জন্মদিন-স্মৃতি ও আনন্দের কাব্য by আসাদ চৌধুরী
১৯৬০-এর আগে আল মাহমুদের কোনো কবিতা পড়েছি কি না, মনে করতে পারছি না। তবে তাঁর সঙ্গে দেখা হওয়ার বেশ আগেই ‘ব্রে’ কবিতাটি পড়েছিলাম, দারুণ লেগেছিল। তাস নিয়ে যে কবিতা লেখা যায়, এটা আমার জানা ছিল না। বলা ভালো, সে সময় আমি বেশ তাস খেলতাম, এখনো সময় ও সুযোগ পেলে খেলি।
হেলাল হাফিজের ‘দুইটি জোকার নষ্ট হওয়ার কষ্ট ভীষণ’ পঙিক্তটি আমার মতো অনেকেরই ভালো লাগার কথা। সে সময় খুব ব্রে খেলতাম। আল মাহমুদের নামটি মনে গেঁথে যায়। টাঙ্গাইল থেকে রফিক আজাদ ঢাকায় এলেন আরও দুই বছর পর। আলাভোলা মানুষটি হলেও ভেতরে ভেতরে দারুণ সংগঠক। প্রথমে বেরোল বক্তব্য, সায়ীদ ভাইয়ের (আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ) পৃষ্ঠপোষকতায়, পরে স্বাক্ষর। প্রশান্ত ঘোষাল, ইমরুল চৌধুরী, সিকদার আমিনুল হক, রণজিৎ পাল চৌধুরী—খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলেন, পালের গোদা ছিলেন রফিক আজাদই।
প্রশান্ত ঘোষাল তিনজন কবিকে আমাদের আদর্শস্থানীয় বলে ঘোষণা করলেন স্বাক্ষর-এর এক লেখায়। আর এই কবিত্রয় হলেন শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ ও শহীদ কাদরী। আল মাহমুদের কোনো বই তখনো বেরোয়নি। প্রশান্ত একটি লেখায় প্রমাণ করলেন, তিনি কত বড় সমালোচক। এবারও রফিক আজাদের তৎ পরতা। টাঙ্গাইলের আরেক কৃতী পুরুষ ছাপাখানার ব্যাপারে সত্যি তালেবর ব্যক্তি ছিলেন মুহম্মদ আখতার, তাঁরই নেতৃত্বে আমরা কয়েকজন একত্রিত হলাম—শিল্পী হাশেম খান, শাহজাহান সাহেব, আমার সহপাঠী হেলাল, কথাশিল্পী শহীদুর রহমান, ইত্তেফাক-এর সাংবাদিক শাহাবুদ্দীন সাহেব আরও কয়েকজন মিলে (মাসে মাসে ১০ টাকা করে দিয়ে) একটি তহবিল গঠন করে আল মাহমুদের প্রথম কবিতার বই লোক লোকান্তর বের করা হলো। প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল কপোতাক্ষ। লোক লোকান্তর কাইয়ুম চৌধুরীর দক্ষিণ হাতের পরশে চমৎ কার একরঙা প্রচ্ছদে সোনার টোপর মাথায় দিয়ে বেরোল। প্রায় রাতারাতি আল মাহমুদ তরুণদের কাছে দারুণ প্রিয় হয়ে উঠলেন। মুহম্মদ আখতারের উসকানির ফলে সিদ্ধান্ত হলো, বইটির প্রকাশনা উৎ সব করতে হবে। পেছনে নাটের গুরু রফিক আজাদ তো ছিলেনই—আমার দায়িত্ব ছিল অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ বা ধন্যবাদ- জাতীয় কিছু দেবার। কিন্তু মুশকিল বেধে গেল অন্য জায়গায়। যে প্রেসে বইটি ছাপা হয়েছিল, শ দুয়েক টাকা না পেলে তারা কিছুতেই বইয়ের একটি কপিও দেবে না। খবরটা পেলাম দুুপুরের দিকে। এদিকে সব আয়োজন প্রায় সম্পন্ন। বাংলা একাডেমীর মূল ভবনের তিনতলায় একটি মিলনায়তন ছিল, অনুষ্ঠানের সভাপতি সৈয়দ আলী আহসান, প্রধান অতিথি ইত্তেফাক-এর তারকা সাংবাদিক সিরাজ ভাই (শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন), সায়ীদ ভাইও কিছু বলতে রাজি হয়েছেন। অথচ বই কোথায়?
