চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত-নেপথ্যে কোনো বাণিজ্য নেই তো
বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী। সেই বাণিজ্য যদি শিল্পের ভেতর দিয়ে আসে, তাহলে তো কথাই নেই। আমাদের দেশে আমদানিনির্ভর বাণিজ্যকে বরাবর উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এতে দেশের শিল্প কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হলো, তা কখনো খতিয়ে দেখা হয়নি।
দেশীয় শিল্প বিকাশের চেয়ে আমদানিনির্ভর বাণিজ্যের পথ বেশি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে আমদানি বাণিজ্যের পথ কণ্টকমুক্ত করতে গিয়ে দেশের শিল্প বিকাশের পথ কণ্টকাকীর্ণ করে তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশে যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, তার একটি হচ্ছে চিনি। দেশের অভ্যন্তরে আখ উৎপাদন হয়। উৎপাদিত আখ দিয়ে দেশের চিনিকলগুলো মৌসুমের পুরো সময় চলতে পারছে না। কৃষক নানা কারণে আখ উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলায় চলতি মৌসুমে অনেক চিনিকল নির্দিষ্ট সময়ের আগেই উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। আবার মৌসুমের শুরুতে উৎপাদনে গিয়েও অনেক চিনিকল বন্ধ হয়ে যায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে। আমাদের চিনিকলগুলো পুরনো হয়ে গেছে। পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে এসব চিনিকল সচল রাখা অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এখন প্রয়োজন আধুনিকীকরণ। আমাদের দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকলে নতুন প্রযুক্তির সনি্নবেশ ঘটিয়ে আধুনিক করে তোলা সম্ভব। পুরনো আমলের চিনিকলগুলো বছরের বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে, কোনো উৎপাদন হয় না। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে বিদেশ থেকে র সুগার আমদানি করে এখানে রিফাইন করে চিনিকলগুলো সারা বছর চালু রাখা সম্ভব। এ ধারণা থেকেই দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর বাইরে অনেক নতুন চিনির রিফাইনারি কারখানা গড়ে উঠেছে। দেশের চিনির চাহিদার অনেকটাই পূরণ হয় এসব কারখানা থেকে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব রিফাইনারি কারখানা এখন বিদেশেও চিনি রপ্তানির সুযোগ চাইছে। অন্যদিকে দেশের চিনিকলগুলো লোকসান গুনছে। এ অবস্থায় একটি গবেষক দল দেশের চিনিকলগুলোর আধুনিকীকরণের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। সেই গবেষণা থেকে দেখানো হয়েছিল, দেশের চিনিকলগুলো সারা বছর চালু রেখে চিনি উৎপাদনের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর এ অবস্থায় দেশের চাহিদা ও উৎপাদনের মধ্যে একটি ফারাক হওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে রিফাইনারি কারখানার চিনি উৎপাদন, বেসরকারি পর্যায়ের আমদানি ও মিলগুলোর উৎপাদন মিলিয়ে দেশে নতুন করে চিনি আমদানির প্রয়োজন আছে কি না তা দেখা দরকার। সারা বছর দেশে চিনির চাহিদা, উৎপাদন ও আমদানির একটা সমন্বয় থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেদিকে দৃষ্টি না দিয়েই আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে এই আমদানির নেপথ্যে ভিন্ন বাণিজ্যের সন্দেহ দেখা দেওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
দেশে এখন চিনির কোনো ঘাটতি আছে বলে মনে হয় না। রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫ চিনিকলের গুদামে পড়ে আছে এক লাখ ২২ হাজার টন চিনি। এ অবস্থায় বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে চিনি আমদানি করা কেন? বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে চিনি আমদানি করলে তা বাজারজাত করা যাবে না। তাহলে কেন রাষ্ট্রের তহবিল থেকে অযথা ব্যয়। এই চিনি কেনার জন্য শিল্পমন্ত্রীসহ চারজন বিদেশে গেছেন বলে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তাঁদের এই বিদেশ সফর কতটা যৌক্তিক, তাও বিবেচনার বিষয়।
বাংলাদেশে যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, তার একটি হচ্ছে চিনি। দেশের অভ্যন্তরে আখ উৎপাদন হয়। উৎপাদিত আখ দিয়ে দেশের চিনিকলগুলো মৌসুমের পুরো সময় চলতে পারছে না। কৃষক নানা কারণে আখ উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলায় চলতি মৌসুমে অনেক চিনিকল নির্দিষ্ট সময়ের আগেই উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। আবার মৌসুমের শুরুতে উৎপাদনে গিয়েও অনেক চিনিকল বন্ধ হয়ে যায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে। আমাদের চিনিকলগুলো পুরনো হয়ে গেছে। পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে এসব চিনিকল সচল রাখা অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এখন প্রয়োজন আধুনিকীকরণ। আমাদের দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকলে নতুন প্রযুক্তির সনি্নবেশ ঘটিয়ে আধুনিক করে তোলা সম্ভব। পুরনো আমলের চিনিকলগুলো বছরের বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে, কোনো উৎপাদন হয় না। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে বিদেশ থেকে র সুগার আমদানি করে এখানে রিফাইন করে চিনিকলগুলো সারা বছর চালু রাখা সম্ভব। এ ধারণা থেকেই দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর বাইরে অনেক নতুন চিনির রিফাইনারি কারখানা গড়ে উঠেছে। দেশের চিনির চাহিদার অনেকটাই পূরণ হয় এসব কারখানা থেকে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব রিফাইনারি কারখানা এখন বিদেশেও চিনি রপ্তানির সুযোগ চাইছে। অন্যদিকে দেশের চিনিকলগুলো লোকসান গুনছে। এ অবস্থায় একটি গবেষক দল দেশের চিনিকলগুলোর আধুনিকীকরণের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। সেই গবেষণা থেকে দেখানো হয়েছিল, দেশের চিনিকলগুলো সারা বছর চালু রেখে চিনি উৎপাদনের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর এ অবস্থায় দেশের চাহিদা ও উৎপাদনের মধ্যে একটি ফারাক হওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে রিফাইনারি কারখানার চিনি উৎপাদন, বেসরকারি পর্যায়ের আমদানি ও মিলগুলোর উৎপাদন মিলিয়ে দেশে নতুন করে চিনি আমদানির প্রয়োজন আছে কি না তা দেখা দরকার। সারা বছর দেশে চিনির চাহিদা, উৎপাদন ও আমদানির একটা সমন্বয় থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেদিকে দৃষ্টি না দিয়েই আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে এই আমদানির নেপথ্যে ভিন্ন বাণিজ্যের সন্দেহ দেখা দেওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
দেশে এখন চিনির কোনো ঘাটতি আছে বলে মনে হয় না। রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫ চিনিকলের গুদামে পড়ে আছে এক লাখ ২২ হাজার টন চিনি। এ অবস্থায় বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে চিনি আমদানি করা কেন? বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে চিনি আমদানি করলে তা বাজারজাত করা যাবে না। তাহলে কেন রাষ্ট্রের তহবিল থেকে অযথা ব্যয়। এই চিনি কেনার জন্য শিল্পমন্ত্রীসহ চারজন বিদেশে গেছেন বলে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তাঁদের এই বিদেশ সফর কতটা যৌক্তিক, তাও বিবেচনার বিষয়।
No comments