সংঘাত নয়, আলোচনায় বসুন-অচল ঢাকা, অচল দেশ
বিরোধী দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারা দেশে যে তৎপরতা চালিয়েছে, তাতে মানুষের মধ্যে যেমন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, তেমনি প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তারা ঘোষিত-অঘোষিতভাবে গণপরিবহনগুলো শুধু বন্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি, ঢাকার প্রবেশপথগুলো অনেকটা বন্ধ করে দিয়েছে।
আবাসিক হোটেলগুলোতে ‘অতিথি’ রাখার ওপরও আরোপ করেছে বিধিনিষেধ। ফলে জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে।
সোমবার ঢাকা মহানগরের চিত্র যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা স্বীকার করবেন বিরোধী দলের হরতালের সময়ও রাস্তাঘাট এতটা ফাঁকা থাকে না। বিরোধী দল হরতাল ডাকলে জনগণের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা প্রচার করে থাকেন। কিন্তু কয়েক দিন ধরে ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে জনজীবন যে অচল করে দেওয়া হলো, তার দায়দায়িত্ব কে নেবে?
বিরোধী দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকারের নানামুখী তৎপরতার ফলে জনজীবন কেবল বিপর্যস্তই হয়নি, এক কোটির বেশি জন-অধ্যুষিত ঢাকা মহানগর দেশের বাকি অংশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিরোধী দলের মহাসমাবেশে নাশকতার আশঙ্কা ছিল বলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যানবাহনে তল্লাশি করেছে। এ ব্যাপারে সরকারের কাছে যদি সত্যি সত্যি কোনো তথ্য-উপাত্ত থেকে থাকে, তাহলে তাদের উচিত ছিল নির্দিষ্ট রুটে বা যানবাহনে তল্লাশি চালানো। কিন্তু সেটি না করে গয়রহ সব যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে এবং যানবাহন আটকে দিয়ে তারা সাধারণ মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। কোনো গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে, তা ভাবতেও অবাক লাগে।
মহাসমাবেশ ঘিরে সরকার ও বিরোধী দলের মুখোমুখি অবস্থান জনগণের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দেয়। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে দেখা দেয় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দিয়ে সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে বলে আমরা মনে করি। একটি মহাসমাবেশ বা হরতালে সরকারের পতন ঘটে না, বরং সমাবেশটি করতে না দিলেই রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নাশকতার আশঙ্কা থাকে। বিরোধী দলের নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিলে তারা যে অনিয়মতান্ত্রিক পথ বেছে নিতে পারে, সে বিষয়টিও সরকারের আমলে নেওয়া উচিত।
শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে, এ খবর সবার জন্যই স্বস্তিদায়ক। এখন দুই পক্ষেরই উচিত নির্বাচনকালীন সরকারের ধরন বা কাঠামো কী হবে, তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা। রাস্তায় শক্তি পরীক্ষার মাধ্যমে কেউ জয়ী হতে চাইলে অর্থনীতির যে ক্ষতি হবে, গরিব বাংলাদেশের পক্ষে তা কাটিয়ে ওঠা কখনোই সম্ভব হবে না।
গত কয়েক দিনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে যে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, তা নিরসনের দায়িত্ব সরকার ও বিরোধী দল উভয়েরই। জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে এমন কর্মসূচি দেওয়া যেমন বিরোধী দলের উচিত নয়, তেমনি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশ অচল করাও সরকারের কাজ হতে পারে না। ক্ষতি না বাড়িয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণের প্রতিই সরকার ও বিরোধী দলকে মনোযোগী হতে হবে—এটাই সবার প্রত্যাশা।
সোমবার ঢাকা মহানগরের চিত্র যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা স্বীকার করবেন বিরোধী দলের হরতালের সময়ও রাস্তাঘাট এতটা ফাঁকা থাকে না। বিরোধী দল হরতাল ডাকলে জনগণের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা প্রচার করে থাকেন। কিন্তু কয়েক দিন ধরে ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে জনজীবন যে অচল করে দেওয়া হলো, তার দায়দায়িত্ব কে নেবে?
বিরোধী দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকারের নানামুখী তৎপরতার ফলে জনজীবন কেবল বিপর্যস্তই হয়নি, এক কোটির বেশি জন-অধ্যুষিত ঢাকা মহানগর দেশের বাকি অংশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিরোধী দলের মহাসমাবেশে নাশকতার আশঙ্কা ছিল বলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যানবাহনে তল্লাশি করেছে। এ ব্যাপারে সরকারের কাছে যদি সত্যি সত্যি কোনো তথ্য-উপাত্ত থেকে থাকে, তাহলে তাদের উচিত ছিল নির্দিষ্ট রুটে বা যানবাহনে তল্লাশি চালানো। কিন্তু সেটি না করে গয়রহ সব যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে এবং যানবাহন আটকে দিয়ে তারা সাধারণ মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। কোনো গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে, তা ভাবতেও অবাক লাগে।
মহাসমাবেশ ঘিরে সরকার ও বিরোধী দলের মুখোমুখি অবস্থান জনগণের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দেয়। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে দেখা দেয় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দিয়ে সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে বলে আমরা মনে করি। একটি মহাসমাবেশ বা হরতালে সরকারের পতন ঘটে না, বরং সমাবেশটি করতে না দিলেই রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নাশকতার আশঙ্কা থাকে। বিরোধী দলের নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিলে তারা যে অনিয়মতান্ত্রিক পথ বেছে নিতে পারে, সে বিষয়টিও সরকারের আমলে নেওয়া উচিত।
শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে, এ খবর সবার জন্যই স্বস্তিদায়ক। এখন দুই পক্ষেরই উচিত নির্বাচনকালীন সরকারের ধরন বা কাঠামো কী হবে, তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা। রাস্তায় শক্তি পরীক্ষার মাধ্যমে কেউ জয়ী হতে চাইলে অর্থনীতির যে ক্ষতি হবে, গরিব বাংলাদেশের পক্ষে তা কাটিয়ে ওঠা কখনোই সম্ভব হবে না।
গত কয়েক দিনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে যে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, তা নিরসনের দায়িত্ব সরকার ও বিরোধী দল উভয়েরই। জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে এমন কর্মসূচি দেওয়া যেমন বিরোধী দলের উচিত নয়, তেমনি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশ অচল করাও সরকারের কাজ হতে পারে না। ক্ষতি না বাড়িয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণের প্রতিই সরকার ও বিরোধী দলকে মনোযোগী হতে হবে—এটাই সবার প্রত্যাশা।
No comments