পাকিস্তানের আফগান গেরো by এম আবদুল হাফিজ
পারিপাশর্ি্বক বাস্তবতাই সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানদের কাতারে অন্তত মতান্তরে হলেও একমত হতে বাধ্য করেছে। সংঘর্ষের এই যে দুটি পক্ষ দর কষাকষিতে রাজি হয়েছে_ এতেই প্রকাশ পায় যে, তারা ছোটখাটো ইস্যুতে সমঝোতা করতে রাজি, যাতে উভয়ের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে।
ইতিপূর্বে তালেবানরা আফগানিস্তান থেকে সব বৈদেশিক সৈন্য প্রত্যাহার হওয়ার আগে তো কোনো আপস-নিষ্পত্তির ধারেকাছে আসতে চায়নি। একইভাবে মার্কিনিরাও বেশ কিছু সময় ধরে তালেবানদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও 'সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপে' রাজি ছিল না। অবশ্য কাতার ঙাবৎঃঁৎব-এরপরও কোনো পক্ষের হার বা জিতের কোনো আভাস সুদূর-পরাহত।
আসলে কোনো পক্ষেরই বিজয় সম্পূর্ণ হতে পারবে না শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল আফগানিস্তানের সূচনা ব্যতিরেকে। তাছাড়া সদ্য শুরু সংলাপ কীভাবে এগোবে এবং চূড়ান্ত ফলই-বা তার কী হবে তা এখনও সংশয়ের চাদরে ঢাকা। উপরন্তু প্রবাদ উক্তি তো রয়েছেই যে, চায়ের পেয়ালা এবং তাতে চুমুক দেওয়ার ঠোঁটের মধ্যকার দূরত্ব সবসময়ই যোজন পরিমাণ। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানরা এতদিনে যথেষ্টই বাস্তববাদী এবং তারা সস্তা আবেগকে বর্জন করে নিজ নিজ স্বার্থ সংরক্ষণে সিদ্ধহস্ত।
এটা কিছুটা আশা করা যে, আলোচনায় আফগানিস্তানে রাতারাতি একটি স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। বরং যতক্ষণ পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রস্তাবিত সরকারে জাতিগোষ্ঠীগত একটি সুষম বণ্টন নিশ্চিত না হবে দেশটিতে কাঙ্ক্ষিত শান্তি শুধু দুরাশায় পর্যবসিত হবে। একটি জোর করে চাপিয়ে দেওয়া পশতুন কর্তৃত্ববাদ বা প্রাধান্য_ হোক তা ধর্মের নামে_ অন্য জাতিগোষ্ঠীর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এ কথা বুঝতে হবে যে, অব্যাহত সংঘর্ষ তালেবান ও তাদের প্রতিপক্ষের মধ্যে একটি জীবনের ধারায় পরিণত হয়েছে_ বিশেষ করে একটি বিধ্বস্ত দেশে। এই সংঘর্ষই এখন প্রকারান্তরে উভয়পক্ষের জন্য প্রবল আকর্ষণীয়। কেননা তা ক্ষমতা এবং আয়ের উৎস হিসেবে এখন চিহ্নিত। তাছাড়া কে জানে তালেবানরা হয়তো আবার তাদের নব্বইয়ের দশকের ধর্মান্ধতায় ফিরে যেতে পারে এবং দেশের স্থিতিশীলতা পুনরায় বিপন্ন করতে পারে। তাই বর্তমানের আপস-নিষ্পত্তির পর্যায়েই পর্যন্ত সামাজিক ও গোষ্ঠীগত ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে। এই কাজটা অনেকাংশে নির্ভর করবে আফগান ন্যাশনাল আর্মির কার্যকারিতার ওপর। সমস্যা যে আফগানদের মধ্যে অনুতাপহীনভাবে দলবদলের প্রবণতা বেশি।