উদ্যোক্তাদের আরও ভয় ছিল, অনুষ্ঠান শেষে অভ্যাগতদের যে চা-টা দেওয়া হবে, সেই খরচটাই বা কে দেবেন? না, আল মাহমুদের পরিবারটি খানদানি হলে কী হবে, সে সময় তাদের আর্থিক অবস্থাটা সে রকম ছিল না। আর আমাদের মধ্যে যারা উদ্যোগী, তাদেরও পকেটের অবস্থাটা মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেল মধুদার কথা। মধুর ক্যানটিনের মধুদা, শ্রীমধুসূদন দে। মাস কয়েক আগে পূজার সময় তিনি আমার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়েছিলেন, এই সুযোগটা এখন নেওয়া যায়।
মধুদা বাকিতে শিঙাড়া, সন্দেশ আর চা দিতে রাজি হলেন। কিন্তু নগদ অতগুলো টাকা? ক্যানটিনের ক্যাশে তখন শ খানেক টাকাও জমা পড়েনি। বললেন ঘণ্টা দুয়েক পরে দেবেন।
দুই ঘণ্টা পার করে দেওয়ার মতো বুদ্ধিশুদ্ধি থাকলেও মনে হচ্ছিল, বেশ দীর্ঘ সময়। জানি না, কার হাত দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, অনুষ্ঠানের সামান্য আগে কিছু কপি ঠিকই চলে আসে। যাকে বলে হাতে চাঁদ।
সে সময় আল মাহমুদ পাজামার ওপর একটা প্রিন্স কোট চাপাতেন। ছিপছিপে শরীর, গলার বোতামটাও আটকাতেন। আমার ছোট বোন মাহেরু রোকেয়া হলের মাতবর মার্কা ছাত্রী। ওকে বলে দিয়েছিলাম আসার জন্য। সে দলবল নিয়েই এসেছিল। আমেরিকার মেনিসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ফুলহাতা টি-শার্ট আমার এক মার্কিন ছাত্র এনেছিল। সেটা গায়ে চাপিয়ে আমিও সাধ্যমতো স্মার্ট হয়ে হাজির হলাম।
পরদিন শুধু ইত্তেফাক পত্রিকায় অনুষ্ঠানের সংবাদটি ছাপা হয়েছিল।
এরপর তো আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে যোগদান করি সে বছরের শেষ মাসে, ডিসেম্বরে। লোক লোকান্তর আমি আক্ষরিক অর্থে হাতে করে বিক্রি করেছি, উপহারও দিয়েছি। একটি কবিতা উৎ সর্গ করেছিলেন আল মাহমুদ ডাক্তার চণ্ডীপদ চক্রবর্তীকে, আমাদের চণ্ডীদাকে। আল মাহমুদ যখন বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেলেন, আমি চণ্ডীদাকে বললাম, সংবর্ধনার আয়োজন করি? বলার সঙ্গে সঙ্গে হইহই করে উঠলেন চণ্ডীদা, করেন।
নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে অবশেষে যথারীতি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হলো। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়—হ্যাজাকের ব্যবস্থা ছিল বলেই বোধহয় চণ্ডীদার বাসা থেকে তালপাখা আনিয়েছিলেন। সভাপতি মোফাজ্জল করিম (প্রখ্যাত কবি, কমালিস্ট, বাংলাদেশ সরকারের সচিব ছিলেন, ব্রিটেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত) পাখার বাতাস খাচ্ছেন। শরীফ, আল মাহমুদের বড় ছেলে, বাবার কোলে ঘুমুচ্ছে, আল মাহমুদ ছেলেকে বাতাস করছেন—ফটোটা আমার বন্ধু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রাণতোষ চৌধুরী কেন তুলেছিলেন তিনিই জানেন, আর এই ছবিটিই তিনি আমাকে উপহার দিয়েছিলেন—সাদা কালো আলোকচিত্র।
