মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-গোলাম আযমের পক্ষের আইনজীবী অনুপস্থিত, শুনানি হবে আজ
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগের বিষয়ে শুনানিতে গতকাল সোমবার আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। আজ মঙ্গলবার এই শুনানি হবে।
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গতকাল এ আদেশ দেন। তবে ট্রাইব্যুনালের এক সদস্য বিচারক এ কে এম জহির আহমেদ পর্যবেক্ষণে বলেন, আসামিপক্ষ ট্রাইব্যুনালকে ন্যূনতম সৌজন্য দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
গতকাল ছিল গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনানিতে আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের ধার্য দিন। সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে আসামিপক্ষে মাত্র একজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। মামলা পরিচালনার ব্যাপারে তাঁর অনুমতি আছে কি না—ট্রাইব্যুনালের এ প্রশ্নে তিনি ‘না’ সূচক জবাব দেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, আসামিপক্ষের দুটি আবেদন রয়েছে। একটিতে আসামির বিরুদ্ধে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন সরবরাহের নির্দেশনা ও অন্যটিতে চার সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি চাওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সরবরাহের আবেদনের বিষয়ে এর আগে দেওয়া আদেশ প্রযোজ্য হবে।
পরে ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়, আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত নেই। বাইরে রাজনৈতিক উত্তেজনার ঝুঁকি থাকায় তাঁরা হয়তো ট্রাইব্যুনালে আসতে পারেননি। শুনানি মুলতবির আবেদনের বিষয়ে কোনো আইনজীবী না থাকায় তা খারিজ করা হলো। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর এ বিষয়ে একমত হলেও অন্য সদস্য এ কে এম জহির আহমেদ ভিন্নমত দেন। তাঁর মতে, বাইরে যা-ই হোক না কেন, আসামিপক্ষের অন্তত একজন আইনজীবীর ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত থাকা উচিত ছিল। সে ক্ষেত্রে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করা যেতে পারে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিপক্ষকে আগামীকাল (মঙ্গলবার) শুনানির সুযোগ দেওয়া হলো।
পরে এ কে এম জহির আহমেদ তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য বেশ কয়েক দিন আগে দিন ধার্য করা হয়। তাঁরা শুনানির জন্য সময় চেয়ে রোববার আবেদন দিলেও তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সৌজন্যবোধ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ জন্য এই আবেদন খারিজ করতে হবে। কিন্তু অন্য দুই বিচারপতি ইতিমধ্যে আসামিপক্ষকে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য মঙ্গলবার সুযোগ দেওয়ায় তাঁকেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মত মেনে নিতে হচ্ছে। কিন্তু এই আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের সামনে নতুন একটি পথ খুলে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন হতে পারে, আবেদন জমা দেওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরাও ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকছেন। তখন তাঁদেরও এমন সুযোগ দিতে হবে। তাই এ ধরনের আদেশ দেওয়ার আগে ভবিষ্যতে এর ফলাফল সম্পর্কেও ভাবতে হবে।
ট্রাইব্যুনালের আগের নির্দেশনা অনুসারে শারীরিক কারণে গোলাম আযমকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারাকক্ষে আটক রয়েছেন।
গতকাল ছিল গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনানিতে আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের ধার্য দিন। সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে আসামিপক্ষে মাত্র একজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। মামলা পরিচালনার ব্যাপারে তাঁর অনুমতি আছে কি না—ট্রাইব্যুনালের এ প্রশ্নে তিনি ‘না’ সূচক জবাব দেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, আসামিপক্ষের দুটি আবেদন রয়েছে। একটিতে আসামির বিরুদ্ধে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন সরবরাহের নির্দেশনা ও অন্যটিতে চার সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি চাওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সরবরাহের আবেদনের বিষয়ে এর আগে দেওয়া আদেশ প্রযোজ্য হবে।
পরে ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়, আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত নেই। বাইরে রাজনৈতিক উত্তেজনার ঝুঁকি থাকায় তাঁরা হয়তো ট্রাইব্যুনালে আসতে পারেননি। শুনানি মুলতবির আবেদনের বিষয়ে কোনো আইনজীবী না থাকায় তা খারিজ করা হলো। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর এ বিষয়ে একমত হলেও অন্য সদস্য এ কে এম জহির আহমেদ ভিন্নমত দেন। তাঁর মতে, বাইরে যা-ই হোক না কেন, আসামিপক্ষের অন্তত একজন আইনজীবীর ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত থাকা উচিত ছিল। সে ক্ষেত্রে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করা যেতে পারে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিপক্ষকে আগামীকাল (মঙ্গলবার) শুনানির সুযোগ দেওয়া হলো।
পরে এ কে এম জহির আহমেদ তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য বেশ কয়েক দিন আগে দিন ধার্য করা হয়। তাঁরা শুনানির জন্য সময় চেয়ে রোববার আবেদন দিলেও তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সৌজন্যবোধ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ জন্য এই আবেদন খারিজ করতে হবে। কিন্তু অন্য দুই বিচারপতি ইতিমধ্যে আসামিপক্ষকে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য মঙ্গলবার সুযোগ দেওয়ায় তাঁকেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মত মেনে নিতে হচ্ছে। কিন্তু এই আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের সামনে নতুন একটি পথ খুলে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন হতে পারে, আবেদন জমা দেওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরাও ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকছেন। তখন তাঁদেরও এমন সুযোগ দিতে হবে। তাই এ ধরনের আদেশ দেওয়ার আগে ভবিষ্যতে এর ফলাফল সম্পর্কেও ভাবতে হবে।
ট্রাইব্যুনালের আগের নির্দেশনা অনুসারে শারীরিক কারণে গোলাম আযমকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারাকক্ষে আটক রয়েছেন।
No comments