যদিও কাতারের চলমান বোঝাপড়ায় কারজাই সরকারকে গৌণ অবস্থানে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান কিন্তু এখনও একটি পক্ষ। কিন্তু পাকিস্তান তার অবস্থান থেকে কতটা লাভবান হবে তা এখনও দেখার বিষয়। তবে মনে হয় না যে, বারো বছর আগে তালেবানরা যেভাবে পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকেছিল, এখন আবার তার পুনরাবৃত্তি হবে। কেউ যদি ভাবে যে একজন চরম জেদি মোল্লা ওমর এবং তার ধর্মান্ধ অনুসারীদের কোনো প্রকার পরিবর্তন হয়েছে সে মূর্খের স্বর্গেই এখনও আছে। নব্বইয়ের দশকের প্রারম্ভে তালেবানরা এক যুগের মধ্যেই মার্কিনিদের রীতিমতো হুমকিতে পরিণত হয়েছিল। এ কথা কেউ বিশ্বাস করে না যে, মার্কিনিরা এ অঞ্চলে তাদের জাতীয় স্বার্থ অর্জন না করেই ২০১৪ সালের মধ্যে চলে যাবে। তবে তারা যে পাকিস্তান বা তালেবান কাউকেই বিশ্বাস করে না, এ কথা পরিষ্কার।
সুতরাং ভারতই যে মার্কিনিদের বিদায়প্রসূত ফায়দার সিংহভাগ পেয়ে যাবে এবং তা পাকিস্তানেরও পাওয়ার অভিপ্রায় সত্ত্বেও_ পর্যবেক্ষকরা তেমনটি বিশ্বাস করেন। ব্রুস রিডেল তার সাম্প্রতিক গ্রন্থ উবধফু ঊসনৎধপব-এর পেপারব্যাক সংস্করণের মুখবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তার প্রদত্ত ব্যবস্থাপত্রে লিখেছেন :
আইএসআই আফগানিস্তানে যে কোনো শান্তি প্রচেষ্টা ঠেকাবে অথবা বাধাগ্রস্ত করবে। তাই ওদের ওপর খুব একটা নির্ভর না করে আমাদের (মার্কিনিদের) আফগান আর্মির ওপর নির্ভরতা বাড়ানো উচিত। তারাই অর্থাৎ আফগান আর্মিই অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ দমনে অধিক কার্যকর যদি ন্যাটো বাহিনী আগের মতো তাদের সহযোগিতা করে। ভাগ্যক্রমে এসব কিছুতে ভারত খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ওবামা ভারতে সময় এবং প্রচেষ্টা বিনিয়োগ করে বিজ্ঞজনোচিত কাজই করেছেন। পাকিস্তানের ওপর ভারত ও মার্কিনিদের মধ্যে একটি কৌশলগত সংলাপ সমস্যার অনেক কিছুই উন্মোচিত করবে। আমাদেরও অর্থাৎ মার্কিনিদের সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সন্ত্রাসের লক্ষ্যবস্তুগুলো নির্ণয়ে গভীর সহযোগিতার প্রয়োজন। মার্কিনিদের দৃষ্টিতে আফগানিস্তানের সমগ্র পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাসে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মার্কিনিরা এমন একটি ভারতীয় ভূমিকা বাস্তবে আনতে চেষ্টা করতে পারে।
একটি গ্রন্থের মুখবন্ধে স্ট্র্যাটেজির এই সাতকাহন কতটা প্রাসঙ্গিক সে প্রশ্ন বাদ দিয়ে পাকিস্তানের অদূর ভবিষ্যতের কিঞ্চিৎ আভাস তা বহন করে। সম্প্রতি প্রথাগত কাশ্মীর কনভেনশনে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি কিছুটা আবেগের সুরেই বলেছেন যে, এসব দিন আর নেই যখন ব্যক্তি পর্যায়ে বৈদেশিক নীতি তৈরি হতো। তৎপরিবর্তে এখন তা হতে হবে পার্লামেন্টে। গিলানি অবশ্য একই সঙ্গে এ কথাও বলেন যে, কাশ্মীর ইস্যু এখনও পাকিস্তানের বিদেশ নীতির একটি স্তম্ভ। এই আলাপচারিতায় অংশ নেন মাওলানা ফজলুর রহমানসহ অনেকে। তারা প্রশ্ন তোলেন, যেন তারা কাশ্মীরকে পুনর্মূল্যায়ন করে এর কার্যকর এবং আন্তর্জাতিক রীতিসম্মত পথে এর মীমাংসার পথ খুঁজে বের করছেন না?
