বোঝার ওপর শাকের আঁটি!
রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস সিএনজির দাম আবার বাড়ানো হলো। কয়েক দিন আগেই বাড়ানো হয়েছে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম। সেই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। এখন সিএনজির দাম বাড়ানো হলে তার প্রভাবও পড়বে। বিশেষ করে সিএনজির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব নগরীতে পণ্য পরিবহন ও নগর পরিবহনে পড়বে।
এমনিতেই সব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে চলতে হচ্ছে নাগরিকদের। সিএনজির এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব তার ওপর নগরবাসীর জন্য বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতোই। বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেছেন, সরকারকে বাধ্য হয়েই এ সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। অর্থাৎ সরকার অসহায়। সরকার অসহায় হলে সাধারণ মানুষ তো আরো অসহায় হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়েই এই বাড়তি বোঝা মেনে নিতে হবে জনগণকে।
গত বছরের ১৪ অক্টোবর পেট্রোবাংলা বিইআরসির কাছে সিএনজির দাম ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ঘনমিটার ১৬ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৪৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ বাড়িয়ে ২৪ টাকা ৯০ পয়সা করার প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাবের ওপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিইআরসিতে উন্মুক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং ওই সভায় দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়। সিএনজির দাম বাড়ানো নিয়ে গত ৮ মার্চ বিইআরসির কার্যালয়ে এক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিংহভাগ দাম বাড়ানোর বিপক্ষে মতামত দেওয়া হলেও সিএনজির দাম বাড়ানো হলো। সর্বশেষ ২০০৮ সালের এপ্রিলে সিএনজি গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ১৬ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়, যা আগে ছিল সাড়ে ৮ টাকা। ভোক্তা পর্যায়ে সিএনজির মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি ফিড গ্যাসের দামও বৃদ্ধি পাবে। আগে বিতরণ কম্পানিগুলোর কাছ থেকে সিএনজি স্টেশনগুলো প্রতি ইউনিট বা ঘনমিটার ফিড গ্যাস কিনত ৯ টাকা ৯৭ পয়সা দরে। ভোক্তা পর্যায়ে সিএনজির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে এই ফিড গ্যাসের মূল্যও বাড়ছে। এর দাম হচ্ছে প্রতি ইউনিট ১৮ টাকা। সিএনজি স্টেশনগুলো এখন এটা ৯ টাকা ৯৭ পয়সা দরে কেনে। গত বছরের অক্টোবরে বিইআরসিকে পাশ কাটিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ফিড গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে। বিইআরসি দাম বৃদ্ধির বিষয়ে এর আগে মন্ত্রণালয়ের নেওয়া সিদ্ধান্তই বহাল রাখছে। বিইআরসি ফিড গ্যাসের এই বর্ধিত মূল্য ধরেই ভোক্তা পর্যায়ে সিএনজির দাম ঠিক করছে। এ ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য, বিদ্যুতের বাড়তি দাম এবং দৈনিক চার ঘণ্টা করে সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ রাখাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিএনজির নতুন মূল্য ঠিক করা হয়েছে বলে বিইআরসি থেকে জানানো হয়েছে। গণপরিবহনের জন্য সিএনজির দাম না বাড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও শুধু বাস্তবায়নে সমস্যার কারণে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান। ওদিকে বাস মালিকদের সংগঠন নগর পরিবহনে বাসের ভাড়া বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। এমনিতেই দেশের গণপরিবহনে ভাড়ার ক্ষেত্রে অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনে ভাড়ার কোনো নিয়ম না মানায় প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ইদানীং সিটিং সার্ভিসের নামে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রবণতাও লক্ষ করা যায়।
মূল্যবৃদ্ধির নানা চাপে চিড়েচ্যাপ্টা সাধারণ মানুষের জন্য সিএনজির মূল্যবৃদ্ধির এই খবর আরেকটি দুঃসংবাদ বলা চলে। কারণ সিএনজির মূল্যবৃদ্ধির খেসারত শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকেই বহন করতে হবে।
গত বছরের ১৪ অক্টোবর পেট্রোবাংলা বিইআরসির কাছে সিএনজির দাম ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ঘনমিটার ১৬ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৪৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ বাড়িয়ে ২৪ টাকা ৯০ পয়সা করার প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাবের ওপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিইআরসিতে উন্মুক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং ওই সভায় দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়। সিএনজির দাম বাড়ানো নিয়ে গত ৮ মার্চ বিইআরসির কার্যালয়ে এক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিংহভাগ দাম বাড়ানোর বিপক্ষে মতামত দেওয়া হলেও সিএনজির দাম বাড়ানো হলো। সর্বশেষ ২০০৮ সালের এপ্রিলে সিএনজি গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ১৬ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়, যা আগে ছিল সাড়ে ৮ টাকা। ভোক্তা পর্যায়ে সিএনজির মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি ফিড গ্যাসের দামও বৃদ্ধি পাবে। আগে বিতরণ কম্পানিগুলোর কাছ থেকে সিএনজি স্টেশনগুলো প্রতি ইউনিট বা ঘনমিটার ফিড গ্যাস কিনত ৯ টাকা ৯৭ পয়সা দরে। ভোক্তা পর্যায়ে সিএনজির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে এই ফিড গ্যাসের মূল্যও বাড়ছে। এর দাম হচ্ছে প্রতি ইউনিট ১৮ টাকা। সিএনজি স্টেশনগুলো এখন এটা ৯ টাকা ৯৭ পয়সা দরে কেনে। গত বছরের অক্টোবরে বিইআরসিকে পাশ কাটিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ফিড গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে। বিইআরসি দাম বৃদ্ধির বিষয়ে এর আগে মন্ত্রণালয়ের নেওয়া সিদ্ধান্তই বহাল রাখছে। বিইআরসি ফিড গ্যাসের এই বর্ধিত মূল্য ধরেই ভোক্তা পর্যায়ে সিএনজির দাম ঠিক করছে। এ ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য, বিদ্যুতের বাড়তি দাম এবং দৈনিক চার ঘণ্টা করে সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ রাখাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিএনজির নতুন মূল্য ঠিক করা হয়েছে বলে বিইআরসি থেকে জানানো হয়েছে। গণপরিবহনের জন্য সিএনজির দাম না বাড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও শুধু বাস্তবায়নে সমস্যার কারণে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান। ওদিকে বাস মালিকদের সংগঠন নগর পরিবহনে বাসের ভাড়া বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। এমনিতেই দেশের গণপরিবহনে ভাড়ার ক্ষেত্রে অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনে ভাড়ার কোনো নিয়ম না মানায় প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ইদানীং সিটিং সার্ভিসের নামে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রবণতাও লক্ষ করা যায়।
মূল্যবৃদ্ধির নানা চাপে চিড়েচ্যাপ্টা সাধারণ মানুষের জন্য সিএনজির মূল্যবৃদ্ধির এই খবর আরেকটি দুঃসংবাদ বলা চলে। কারণ সিএনজির মূল্যবৃদ্ধির খেসারত শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকেই বহন করতে হবে।
No comments