি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে, ধারাবাহিকভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। ১৯৮১ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে হার ছিল ২ দশমিক ৩২, ২০০১ সালে তা দাঁড়ায় ১ দশমিক ৫৮, আর এবার ২০১১ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৪। জনসংখ্যা বাড়া-কমার এ হার নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার কোনো সুযোগ নেই। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সামনের দিনগুলোতে যদি আমরা ১ শতাংশেও নামিয়ে আনতে পারি, তাহলেও বর্তমান জনঘনত্ব বাড়বে, কৃষিজমি কমবে, খাদ্যের চাহিদাও বাড়বে।
এবারের আদমশুমারি আমাদের সামনে যে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরল, তাতে আমাদের সামনে এটা স্পষ্ট, বর্তমানে যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে, তা যথেষ্ট নয়। এ হারকে আরও কমাতে হবে। আর এর পরও যেহেতু দেশের জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে, তাই এই বাড়তি জনসংখ্যার চাপ কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, তা এখন থেকেই ভাবতে হবে। আবাসের জন্য ভাবতে হবে পরিকল্পিত নগরায়ণ ও আবাসনের কথা, ভাবতে হবে কৃষিজমি রক্ষার কথা। গুরুত্ব দিতে হবে খাদ্য ও জ্বালানি-নিরাপত্তা কীভাবে রক্ষা করা যাবে, সে দিকেও।
দেশে ১০ বছর পর পর যে লোকগণনা করা হয়, তাতে জরিপ চলার সময় কিছু লোক খুব স্বাভাবিক কারণেই বাদ পড়তে পারে, আবার কিছু একাধিকবার ঢুকে যেতে পারে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেওয়া জনসংখ্যার এই হিসাবকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার (পোস্ট ইম্যুনারেশন চেক বা পিইসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (বিআইডিএস)। গণনা থেকে বাদ পড়া বা একাধিকবার তালিকাভুক্ত হওয়ার মতো ভুলত্রুটিগুলো এর মধ্য দিয়ে শুধরে যাবে বলে আমরা মনে করি। ফলে তুলনামূলকভাবে আরও নির্ভুল তথ্যের জন্য আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
দেশের মোট লোকসংখ্যা কত, শুধু সেই হিসাব করাই আদমশুমারির লক্ষ্য নয়। আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০১১-এর প্রাথমিক যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেশের নারী ও পুরুষের সংখ্যা কত, দেশের জনঘনত্ব কত, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কী, কোন জেলায় কী হারে বেড়েছে—এসব জরুরি তথ্য বের হয়ে এসেছে। জনসংখ্যার ক্ষেত্রে ও সামগ্রিকভাবে দেশের ভবিষ্য ৎ পরিকল্পনা তৈরিতে এসব তথ্য-উপাত্ত বিবেচনায় নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে কমেছে, নারীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। এই তথ্যগুলো বাংলাদেশের বাস্তবতায় যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি তুলে ধরেছে, তা হলো অগ্রগতির এই হার কি যথেষ্ট?
এবারের আদমশুমারিটি ছিল দেশের পঞ্চম আদমশুমারি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে, ধারাবাহিকভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। ১৯৮১ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে হার ছিল ২ দশমিক ৩২, ২০০১ সালে তা দাঁড়ায় ১ দশমিক ৫৮, আর এবার ২০১১ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৪। জনসংখ্যা বাড়া-কমার এ হার নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার কোনো সুযোগ নেই। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সামনের দিনগুলোতে যদি আমরা ১ শতাংশেও নামিয়ে আনতে পারি, তাহলেও বর্তমান জনঘনত্ব বাড়বে, কৃষিজমি কমবে, খাদ্যের চাহিদাও বাড়বে।
এবারের আদমশুমারি আমাদের সামনে যে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরল, তাতে আমাদের সামনে এটা স্পষ্ট, বর্তমানে যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে, তা যথেষ্ট নয়। এ হারকে আরও কমাতে হবে। আর এর পরও যেহেতু দেশের জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে, তাই এই বাড়তি জনসংখ্যার চাপ কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, তা এখন থেকেই ভাবতে হবে। আবাসের জন্য ভাবতে হবে পরিকল্পিত নগরায়ণ ও আবাসনের কথা, ভাবতে হবে কৃষিজমি রক্ষার কথা। গুরুত্ব দিতে হবে খাদ্য ও জ্বালানি-নিরাপত্তা কীভাবে রক্ষা করা যাবে, সে দিকেও।
No comments