এমন প্রশ্নের উত্তর বিস্বাদ। ভারত একটি বিশাল দেশ, বিপুল তার সম্পদ। পাকিস্তান এমন ভারতের খপ্পর থেকে কাশ্মীরকে মুক্ত করতে গিয়ে শুধু বহুমাত্রিক রক্তক্ষরণের শিকার হয়েছে। কাশ্মীর একাধিক পথে চেষ্টা করেও ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারেনি। পাকিস্তান নৈতিক ও কূটনীতিক সাহায্য দিতে গিয়েও কাশ্মীর প্রশ্নে শুধু সন্ত্রাসী পথ এখতিয়ারের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
পাকিস্তানের জন্য একই অবস্থা ডুরান্ড লাইনের ইস্যুতে। শেষ পর্যন্ত কি তালেবান নেতৃত্বাধীনে কাবুল আদৌ এর সমাধান করবে? আসলেই কি পাকিস্তানিরা এর সমাধানে আগ্রহী? কাতারে জাঁকজমকপূর্ণ একটি তালেবান বিজয়ের স্বপ্ন দেখার পরিবর্তে পাকিস্তানিদের জন্য বরং এসব প্রশ্নের উত্তরই অগ্রাধিকার রাখে।
ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম আবদুল হাফিজ
সাবেক মহাপরিচালক, বিআইআইএসএস ও কলাম লেখক
আসলে কোনো পক্ষেরই বিজয় সম্পূর্ণ হতে পারবে না শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল আফগানিস্তানের সূচনা ব্যতিরেকে। তাছাড়া সদ্য শুরু সংলাপ কীভাবে এগোবে এবং চূড়ান্ত ফলই-বা তার কী হবে তা এখনও সংশয়ের চাদরে ঢাকা। উপরন্তু প্রবাদ উক্তি তো রয়েছেই যে, চায়ের পেয়ালা এবং তাতে চুমুক দেওয়ার ঠোঁটের মধ্যকার দূরত্ব সবসময়ই যোজন পরিমাণ। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানরা এতদিনে যথেষ্টই বাস্তববাদী এবং তারা সস্তা আবেগকে বর্জন করে নিজ নিজ স্বার্থ সংরক্ষণে সিদ্ধহস্ত।
এটা কিছুটা আশা করা যে, আলোচনায় আফগানিস্তানে রাতারাতি একটি স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। বরং যতক্ষণ পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রস্তাবিত সরকারে জাতিগোষ্ঠীগত একটি সুষম বণ্টন নিশ্চিত না হবে দেশটিতে কাঙ্ক্ষিত শান্তি শুধু দুরাশায় পর্যবসিত হবে। একটি জোর করে চাপিয়ে দেওয়া পশতুন কর্তৃত্ববাদ বা প্রাধান্য_ হোক তা ধর্মের নামে_ অন্য জাতিগোষ্ঠীর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এ কথা বুঝতে হবে যে, অব্যাহত সংঘর্ষ তালেবান ও তাদের প্রতিপক্ষের মধ্যে একটি জীবনের ধারায় পরিণত হয়েছে_ বিশেষ করে একটি বিধ্বস্ত দেশে। এই সংঘর্ষই এখন প্রকারান্তরে উভয়পক্ষের জন্য প্রবল আকর্ষণীয়। কেননা তা ক্ষমতা এবং আয়ের উৎস হিসেবে এখন চিহ্নিত। তাছাড়া কে জানে তালেবানরা হয়তো আবার তাদের নব্বইয়ের দশকের ধর্মান্ধতায় ফিরে যেতে পারে এবং দেশের স্থিতিশীলতা পুনরায় বিপন্ন করতে পারে। তাই বর্তমানের আপস-নিষ্পত্তির পর্যায়েই পর্যন্ত সামাজিক ও গোষ্ঠীগত ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে। এই কাজটা অনেকাংশে নির্ভর করবে আফগান ন্যাশনাল আর্মির কার্যকারিতার ওপর। সমস্যা যে আফগানদের মধ্যে অনুতাপহীনভাবে দলবদলের প্রবণতা বেশি।
যদিও কাতারের চলমান বোঝাপড়ায় কারজাই সরকারকে গৌণ অবস্থানে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান কিন্তু এখনও একটি পক্ষ। কিন্তু পাকিস্তান তার অবস্থান থেকে কতটা লাভবান হবে তা এখনও দেখার বিষয়। তবে মনে হয় না যে, বারো বছর আগে তালেবানরা যেভাবে পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকেছিল, এখন আবার তার পুনরাবৃত্তি হবে। কেউ যদি ভাবে যে একজন চরম জেদি মোল্লা ওমর এবং তার ধর্মান্ধ অনুসারীদের কোনো প্রকার পরিবর্তন হয়েছে সে মূর্খের স্বর্গেই এখনও আছে। নব্বইয়ের দশকের প্রারম্ভে তালেবানরা এক যুগের মধ্যেই মার্কিনিদের রীতিমতো হুমকিতে পরিণত হয়েছিল। এ কথা কেউ বিশ্বাস করে না যে, মার্কিনিরা এ অঞ্চলে তাদের জাতীয় স্বার্থ অর্জন না করেই ২০১৪ সালের মধ্যে চলে যাবে। তবে তারা যে পাকিস্তান বা তালেবান কাউকেই বিশ্বাস করে না, এ কথা পরিষ্কার।
