আটার বাজার জিম্মি-দ্রুত মূল্য কমানো দরকার
বাংলাদেশে বরাবরই দরিদ্র মানুষের খাদ্য ঘাটতিতে খাবার হিসেবে সহায়ক হয়ে উঠেছে আটা। সব সময়ই দরিদ্র বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ভরসা ছিল আটা। কিন্তু সেই আটাই আজ রীতিমতো বিলাসী খাবারে পরিণত হয়েছে। আটার সরবরাহে কমতি নেই, গম উৎপাদনও দেশে অব্যাহত আছে; কিন্তু আটা ভোক্তাদের কপালে নেমে এসেছে দুর্ভোগ।
গত দুই মাসে প্রতি কেজি খোলা আটার পাইকারি মূল্য বেড়েছে ১০ থেকে ১১ টাকা এবং খুচরা মূল্য বেড়েছে ১২ থেকে ১৩ টাকা। আটার ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ৩০ শতাংশের মতো। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সরকারের সুষ্ঠু বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা এবং মিল না থাকার সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা আটার বাজারকে জিম্মি করে ফেলেছে। এর বিপরীত বক্তব্যও আছে। কারো কারো অভিযোগ, ঠিকমতো এলসি খোলা যাচ্ছে না, তাই, আটার বাজার সাময়িকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, আটার দাম বৃদ্ধি নিয়ে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্যবসায়ী এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে বৈঠকে আটার মূল্যবৃদ্ধির কিছু কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের সুপারিশ করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, চলতি বছর বেসরকারি পর্যায়ে গম আমদানি কম হওয়া, ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়া, ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য হ্রাস, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় গম ও আটার দাম বেড়ে গেছে। এ ছাড়া অনেক পোলট্রি ফার্ম বন্ধ হওয়ায় এবং পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় মুরগি ও মাছের খাবার ভুসির দাম পড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে আটার মূল্যে।
আমরা মনে করি, এসব কোনো অজুহাতই আটার মূল্যবৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট ও গ্রাহ্য করার মতো নয়। জানা গেছে, এ বছর বিশ্বে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গম উৎপাদিত হয়েছে। সরকারের কাছেও পর্যাপ্ত পরিমাণ গম মজুদ আছে। তা হলে কেন দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এই চড়ামূল্যে আটা ক্রয় করতে হবে? আটা শুধু যে খাবার রুটি হিসেবে ব্যবহার হয় তা-ই নয়, বিস্কুট, গুঁড়া দুধ থেকে শুরু করে মিস্টি তৈরি পর্যন্ত আটা অপরিহার্য। আটার মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এসব পণ্যমূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। এ বিষয়টি এখনই জোর দিয়ে সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আটার মূল্যবৃদ্ধি পেলে সরকার যত চেষ্টাই করুক, চালের মূল্যও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে না। সরকারকে মনে রাখতে হবে, আটার দাম এভাবে বৃদ্ধি পেলে ওএমএসের মাধ্যমে চাল সরবরাহ করেও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য সংকট দূর করা যাবে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাল বিলম্ব না করে আটার মূল্য স্বাভাবিক করার দাবি এখন সবার।
আমরা মনে করি, এসব কোনো অজুহাতই আটার মূল্যবৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট ও গ্রাহ্য করার মতো নয়। জানা গেছে, এ বছর বিশ্বে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গম উৎপাদিত হয়েছে। সরকারের কাছেও পর্যাপ্ত পরিমাণ গম মজুদ আছে। তা হলে কেন দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এই চড়ামূল্যে আটা ক্রয় করতে হবে? আটা শুধু যে খাবার রুটি হিসেবে ব্যবহার হয় তা-ই নয়, বিস্কুট, গুঁড়া দুধ থেকে শুরু করে মিস্টি তৈরি পর্যন্ত আটা অপরিহার্য। আটার মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এসব পণ্যমূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। এ বিষয়টি এখনই জোর দিয়ে সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আটার মূল্যবৃদ্ধি পেলে সরকার যত চেষ্টাই করুক, চালের মূল্যও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে না। সরকারকে মনে রাখতে হবে, আটার দাম এভাবে বৃদ্ধি পেলে ওএমএসের মাধ্যমে চাল সরবরাহ করেও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য সংকট দূর করা যাবে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাল বিলম্ব না করে আটার মূল্য স্বাভাবিক করার দাবি এখন সবার।
No comments