অনেক কথা জমে আছে আল মাহমুদকে ঘিরে। ঢাকায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, দুই দফা চট্টগ্রামে, একাত্তরের কলকাতায়, গণকণ্ঠ-এর সেই উত্তাল সময়ে, শিল্পকলা একাডেমীতে...নিউইয়র্কে বাংলা একাডেমীর ছোট্ট কক্ষে সোনালী কাবিন-এর যুগ, মায়াবী পর্দার যুগ, বিরামপুরের যুগ—সময় কত দ্রুত ফুরোয়।
আজ কবি আল মাহমুদের ৭৬তম জন্মদিন। বাংলা কবিতার অনুরাগীদের কাছে উৎ সব। আধুনিক বাংলা কবিতার মৌলিক প্রতিভাবান কবি। আল মাহমুদকে নিয়ে যত কথাই উঠুক না কেন, আল মাহমুদ দেশপ্রেমিক কবি ছাড়া আর কিছুই নন। যিনি অতীতের সঙ্গে বর্তমানের সাঁকো বানিয়েছেন—ভবিষ্যতের ভিত তৈরি করে যাচ্ছেন যত্ন করে ভালোবেসে, মমতা দিয়ে। কণ্ঠস্বর তারায় তুলেই বলছি—আল মাহমুদ, শুভ জন্মদিন। অমর হোন।
আসাদ চৌধুরী, কবি।
প্রশান্ত ঘোষাল তিনজন কবিকে আমাদের আদর্শস্থানীয় বলে ঘোষণা করলেন স্বাক্ষর-এর এক লেখায়। আর এই কবিত্রয় হলেন শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ ও শহীদ কাদরী। আল মাহমুদের কোনো বই তখনো বেরোয়নি। প্রশান্ত একটি লেখায় প্রমাণ করলেন, তিনি কত বড় সমালোচক। এবারও রফিক আজাদের তৎ পরতা। টাঙ্গাইলের আরেক কৃতী পুরুষ ছাপাখানার ব্যাপারে সত্যি তালেবর ব্যক্তি ছিলেন মুহম্মদ আখতার, তাঁরই নেতৃত্বে আমরা কয়েকজন একত্রিত হলাম—শিল্পী হাশেম খান, শাহজাহান সাহেব, আমার সহপাঠী হেলাল, কথাশিল্পী শহীদুর রহমান, ইত্তেফাক-এর সাংবাদিক শাহাবুদ্দীন সাহেব আরও কয়েকজন মিলে (মাসে মাসে ১০ টাকা করে দিয়ে) একটি তহবিল গঠন করে আল মাহমুদের প্রথম কবিতার বই লোক লোকান্তর বের করা হলো। প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল কপোতাক্ষ। লোক লোকান্তর কাইয়ুম চৌধুরীর দক্ষিণ হাতের পরশে চমৎ কার একরঙা প্রচ্ছদে সোনার টোপর মাথায় দিয়ে বেরোল। প্রায় রাতারাতি আল মাহমুদ তরুণদের কাছে দারুণ প্রিয় হয়ে উঠলেন। মুহম্মদ আখতারের উসকানির ফলে সিদ্ধান্ত হলো, বইটির প্রকাশনা উৎ সব করতে হবে। পেছনে নাটের গুরু রফিক আজাদ তো ছিলেনই—আমার দায়িত্ব ছিল অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ বা ধন্যবাদ- জাতীয় কিছু দেবার। কিন্তু মুশকিল বেধে গেল অন্য জায়গায়। যে প্রেসে বইটি ছাপা হয়েছিল, শ দুয়েক টাকা না পেলে তারা কিছুতেই বইয়ের একটি কপিও দেবে না। খবরটা পেলাম দুুপুরের দিকে। এদিকে সব আয়োজন প্রায় সম্পন্ন। বাংলা একাডেমীর মূল ভবনের তিনতলায় একটি মিলনায়তন ছিল, অনুষ্ঠানের সভাপতি সৈয়দ আলী আহসান, প্রধান অতিথি ইত্তেফাক-এর তারকা সাংবাদিক সিরাজ ভাই (শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন), সায়ীদ ভাইও কিছু বলতে রাজি হয়েছেন। অথচ বই কোথায়?