সুতরাং ভারতই যে মার্কিনিদের বিদায়প্রসূত ফায়দার সিংহভাগ পেয়ে যাবে এবং তা পাকিস্তানেরও পাওয়ার অভিপ্রায় সত্ত্বেও_ পর্যবেক্ষকরা তেমনটি বিশ্বাস করেন। ব্রুস রিডেল তার সাম্প্রতিক গ্রন্থ উবধফু ঊসনৎধপব-এর পেপারব্যাক সংস্করণের মুখবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তার প্রদত্ত ব্যবস্থাপত্রে লিখেছেন :
আইএসআই আফগানিস্তানে যে কোনো শান্তি প্রচেষ্টা ঠেকাবে অথবা বাধাগ্রস্ত করবে। তাই ওদের ওপর খুব একটা নির্ভর না করে আমাদের (মার্কিনিদের) আফগান আর্মির ওপর নির্ভরতা বাড়ানো উচিত। তারাই অর্থাৎ আফগান আর্মিই অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ দমনে অধিক কার্যকর যদি ন্যাটো বাহিনী আগের মতো তাদের সহযোগিতা করে। ভাগ্যক্রমে এসব কিছুতে ভারত খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ওবামা ভারতে সময় এবং প্রচেষ্টা বিনিয়োগ করে বিজ্ঞজনোচিত কাজই করেছেন। পাকিস্তানের ওপর ভারত ও মার্কিনিদের মধ্যে একটি কৌশলগত সংলাপ সমস্যার অনেক কিছুই উন্মোচিত করবে। আমাদেরও অর্থাৎ মার্কিনিদের সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সন্ত্রাসের লক্ষ্যবস্তুগুলো নির্ণয়ে গভীর সহযোগিতার প্রয়োজন। মার্কিনিদের দৃষ্টিতে আফগানিস্তানের সমগ্র পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাসে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মার্কিনিরা এমন একটি ভারতীয় ভূমিকা বাস্তবে আনতে চেষ্টা করতে পারে।
একটি গ্রন্থের মুখবন্ধে স্ট্র্যাটেজির এই সাতকাহন কতটা প্রাসঙ্গিক সে প্রশ্ন বাদ দিয়ে পাকিস্তানের অদূর ভবিষ্যতের কিঞ্চিৎ আভাস তা বহন করে। সম্প্রতি প্রথাগত কাশ্মীর কনভেনশনে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি কিছুটা আবেগের সুরেই বলেছেন যে, এসব দিন আর নেই যখন ব্যক্তি পর্যায়ে বৈদেশিক নীতি তৈরি হতো। তৎপরিবর্তে এখন তা হতে হবে পার্লামেন্টে। গিলানি অবশ্য একই সঙ্গে এ কথাও বলেন যে, কাশ্মীর ইস্যু এখনও পাকিস্তানের বিদেশ নীতির একটি স্তম্ভ। এই আলাপচারিতায় অংশ নেন মাওলানা ফজলুর রহমানসহ অনেকে। তারা প্রশ্ন তোলেন, যেন তারা কাশ্মীরকে পুনর্মূল্যায়ন করে এর কার্যকর এবং আন্তর্জাতিক রীতিসম্মত পথে এর মীমাংসার পথ খুঁজে বের করছেন না?
এমন প্রশ্নের উত্তর বিস্বাদ। ভারত একটি বিশাল দেশ, বিপুল তার সম্পদ। পাকিস্তান এমন ভারতের খপ্পর থেকে কাশ্মীরকে মুক্ত করতে গিয়ে শুধু বহুমাত্রিক রক্তক্ষরণের শিকার হয়েছে। কাশ্মীর একাধিক পথে চেষ্টা করেও ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারেনি। পাকিস্তান নৈতিক ও কূটনীতিক সাহায্য দিতে গিয়েও কাশ্মীর প্রশ্নে শুধু সন্ত্রাসী পথ এখতিয়ারের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
পাকিস্তানের জন্য একই অবস্থা ডুরান্ড লাইনের ইস্যুতে। শেষ পর্যন্ত কি তালেবান নেতৃত্বাধীনে কাবুল আদৌ এর সমাধান করবে? আসলেই কি পাকিস্তানিরা এর সমাধানে আগ্রহী? কাতারে জাঁকজমকপূর্ণ একটি তালেবান বিজয়ের স্বপ্ন দেখার পরিবর্তে পাকিস্তানিদের জন্য বরং এসব প্রশ্নের উত্তরই অগ্রাধিকার রাখে।
ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম আবদুল হাফিজ
সাবেক মহাপরিচালক, বিআইআইএসএস ও কলাম লেখক
No comments