উদ্যোক্তাদের আরও ভয় ছিল, অনুষ্ঠান শেষে অভ্যাগতদের যে চা-টা দেওয়া হবে, সেই খরচটাই বা কে দেবেন? না, আল মাহমুদের পরিবারটি খানদানি হলে কী হবে, সে সময় তাদের আর্থিক অবস্থাটা সে রকম ছিল না। আর আমাদের মধ্যে যারা উদ্যোগী, তাদেরও পকেটের অবস্থাটা মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেল মধুদার কথা। মধুর ক্যানটিনের মধুদা, শ্রীমধুসূদন দে। মাস কয়েক আগে পূজার সময় তিনি আমার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়েছিলেন, এই সুযোগটা এখন নেওয়া যায়।
মধুদা বাকিতে শিঙাড়া, সন্দেশ আর চা দিতে রাজি হলেন। কিন্তু নগদ অতগুলো টাকা? ক্যানটিনের ক্যাশে তখন শ খানেক টাকাও জমা পড়েনি। বললেন ঘণ্টা দুয়েক পরে দেবেন।
দুই ঘণ্টা পার করে দেওয়ার মতো বুদ্ধিশুদ্ধি থাকলেও মনে হচ্ছিল, বেশ দীর্ঘ সময়। জানি না, কার হাত দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, অনুষ্ঠানের সামান্য আগে কিছু কপি ঠিকই চলে আসে। যাকে বলে হাতে চাঁদ।
সে সময় আল মাহমুদ পাজামার ওপর একটা প্রিন্স কোট চাপাতেন। ছিপছিপে শরীর, গলার বোতামটাও আটকাতেন। আমার ছোট বোন মাহেরু রোকেয়া হলের মাতবর মার্কা ছাত্রী। ওকে বলে দিয়েছিলাম আসার জন্য। সে দলবল নিয়েই এসেছিল। আমেরিকার মেনিসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ফুলহাতা টি-শার্ট আমার এক মার্কিন ছাত্র এনেছিল। সেটা গায়ে চাপিয়ে আমিও সাধ্যমতো স্মার্ট হয়ে হাজির হলাম।
পরদিন শুধু ইত্তেফাক পত্রিকায় অনুষ্ঠানের সংবাদটি ছাপা হয়েছিল।
এরপর তো আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে যোগদান করি সে বছরের শেষ মাসে, ডিসেম্বরে। লোক লোকান্তর আমি আক্ষরিক অর্থে হাতে করে বিক্রি করেছি, উপহারও দিয়েছি। একটি কবিতা উৎ সর্গ করেছিলেন আল মাহমুদ ডাক্তার চণ্ডীপদ চক্রবর্তীকে, আমাদের চণ্ডীদাকে। আল মাহমুদ যখন বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেলেন, আমি চণ্ডীদাকে বললাম, সংবর্ধনার আয়োজন করি? বলার সঙ্গে সঙ্গে হইহই করে উঠলেন চণ্ডীদা, করেন।
নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে অবশেষে যথারীতি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হলো। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়—হ্যাজাকের ব্যবস্থা ছিল বলেই বোধহয় চণ্ডীদার বাসা থেকে তালপাখা আনিয়েছিলেন। সভাপতি মোফাজ্জল করিম (প্রখ্যাত কবি, কমালিস্ট, বাংলাদেশ সরকারের সচিব ছিলেন, ব্রিটেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত) পাখার বাতাস খাচ্ছেন। শরীফ, আল মাহমুদের বড় ছেলে, বাবার কোলে ঘুমুচ্ছে, আল মাহমুদ ছেলেকে বাতাস করছেন—ফটোটা আমার বন্ধু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রাণতোষ চৌধুরী কেন তুলেছিলেন তিনিই জানেন, আর এই ছবিটিই তিনি আমাকে উপহার দিয়েছিলেন—সাদা কালো আলোকচিত্র।
অনেক কথা জমে আছে আল মাহমুদকে ঘিরে। ঢাকায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, দুই দফা চট্টগ্রামে, একাত্তরের কলকাতায়, গণকণ্ঠ-এর সেই উত্তাল সময়ে, শিল্পকলা একাডেমীতে...নিউইয়র্কে বাংলা একাডেমীর ছোট্ট কক্ষে সোনালী কাবিন-এর যুগ, মায়াবী পর্দার যুগ, বিরামপুরের যুগ—সময় কত দ্রুত ফুরোয়।
আজ কবি আল মাহমুদের ৭৬তম জন্মদিন। বাংলা কবিতার অনুরাগীদের কাছে উৎ সব। আধুনিক বাংলা কবিতার মৌলিক প্রতিভাবান কবি। আল মাহমুদকে নিয়ে যত কথাই উঠুক না কেন, আল মাহমুদ দেশপ্রেমিক কবি ছাড়া আর কিছুই নন। যিনি অতীতের সঙ্গে বর্তমানের সাঁকো বানিয়েছেন—ভবিষ্যতের ভিত তৈরি করে যাচ্ছেন যত্ন করে ভালোবেসে, মমতা দিয়ে। কণ্ঠস্বর তারায় তুলেই বলছি—আল মাহমুদ, শুভ জন্মদিন। অমর হোন।
আসাদ চৌধুরী, কবি।
No comments